বিজিএমইএ নির্বাচন মার্চে

আগের সংবাদ

জাপার আসনে নৌকা প্রত্যাহার! ৩০ থেকে ৩৫ আসন প্রত্যাশা জাতীয় পার্টির > চলছে দেনদরবার

পরের সংবাদ

১৫ বছরে সম্পদ ও নগদ অর্থ বেড়েছে রাসেলের : নিজের নামে গাড়ি ৩টি, স্ত্রীর ১টি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, গাজীপুর : গত ১৫ বছরের বেশি সময়ে গাজীপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের নগদ অর্থ ও সম্পদ বেড়েছে। আসন্ন সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে তাঁর দাখিল করা হলফনামা থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। জাহিদ আহসান এবার নিয়ে পঞ্চম দফায় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তিনি পেশা দেখিয়েছেন ব্যবসা ও কৃষি। তবে কৃষি খাত থেকে তার কোনো আয় নেই। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক।
জাহিদ আহসান ২০০৪ সালে উপনির্বাচনের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য হন। সেই হিসাবে তিনি ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে ওই আসনের সদস্য সদস্য। নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাহিদ আহসানের দাখিল করা হলফনামার তথ্য বিশ্লেষণ করে সম্পত্তির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার তথ্য পাওয়া যায়।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাহিদ আহসান তার দাখিল করা হলফনামায় ছাত্র ও ব্যবসা হিসাবে পেশা দেখিয়েছিলেন। তখন ব্যবসা থেকে বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছিল ৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পত্তি হিসেবে ছিল নগদ ১৫ হাজার টাকা। ব্যাংকে জমা দেখিয়েছিলেন ৭০ হাজার ৭৯৫ টাকা। তখন পৈতৃক সূত্রে ২ কোটি ১০ লাখ ৫ হাজার ৪৯০ টাকা মূল্যের গাড়ি দেখিয়েছিলেন। দায় হিসেবে সুদহীন ২ কোটি ১০ লাখ টাকা ছিল।
সর্বশেষ হলফনামা অনুযায়ী, জাহিদ আহসানের করমুক্ত একটি এসইউভিসহ নিজ নামে তিনটি এবং তার স্ত্রীর নামে একটি গাড়ি আছে। তার তিনটি গাড়ির দাম ৩ কোটি ৭৪ লাখ ৯৩ হাজার ৬৩৪ টাকা। আর

স্ত্রীর নামে থাকা গাড়ির দাম ১৩ লাখ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিজের নামে জমা অর্থের পরিমাণ ১৪ লাখ ১৬ হাজার ১৩১ টাকা, স্ত্রীর নামে ৯ লাখ ৪০ হাজার ৩৪৫ টাকা। প্রতিমন্ত্রীর স্থাবর সম্পত্তি পৈতৃক সূত্রে পাওয়া টঙ্গীতে ১ দশমিক ৬৫০ শতাংশ জমি, উত্তরায় তৃতীয় প্রকল্পে ৫ কাঠা জমি। তার স্ত্রীর নামে রাজধানীর বনানীতে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া দুটি ফ্ল্যাট আছে। ব্যবসায় রাসেলের বার্র্ষিক আয় ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা এবং শেয়ার, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানত ৯৮ হাজার ৩৯০ টাকা। এ ছাড়া বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার ২৩ লাখ ৭২ হাজার ৮১০ টাকা এবং চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেডের শেয়ার আছে ৫ লাখ টাকা। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে বার্ষিক সম্মানী ভাতা পান ১৭ লাখ ৯৪ হাজার ৪২০ টাকা এবং বিশেষ সুবিধাদি হিসাবে পান ৩৫ লাখ ৫৬ হাজার ৮৩৮ টাকা। নিজ নামে তার নগদ টাকা আছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান বলেন, ‘আমার সম্পত্তি বেশির ভাগ পৈতৃক সূত্রে পাওয়া।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়