৯৭ সহকারী জজ নিয়োগ

আগের সংবাদ

সমঝোতার সম্ভাবনা কী শেষ! বিশ্লেষকদের মতে, সুযোগ শেষ হয়ে যায়নি > উদ্যোগ নিতে হবে দেশের ভেতর

পরের সংবাদ

দেশরত্ন শেখ হাসিনা : তিনি কি শুধু নারীবান্ধব প্রধানমন্ত্রী?

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৬, ২০২৩ , ১২:৪৩ পূর্বাহ্ণ

দুর্বৃত্তদের হাতে প্রায় সপরিবারে নিহত হলেন বঙ্গবন্ধু। সেদিন থেকে অর্থাৎ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে শুরু করে ১৯৯৬ সালের ২২ জুন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতার বাইরে ছিল। সুদীর্ঘদিনের আন্দোলন-সংগ্রামের ফলে ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরাধিকারী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন।
১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনা পিতার মতো পথকে আঁকড়ে ধরেন। একজন নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নারী-পুরুষের বৈষম্যহীন একটা সমাজ ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করে চলেছেন তিনি। শেখ হাসিনা তার সুদীর্ঘ চার মেয়াদি শাসনামলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, শিল্প-বাণিজ্য, জনপ্রশাসন, সশস্ত্রবাহিনী, জাতিসংঘে নারীর ব্যাপক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছেন। দারিদ্র্য দূরীকরণ, দক্ষতা বৃদ্ধি, স্বকর্মসংস্থান, ঋণ সুবিধা সম্প্রসারণ, আবাসন, নারীর আইনি সহায়তা, যৌতুক রোধ, বাল্যবিয়ে রোধ, এসিড নিক্ষেপ, ইভটিজিং, ধর্ষণ, সহিংসতা বন্ধে পর্যাপ্ত আইন প্রণয়ন ও বিধি-বিধান তৈরি করেছেন। বাবার নামের পাশে মায়ের নাম সংযোজন তার এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। বিধবা, দুস্থ, স্বামী পরিত্যক্তসহ বেদে ও হিজড়াদের জন্য বহুবিধ কল্যাণকর পদক্ষেপ তিনি গ্রহণ করেছেন।
নারীর ক্ষমতায়নে, জেন্ডার সমতা নির্ধারণ ও বাস্তবায়নে শেখ হাসিনার সরকার নারীর সামর্থ্য উন্নীতকরণ, নারীর আর্থিক প্রাপ্তি বৃদ্ধিকরণ, মত প্রকাশ ও স্বাধীনতা সম্প্রসারণ এবং উন্নয়ন পরিবেশ উত্তরোত্তর উন্নয়নে হাত দিয়েছে। তবে রাজনীতিতে নারীদের এক-তৃতীয়াংশ প্রবেশীকরণ এখনো অসমাপ্ত রয়েছে; যদিও স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় তা কার্যকরী হয়েছে। অসমাপ্ত রয়েছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গৃহীত বেশ কিছু পদক্ষেপের বাস্তবায়ন, তবে থেমে নেই প্রয়াস।
তিনি চাকরিতে বিশেষত স্কুলের চাকরিতে নারীদের প্রাধান্য দিয়েছেন। বর্তমানে দেশের মেয়ে শিশুদের ৯৮ ভাগ স্কুলে যাচ্ছে; আর তার প্রায় ৬০ শতাংশ শিক্ষিকা হচ্ছেন মহিলা। নারী-পুরুষের সমতা আনয়নে অর্থাৎ এসডিজি ৫ বাস্তবায়নে তিনি ব্রতী। ফল মিলেছে। ২০০৬ সালে দেশে জিডিপির পরিমাণ ছিল ৭১ মিলিয়ন, ২০২২ সালে তা ৪৬০ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। নারীদের কর্মক্ষেত্রে অবাধ প্রবেশ এমনি ফলায়নে অন্যতম সহায়ক হয়েছে।
শেখ হাসিনা বাল্যবিয়ে বন্ধে নিবেদিত ও প্রতিনিয়ত সমালোচনামুখর, তিনি ধর্মাচারে একজন নিষ্ঠাবান ও ধার্মিক সত্তা। এখন আমাদের এমন কোনো ক্ষেত্র নেই, যেখানে নারীদের পদচারণা লক্ষিত হচ্ছে না। বাংলাদেশের শীর্ষ প্রশাসনে তিনি প্রধানমন্ত্রী, সংসদ উপনেতা একজন নারী, জাতীয় সংসদের স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতা, স্থায়ী কমিটির সভাপতি, সচিব, পুলিশ ও অন্যান্য সশস্ত্র বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও বিভিন্ন কমিশনের চেয়ারপারসন, পাইলট, ব্যারিস্টার, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি, ট্রেজারার, রেজিস্টার, অধ্যাপক, অধ্যক্ষ, লেখক, কবি, শিক্ষিকা, সাহিত্যিক, হিমালয়ের চূড়া বিজয়ী, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীতে কর্মরত সেনাসদস্যসহ সর্বত্র। তৃণমূল থেকে নতুন নতুন জয়িতা আবিষ্কার ও মূল্যায়নে জয়িতা ফাউন্ডেশন ও সে ফাউন্ডেশনের বিবিধ বিস্তৃতি সর্বত্র আকর্ষণীয়। মেয়েদের অধিকহারে বৃত্তি, উপবৃত্তি পুনঃপ্রবর্তন ও বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। খোলোয়াড়ি মেয়েদের আইনি ও পুলিশি সহায়তা দেয়া হচ্ছে, সঙ্গে আর্থিক সহায়তাও। সারাদেশে ৫৬৪ মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টারে নারীদের জন্য সম-অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। কার্যত নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেল।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহিলা ও শিশুবিষয়ক পৃথক মন্ত্রণালয় নারীর নিরাপদ কর্মপরিবেশ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য বিমোচনের কাজ হাতে নিয়েছেন এবং বাস্তবায়ন করেছেন। ২০১০ সালের পারিবারিক সুরক্ষা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১৩ সালের জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি, ২০১৪ সালের ডিএনআই আইন, ২০১৭ সালের বাল্যবিবাহ আইন, ২০১৮ সালের যৌতুক নিরোধ আইনসহ অন্যান্য আইনি বিধান ও কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে নারীকে এগিয়ে দেয়া হচ্ছে। ভিজিডি, মাতৃত্বকালীন ভাতা ও ছুটি, ল্যাকচেটিং মা ভাতা, ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান, বৃত্তিসহ শিক্ষা, নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টি, কর্মজীবী হোস্টেল, শিশু বিকাশ প্রভৃতির মাধ্যমে নারীর উন্নয়ন ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনও জঘন্য। ধর্ষণ রোধে আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুদের জন্য সর্বত্র ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার খোলা আছে। হিন্দু মেয়েদের সম্পত্তির অধিকার প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। সরকারি ক্ষেত্রে ছয় মাসের বেতনের মাতৃত্বকালীন ছুটি মঞ্জুর করা হয়। সরকার বিনামূল্যের আবাসন ও আশ্রয়ণ প্রকল্পে স্বামী ও স্ত্রী উভয়কে যৌথ মালিকানা দিচ্ছে, যাতে বিচ্ছেদ হলে সেটি স্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। যৌতুক, বাল্যবিয়ে ও সাইবার হয়রানির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন বাড়ছে। তিনি বলেন, আমরা আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে যাচ্ছি- যাতে বিদেশে কর্মরত নারী কর্মীদের সুরক্ষা ও মঙ্গল নিশ্চিত করা যায়। সরকারের বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির মাধ্যমে দরিদ্র, বিধবা, পরিত্যক্ত, প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক নারীরা উপকৃত হচ্ছে। এসবের কারণে নির্দ্বিধায় তাকে একজন নারীবান্ধব প্রধানমন্ত্রী বললে অত্যুক্তি হবে না। এসব অবিস্মরণীয় অর্জনের জন্য দেশ অপেক্ষা বিদেশে তার সম্মাননা ও স্বীকৃতি মিলেছে অনেক, তন্মধ্যে প্লানেট ৫০:৫০ চ্যাম্পিয়ন, পিসট্রি, এজেন্ট অব চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড, সাউথ-সাউথ এবং গেøাবাল উইমেন্স লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড উল্লেখযোগ্য। ইতোমধ্যে তিনি বিশ্বের দীর্ঘমেয়াদি ও নারীবান্ধব প্রধানমন্ত্রীর অভিধা অর্জন করেছেন। শুধু কি তাই? ৭ নভেম্বর ২০২৩ তিনি জেদ্দায় ‘ইসলামে নারীর মর্যাদা ও ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগদান করে নারী উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, সমতায়ন ও মর্যাদা উন্নয়নে অতি সাহসী ও অতি প্রাসঙ্গিক বক্তব্য রাখেন। এরই সঙ্গে ওআইসিভুক্ত উইমেন ডেভেলপমেন্ট নিয়ে স্বপ্নের জাল বুনেছেন। তাতে প্রমাণিত হয় যে তিনি শুধু নারীবান্ধব প্রধানমন্ত্রী নন, তিনি একজন বিশ্ববান্ধব ও শান্তিকামী প্রধানমন্ত্রী। সম্মেলনে তিনি মুসলিম নারীর মর্যাদা ও ক্ষমতায়নে বাংলাদেশে কী করা হয়েছে বা বিশ্বে কী করা উচিত বলে শুধু মতামত দেননি, বক্তব্যের শুরুতে তিনি গাজায় যুদ্ধ বিরতি ও অঞ্চলটিতে অবৈধ দখলদারিত্বের বন্ধের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘গাজায় মানবিক সহায়তা নিশ্চিত ও অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য আমি সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আমি এই ভয়াবহ যুদ্ধ, নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ ও অবৈধ দখলদারিত্ব বন্ধে ভূমিকা রাখার জন্য বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’ তারপর তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমি আমাদের ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের পক্ষে আমার ভূমিকা অব্যাহত রাখব।’ তিনি আরো বলেন, আমরা গাজায় নিরীহ নারী ও শিশুদের ওপর ইসরায়েলি নৃশংসতার নিন্দা করছি।
ইসরায়েলের নিন্দা জ্ঞাপন, অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের দাবিতে তার দুর্দান্ত সাহসী ও শান্তিময় মনোভঙ্গির পরিচয় ফুটে উঠেছে। বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে যেখানে ওআইসিভুক্ত পুরুষ সহকর্মীরা সত্যকে প্রকাশ্যে দ্বিধান্বিত, সেখানে একজন মহিলা প্রধানমন্ত্রীর এমন সাহসী উচ্চারণ সারাবিশ্বে বিস্ময় ও আশার সঞ্চার করছে। দেশে বিরোধী পক্ষ ও কতিপয় বৃহৎশক্তির বিরুদ্ধাচরণের কারণে বিব্রত পরিস্থিতিতে তার এমনি এমন উচ্চারণ নিঃসন্দেহে সারাবিশ্বের শান্তিপ্রিয় ও সংগ্রামী মানুষের দিশারী ও অনন্ত প্রেরণা হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রসঙ্গত, তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি নৃশংসতা ও বর্তমানে গাজা এবং রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতার উদাহরণ টেনে বিশ্বের সব ধরনের বর্বরতা ও নৃশংসতার অবসান দাবি করেন।
তিনি বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নে ডিজিটাল বাংলাদেশ ও অত্যাসন্ন স্মার্ট বাংলাদেশের কথাও সম্মেলনে বলেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের আনুষ্ঠানিক অর্থনীতির প্রায় ৪৬ শতাংশ নারীকর্মী। নারী উদ্যোক্তারা আমাদের কুটির, ক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র শিল্পে বড় ধরনের অবদান রাখছেন। আইটি ফ্রিল্যান্সিং, ই-কমার্স এবং স্টার্ট-আপে নারীদের প্রাণবন্ত উপস্থিতি রয়েছে।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের সরকার অর্থ, বাজার, ধারণা ও প্রশিক্ষণে নারীদের প্রবেশাধিকার বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশে নারীরাই বেশি উপকৃত হচ্ছেন। পণ্যের বা সেবার ধারণা থেকে বাজারজাতকরণ ও মূল্য পরিশোধেও ই-কমার্স ব্যবহারে নারীরাই বেশি অগ্রগামী। সামনে রয়েছে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ, যার অনিবার্যতা প্রথিত দক্ষতা বৃদ্ধি, দুর্নীতি উচ্ছেদ ও গতিশীলতা আনয়নে।
বক্তব্যের মাঝে তিনি নিম্নোক্ত পরামর্শগুলো তুলে ধরেন :
প্রথমত, ফিলিস্তিনে অবিলম্বে সংঘাতের অবসান এবং সেখানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ- বিশেষ করে নারী ও শিশুদের ওপর অপরাধের বিচার। দ্বিতীয়ত, সব অপরাধ, সহিংসতা, বৈষম্য ও নারীদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান ইসলামোফোবিয়াকে ‘না’ বলুন। তৃতীয়ত, এসডিজি-৫ পূরণের লক্ষ্যে লিঙ্গ সমতা অর্জন ও নারীদের ক্ষমতায়নের দিকে যথাযথ মনোযোগ দিন। চতুর্থত, মুসলিম নারীরা যেন ইচ্ছামতো স্বাধীনভাবে জনসমক্ষে নিজেদের উপস্থাপন করতে পারেন- তা নিশ্চিত করুন। তিনি বলেন, ‘নারী ক্ষমতায়ন ও মূল স্রোতে নারীদের ভূমিকার উজ্জ্বল উদাহরণ বাংলাদেশ, বন্ধুপ্রতিম মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে এ সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা বিনিময়ে আমরা প্রস্তুত।’
বক্তৃতার শেষাংশে তিনি ওআইসির নারী উন্নয়নে সংস্থায় যোগদানের পটভূমিকা বর্ণনা করে বলেছেন- ‘ডব্লিউডিও এর যাত্রা শুরু হয়েছে এবং আমি আশা করি, ইসলামকে আরো ভালোভাবে বোঝার মাধ্যমে আজকের চাহিদাগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এ ম্যান্ডেটকে প্রসারিত করা যেতে পারে। আর তবেই আমরা একটি বৈষম্যহীন, শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ বিশ্বের স্বপ্ন দেখতে পারি।
উপরিউক্ত আলোচনা থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় তিনি কেবল নারী বিশেষত মুসলিম নারীদের বৈষম্য, বিভাজন ও অনুন্নয়ন নিয়ে সম্পৃক্ত নন, তিনি সারাবিশ্বের নারী ও মানুষের জন্য উদ্বেগাকুল। কার্যত তিনি পিতার ন্যায় আজ বিশ্বনেত্রীর অবস্থানে নিজেকে প্রতিস্থাপন করেছেন। সামনে নির্বাচন। দেশের মানুষ যে তাকে ভোট দিয়ে আবারো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করবে তা প্রায় অবধারিত।

অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী : বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ; উপাচার্য, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়