কাগজ প্রতিবেদক : অতীতের ন্যায় এবারো থার্টি ফার্স্ট নাইটকে কেন্দ্র করে ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার পর থেকেই ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশে উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান করা যাবে না। ইংরেজি বর্ষবরণ উপলক্ষে যারা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন তাদের ইনডোর হোটেল বা ঘরের ভেতর তা করতে হবে।
বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট উদযাপন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে সচিবালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঢাকাসহ সারাদেশে গির্জাগুলোর নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা সমুন্নত রাখা হবে। খ্রিস্টান স¤প্রদায়কে অনুরোধ করেছি তারা যেন প্রচুর সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক রাখেন, আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তারা যেন কাজ করেন।
আগামী ২৪-২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত গির্জা এলাকাগুলোতে গোয়েন্দা সংস্থা ও নিরাপত্তা বাহিনী থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, আর্চওয়ে, সিসিটিভি ক্যামেরা রাখার অনুরোধ করা হয়েছে। ঢাকাসহ সারাদেশের খ্রিস্টান অধ্যুষিত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। যে কোনো অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতিতে কেউ যদি পড়েন, তবে তাৎক্ষণিক জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে জানাতে বলা হয়েছে। আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এজন্য এ বিধিনিষেধ দেয়া হবে। লোকসমাগমের ওপরও বিধিনিষেধ থাকবে। থার্টি ফার্স্ট নাইটকে কেন্দ্র করে ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশের উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠানের অনুমতি দেব না। থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে জোরে বাঁশি বাজানো, পটকা ফাটানো, আতশবাজি কিংবা ফানুস ওড়ানো থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ চেকপোস্ট বসানো হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কয়েকদিন থেকে লক্ষ্য করছি রাতে দুর্বার গতিতে গাড়ি বা মোটরসাইকেলের রেস শুরু হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থা থেকে জানিয়েছে, ৩১ ডিসেম্বর এটি ব্যাপকহারে হতে পারে। সেজন্য রাস্তায় চেকপোস্ট দেয়া হবে। এছাড়া বড় দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটে কূটনীতিক এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা নজরদারি বাড়ানো হবে। থার্টি ফার্স্ট নাইটে যাতে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার না হয় সেজন্য আমরা অনুরোধ রাখব। এটা রোধের জন্য নিরাপত্তা বাহিনী তৎপর থাকবে। বার বন্ধ করার ব্যবস্থা নিয়েছি।
ওসি বদলি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন সুনির্দিষ্টভাবে বলে দিয়েছে, যারা ছয় মাসের বেশি সময় এক জায়গায় রয়েছে, সেসব ওসিকে বদলি করতে। তারা সময় বেঁধে দিয়েছে। সে সময় অনুযায়ী জননিরাপত্তা সচিব ও আইজিপি বসে পাঠিয়ে দেবে, দুয়েক দিনের মধ্যে প্রস্তাব চলে যাবে। এখন যা কিছু হয় নির্বাচন কমিশন সব নিয়ন্ত্রণ করে। তারা যে ধরনের নির্দেশনা দিচ্ছে, সে অনুযায়ী কাজ হচ্ছে। প্রায় ওসিকে বদলি করতে হবে।