বিজিএমইএ নির্বাচন মার্চে

আগের সংবাদ

জাপার আসনে নৌকা প্রত্যাহার! ৩০ থেকে ৩৫ আসন প্রত্যাশা জাতীয় পার্টির > চলছে দেনদরবার

পরের সংবাদ

নাহিদের আয়-সম্পদ বেড়েছে কমেছে শমসের মুবিনের

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সিলেট অফিস : ‘সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমে যাওয়ায়’ বার্ষিক আয় কমেছে সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার) আসনের তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী শমসের মুবিন চৌধুরীর। দল বদলানো এই নেতার পাঁচ বছরের ব্যবধানে সম্পদও কমেছে। একই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের আয় ও সম্পদ পাঁচ বছরের ব্যবধানে কিছুটা বেড়েছে।
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন ও এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হতে দেয়া হলফনামার তথ্য বিশ্লেষণ করে এই চিত্র পাওয়া গেছে। হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, শমসের মুবিনের বার্ষিক আয় ৫ বছরে প্রায় পৌনে ২ কোটি টাকা থেকে ৮ লাখ টাকায় নেমেছে। অন্যদিকে নুরুল ইসলামের বার্ষিক আয় সোয়া ১৬ লাখ টাকা থেকে সোয়া ৫০ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। শমসের বর্তমানে ‘অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা’। অন্যদিকে নুরুল ইসলাম পেশায় ‘রাজনৈতিক কর্মী’। দুজনের কারো কোনো ঋণ নেই।
শমসের মুবিন চৌধুরী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ২০১৫ সালে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন। ২০১৮ সালের ৮ ডিসেম্বর বিকল্পধারা বাংলাদেশে যোগ দিয়ে পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হন। পরে গত নির্বাচনে বিকল্পধারার মনোনয়নে সিলেট-৬ আসনে প্রার্থী হন। যদিও পরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুল ইসলামকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। স¤প্রতি তিনি ‘কিংস পার্টি’ হিসেবে পরিচিত পাওয়া তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন হয়েছেন। সপ্তম

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৬ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হন নুরুল ইসলাম। পরে ২০০৮ সালে নবম, ২০১৪ সালে দশম ও ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি দলীয় মনোনয়ন পেয়ে বিজয়ী হন। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর টানা দুই দফা তিনি শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যও ছিলেন নুরুল ইসলাম।
শমসের মুবিন ২০১৮ সালে হলফনামায় তার বার্ষিক আয়ের পরিমাণ দেখিয়েছিলেন প্রায় পৌনে ২ কোটি টাকা। এবার তা দেখিয়েছেন ৮ লাখ টাকার কিছু বেশি। এবারের আয়ের পুরোটাই তিনি ‘শেয়ার, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানত’ থেকে পান। আয় কমার কারণ হল ২০১৮ সালের মতো এবার তার ব্যাংক ডিপোজিট ও সেভিং সার্টিফিকেট মুনাফা এবং পেশাগত আয় নেই। ২০১৮ সালে এ তিন খাতে তিনি বার্ষিক ২৫ লাখ ৫৩ হাজার ২১৫ টাকা আয় করতেন। এছাড়া ২০১৮ সালে ‘শেয়ার, সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত’ খাত থেকেই তিনি বার্ষিক আয় করতেন ১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। আয় কমার বিষয়ে জানতে চাইলে শমসের মুবিন চৌধুরীম বলেন, আমি সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর পেনশনার সঞ্চয়পত্র করেছিলাম। এখন সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমে যাওয়ায় আয় কমেছে। এছাড়া আমার বিকল্প কোনো আয়ও নেই। তাই আয় কমেছে। মামলার বিষয়ে তার দাবি, সব কটি মামলা খারিজ হয়ে যাওয়ায় পুরনো মামলার তথ্য হলফনামায় উল্লেখ করেননি।
এদিকে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলামের হলফনামা অনুযায়ী, পেশা হিসেবে তিনি নিজেকে রাজনৈতিক কর্মী উল্লেখ করেছেন। এবার তিনি বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন সোয়া ৫০ লাখ টাকা। ২০১৮ সালে তা ছিল সোয়া ১৬ লাখ টাকা। এবার তিনি ২ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পদ দেখিয়েছেন। ২০১৮ সালে তা ছিল ছিল দেড় কোটি টাকার। এবার তার সোয়া ২৭ লাখ টাকার স্থাবর সম্পদ আছে বলে উল্লেখ করেছেন। বিগত চারটি নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নুরুল ইসলামের জমা দেয়া হলফনামা ঘেঁটে দেখা গেছে, গত পাঁচ বছরে তার আয় বেড়েছে তিন গুণ। অন্যদিকে ১৫ বছরের ব্যবধানে তার আয় বেড়েছে সাড়ে ১৩ গুণ। গত পাঁচ বছরে নাহিদের অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে সোয়া গুণ। অন্যদিকে ১৫ বছরে তার অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে সাড়ে ৯ গুণ। ২০০৮ সালে নুরুল ইসলাম পেশা হিসেবে রাজনৈতিক কর্মী ও কৃষিজীবী উল্লেখ করেছেন। এরপর সব সময় তিনি পেশার কোঠায় নিজেকে রাজনৈতিক কর্মী উল্লেখ করেছেন। তার বার্ষিক আয় ২০০৮ সালে প্রায় পৌনে ৪ লাখ এবং ২০১৪ সালে প্রায় পৌনে ১৮ লাখ টাকা ছিল। এছাড়া ২০০৮ সালে তার সাড়ে ২১ লাখ টাকার এবং ২০১৪ সালে প্রায় ১ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পদ ছিল। প্রতিবারই তিনি স্থাবর সম্পদের মধ্যে কৃষি ও অকৃষি জমি এবং দালান দেখিয়েছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নুরুল ইসলাম ও শমসের মবিন ছাড়াও এখানে জাতীয় পার্টির (জাপা) সেলিম উদ্দিন, ইসলামী ঐক্যজোটের সাদিকুর রহমান, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের আতাউর রহমান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সরওয়ার হোসেনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়