ঢাবি উপাচার্য : বিদেশিরা উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে চায়

আগের সংবাদ

সিগন্যালের অপেক্ষায় তারা : ৮০ থেকে ১০০ আসনে জোট-মিত্রদের ‘ছাড়’ > ১৭ ডিসেম্বরের আগেই সমঝোতা

পরের সংবাদ

বাংলাদেশি অভিযাত্রী দলের হিমালয়ের ‘ফার্চামো’ চূড়া জয়

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : হিমালয়ের দক্ষিণ-পশ্চিমের একটি পর্বতের নাম ‘ফার্চামো’। যার উচ্চতা ২০ হাজার ৬০০ ফুট। এবার সেই পর্বতের শিখর জয় করলেন বাংলাদেশি অভিযাত্রী দল। গত ৩ নভেম্বর নেপালের সময় সকাল ৯টায় বাংলাদেশের দুই পর্বতারোহী এম এ মুহিত ও বাহলুল মজনু ‘ফার্চামো’ চূড়ায় আরোহণ করেন। দলের অপর সদস্য নুরুননাহার নি¤িœ ১৮ হাজার ২০০ ফুট পর্যন্ত আরোহণ করেন।
গতকাল শুক্রবার পতাকা-প্রত্যার্পণ ও সাংবাদিক সম্মেলনে পর্বত জয়ের গল্প শোনান অভিযাত্রী দলের সদস্যরা। সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ইস্পাহানি টি লিমিটেডের সহযোগিতায় ‘ফার্চামো’ পর্বতশিখর অভিযানটি পরিচালনা করে বাংলা মাউন্টেইনিয়ারিং অ্যান্ড ট্র্যাকিং ক্লাব। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির ছিলেন গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, ইস্পাহানি টি লিমিটেডের ডেপুটি জিএম মোহাম্মদ হারুন। সংবাদ সম্মেলন পরিচালনা করেন অ্যান্টার্কটিকা ও সুমেরু অভিযাত্রী ইনাম আল হক। অভিযানের দলনেতা এম এ মুহিত ‘ফার্চামো’ শিখরে উন্নীত জাতীয় পতাকাটি প্রত্যার্পণ এবং অভিযানের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। রাশেদা কে
চৌধুরী বলেন, তরুণদের সাহসী ভূমিকার কারণে ১৯৭১ সালে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। বিজয়ের মাসের প্রথম দিনে তরুণদের বিজয়ের গল্প শুনলাম। এমন উদ্যোগগুলোতে রাষ্ট্রীয় সহায়তা না থাকা হতাশাজনক। এমন সাহসী উদ্যোগগুলোতে রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতা করা উচিত। তরুণদের এসব কাজে উৎসাহ দিতে হবে।
অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে মুহিত বলেন, অভিযানের সঙ্গে জীবনে বিশাল অভিজ্ঞতার সঞ্চয় হয়। বিশেষ করে হিমালয়ের প্রকৃতি। পাখির গান, নদী, শেরপাদের জীবনধারা দেখে অনেক কিছু জানার সুযোগ হয়েছে।
মুহিত জানান, ফার্চামো অভিযানের জন্য বাংলাদেশের পর্বতারোহীরা ২৪ অক্টোবর নেপাল যান এবং ২৬ অক্টোবর লুকলা বিমানবন্দর থেকে ট্র্যাকিং শুরু করেন। প্রায় ৫০ কিমি ট্র্যাকিংয়ের পর তারা ১ নভেম্বর বেস-ক্যাম্পে পৌঁছান এবং ২ নভেম্বর ১৮ হাজার ৫৩৭ ফুট উচ্চতায় হাই-ক্যাম্প স্থাপন করেন। গাইড চিরিং ওয়াংচু শেরপা ও ফুর কাঞ্চা শেরপাকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের দুই পর্বতারোহী ৩ নভেম্বর রাত সাড়ে ৩টায় হাই-ক্যাম্প থেকে চূড়ান্ত-আরোহণ শুরু করেন। প্রায় ২ হাজার ফুট খাড়া পাথরের দেয়াল ও হিমবাহে আইস-অ্যাক্স, ক্রাম্পন ও জুমারের সাহায্যে আরোহণ শেষে ৩ নভেম্বর নেপাল সময় সকাল ৯টায় তারা ‘ফার্চামো’ শীর্ষে আরোহণ করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়