শেখ পরশ : চিরস্থায়ী খলনায়ক হিসেবে স্থান পাবে জিয়াউর রহমান

আগের সংবাদ

নির্বাচনী ট্রেনে বাংলাদেশ > রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির সাক্ষাৎ, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে হবে : রাষ্ট্রপতি

পরের সংবাদ

দুর্বৃত্তদের কঠোর হাতে দমন করুন

প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আগামী জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করছে বিএনপি-জামায়াত। অবরোধের নামে সারাদেশে নাশকতা চালাচ্ছে। প্রতিদিন যাত্রীবাহী বাসসহ বিভিন্ন গাড়িতে অগ্নিসংযোগসহ নানা নৈরাজ্যের খবর গণমাধ্যমে আসছে। গতকাল ভোরের কাগজের প্রতিবেদনে প্রকাশ, বিএনপির ডাকা ২৮ অক্টোবরের সমাবেশ থেকে সহিংসতা শুরুর পর গত ১১ দিনে কমপক্ষে ১১৪টি গাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সহিংসতা শুরুর দিন ২৮ অক্টোবর ২৯টি, ২৯ অক্টোবর ১৯টি, ৩১ অক্টোবর ১২টি, ১ নভেম্বর ১৪টি, ২ নভেম্বর ৭টি, ৪ নভেম্বর ৬টি, ৫ নভেম্বর ১৩টি, ৭ নভেম্বর ১টি গাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার মালিবাগে মধ্যরাতে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। যেভাবে সারাদেশে বাস পোড়ানো হচ্ছে তা আমাদের যেমন উদ্বিগ্ন করেছে তেমনই বিস্মিত করেছে। অবরোধের নামে মানুষ হত্যা, অগ্নিসন্ত্রাস করে বিএনপি-জামায়াত হিংস্র মনোবৃত্তির পুনঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। এভাবে অগ্নিসন্ত্রাস করে কি কোনো রাজনৈতিক আন্দোলনের কৌশল বা উপাদান হতে পারে? সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বলে কিছু নেই। মানুষকে চলাফেরা করতে হচ্ছে প্রাণ হাতে নিয়ে। স্বাধীনতা বিরোধীদের মাঠে নিয়ে আবারো হত্যার খেলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা শুরু করেছে। সাধারণ জনগণ এমন কর্মকাণ্ড কখনো সমর্থন করে না। মানুষ এ শঙ্কা থেকে মুক্তি চায়। বাংলাদেশ আর পেছনে ফিরে যাবে না। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে দেশি-বিদেশি সব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে সামনে অগ্রসর হতে চায়। সন্ত্রাস দ্বারা মানুষের সমর্থন জয় করা যায় না। বরং মানুষকে দূরে ঠেলে দেয়া হয়। অতীতে বিএনপি তার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের পরিণতি থেকে কোনো শিক্ষাই নেয়নি? ২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করার জন্য বিএনপি-জামায়াত চক্র জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতি শুরু করে। মহান মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য যখন বিচার শুরু হয় তখনই এই ধ্বংসাত্মক রাজনীতি শুরু হয়। সে সময় ৪১৯টি ঘটনায় ১৫ জন পুলিশ সদস্যসহ নিহত হয় ৪৯২ জন, আহত আড়াই হাজারের কাছাকাছি। এক একটি যুদ্ধাপরাধীর বিচারের রায় ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়ে যেত হত্যা, সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগের ঘটনা। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের বিরোধিতা করে বিএনপি জোটের ভয়াবহ সন্ত্রাসের রাজত্ব কেউ ভোলেনি। তখন শত শত যানবাহন পুড়িয়ে দেয়া হয়। পেট্রোল বোমার আঘাতে দগ্ধ মানুষের আহাজারিতে হাসপাতালগুলোর বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। পবিত্র উপাসনালয় মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জায়ও আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি লাখ লাখ গাছও। নির্বাচনের দিন প্রিসাইডিং অফিসারসহ হত্যা করা হয় ২৬ জন নিরীহ মানুষকে। সারাদেশে ৫৮২টি ভোটকেন্দ্রে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হয়। আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি-জামায়াত জোট আগুন সন্ত্রাসের খেলায় মেতে উঠেছে। নাশকতা-নৃশংসতা কোনো রাজনৈতিক আচরণ নয়, নিজেদের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক অধিকার প্রয়োগ করতে হবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ পন্থায়। ভুলে যাওয়া চলবে না- সভা-সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল সংবিধান প্রদত্ত অধিকার। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যে কোনো রাজনৈতিক দল নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি ঘোষণা ও পালন করতে পারে। আওয়ামী লীগ সরকারকে লক্ষ রাখতে হবে মানুষের জীবনমান যেন শঙ্কামুক্ত থাকে তার ব্যবস্থা নেয়া। পাশাপাশি জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাস কঠোর হাতে দমন করতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়