ঢাবি উপাচার্য : বিদেশিরা উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে চায়

আগের সংবাদ

সিগন্যালের অপেক্ষায় তারা : ৮০ থেকে ১০০ আসনে জোট-মিত্রদের ‘ছাড়’ > ১৭ ডিসেম্বরের আগেই সমঝোতা

পরের সংবাদ

চাল চিনি আটায় চড়া কমেছে মাংসের দাম

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : চাল, আটা, ময়দার ও পেঁয়াজের দাম এখনো চড়া। উচ্চমূল্যেই কিনতে হচ্ছে এসব পণ্য। তবে মাংস, মাছ ও ডিমের দামে কিছুটা স্বস্তি মিলছে ক্রেতাদের। শীতের মৌসুম হওয়ায় বাজারে সবজির সরবরাহ পর্যাপ্ত। এসবের দামও কিছুটা কমেছে।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মোটা চালের দাম আগের মতো রয়েছে। প্রতি কেজি মোটা চাল কিনতে হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকায়। নতুন চাল বাজারে এলেও মাস খানেক আগে যে খুচরা পর্যায়ে সব ধরনের চালের দর কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা বেড়েছিল, এখনো সেই দরেই বিক্রি হচ্ছে। এদিকে, খোলা আটার কেজি ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। আর প্যাকেট আটা কিনতে হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। একইভাবে খোলা ময়দা ৬০ থেকে ৬৫ এবং প্যাকেট ময়দা ৬৫ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিনির বাজার এখনো অস্থিতিশীল। বাজারে প্যাকেটজাত চিনি সহজে খুঁেজ পাওয়া যাচ্ছে না। কিছু কিছু দোকানে প্যাকেটজাত চিনি পাওয়া গেলেও প্রতি কেজি কিনতে হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়। আর খোলা চিনির কেজি ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা।
গত বুধবার রংপুরে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আপাতত চিনির দাম কমানোর কোনো সুযোগ নেই। তার কথার সুর পাওয়া যায় মালিবাগ বাজারের মুদি দোকানি সোলায়মান কথায়। তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে গমের দাম বেশি। ডলারের দামও বেশি। তাই আটা ও ময়দার দামও বেড়েছে।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দেয়া বাজার দরের তালিকানুযায়ী, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মোটা চাল ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা ও মাঝারি চাল ৪৬ থেকে ৫৬ টাকা। চিনির কেজি ৭৮ থেকে ৮২ টাকা। টিসিবির তথ্যমতে, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে চাল ও চিনির দাম ৩ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
রাজধানীর কাওরানবাজার, মালিবাগ ও শান্তিনগর বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। ক্রেতারা দরকষাকাষি করলে আরো ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে পাচ্ছেন। এক মাস আগের চেয়ে কেজিতে তা দেড়শ টাকা কম। তবে সুপারশপে গরুর মাংস মানভেদে ৭০০ টাকার উপরে। ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দামও কমেছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০ থেকে ১৭৫ এবং সোনালি মুরগি ২৭০ থেকে ২৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সাদা ডিমের ডজন ১১০ টাকা ও বাদামি ১২০ টাকা। টিসিবির তথ্যমতে, গত একমাসে বাজারে ডিমের দাম সাড়ে ২১ শতাংশ কমেছে। গত মাসে প্রতি হালি ডিমের দাম ছিল ৫০ থেকে ৫২ টাকা, যা এখন ৩৭ থেকে ৪৩ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। সেগুনবাগিচা বাজারের গরুর মাংস বিক্রেতা মো. সুলতান বলেন, দাম
কমার পর অনেক ক্রেতা বেড়েছে। এই দোকানের ক্রেতা ফাহিম বলেন, গরুর মাংস তো ধরাছোঁয়ার প্রায় বাইরে ছিল। এখন প্রায় ৫০ থেকে ১০০ টাকা কমেছে।
মাছ, মাংস ও সবজিতে স্বস্তি থাকলেও সব ধরনের পেঁয়াজের দাম এখনো বাড়তি, কেজিতে এখনো তা ১০০ টাকার নিচে নামেনি। বাজারে দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা, ক্রস জাতের পেঁয়াজ ১২০ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছিল দেশি পেঁয়াজের দাম কমাতে কিংবা দেশি পেঁয়াজের দাম না কমা পর্যন্ত সাধারণ মানুষ যেন কম দামে ভারতীয় পেঁয়াজ দিয়ে চাহিদা পূরণ করতে পারে। কিন্তু দিন দিন এই চিত্র পালটে যাচ্ছে। ভারতীয় পেঁয়াজ এখন দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় দেশি পেঁয়াজকে টক্কর দিতে শুরু করেছে।
দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে মিরপুর এক নম্বর কাঁচাবাজারের বিক্রেতা শিহাব বলেন, পেঁয়াজের দাম কেন বেড়েছে বলতে পারছি না। তবে নতুন পেঁয়াজ না ওঠা পর্যন্ত যে সবার বেশি দামে পেঁয়াজ খেতে হবে সেটা বুঝতে পারছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়