ডেঙ্গু পরিস্থিতি : ছুটির দিনে রোগী ও মৃত্যু দুইই কম

আগের সংবাদ

কদর বেড়েছে বোমাবাজদের : ২০১৪-১৫ সালের স্টাইলে আগুন-বোমা, পুরনো সন্ত্রাসীরা সক্রিয়, মাঠে নতুন বোমাবাজ

পরের সংবাদ

আরামে সহজে ফ্যাশন

প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

হাল সময়ে দুনিয়া মাতানো কো-অর্ড স্টাইলের ম্যাচিং-ম্যাচিংয়ে মেতেছে পুরো ফ্যাশন বিশ্ব। শুরুটা সেই করোনাকালে। আলসে সময়ে পোশাক পরার সবচেয়ে স্টাইলিশ উপায় হয়ে ওঠে কো-অর্ড টেকনিক। তবে কয়েক বছর পেরোলেও এর জনপ্রিয়তা কমেনি এতটুকু; বরং হালের ওয়াইটুকে অ্যাসথেটিকস মেনে সৃষ্টি নব্বই অনুপ্রাণিত ফ্যাশন হিসেবে ট্রেন্ডোমিটারের শীর্ষে উঠে এসেছে এর নাম। কারণ কো-অর্ডে টপ আর বটমে হুবহু একই কাপড়, রং, প্রিন্ট বা এমবেলিশমেন্ট থাকে।

ট্রেন্ডি কো-অর্ড
মিনিমাম এফোর্টে ম্যাক্সিমাম স্টাইল শুধু কো-অর্ড ফ্যাশনেই সম্ভব। সেই সত্তর-আশির দশকের কো-অর্ড স্টাইল এখন সা¤প্রতিকতম ট্রেন্ডের অন্যতম। তবে গত শতকের কো-অর্ড সেটগুলো ছিল কিছুটা আটপৌরে আর সাধারণ নকশার। এখন এ কো-অর্ডই ফিরে এসেছে নতুন রূপে । বিশ্বের নামীদামি ফ্যাশন ডিজাইনার আর সাধারণ ফ্যাশনপ্রেমী মানুষ সবাই এখন মজেছেন কো-অর্ড ট্রেন্ডে। দেশ-বিদেশের তারকাদের ফ্যাশনেও কো-অর্ড এখন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। এয়ারপোর্ট লুক থেকে শুরু করে যেকোনো পার্টিতে তাদের দেখা যায় বাহারি কো-অর্ড সেটে।

কো-অর্ড কী
সহজ ভাষায় টু-পিস সেটের পোশাক। ম্যাচিং কালার, প্রিন্ট অথবা ফ্যাব্রিকের তৈরি। তা হতে পারে ম্যাচিং টপ এবং স্কার্টের যুগলবন্দী, কো-অর্ডিনেটেড জগার এবং সোয়েটশার্টের সেট কিংবা একই রকম দেখতে ব্লাউজ আর লেহেঙ্গা স্কার্টের জমাটি জোড়। মূলত কো-অর্ড হচ্ছে দুটি আলাদা পোশাক, যা একসঙ্গে পরার উপযোগী করে তৈরি। কো-অর্ড স্টাইলিংও সহজ। কিছু নিয়ম মাথায় রাখলেই চলবে। এখনকার কো-অর্ড পোশাকগুলো কাটের কারণেই যেন নজর কেড়েছে বেশি। গরমের জন্য এটি আদর্শ পোশাক। কারণ, বেশির ভাগ কো-অর্ড সেট বানানো হচ্ছে বেশ ঢিলেঢালা কাটে। উপকরণও রাখা হচ্ছে আরামদায়ক। এ কারণে গরমে স্বস্তিই দেয় এ পোশাক। আরেকটি সুবিধা হচ্ছে, কোন জামার সঙ্গে কোন পায়জামা পরবেন, এমন ভাবনায় সময়ও নষ্ট করতে হয় না।

আরো কিছু জানা অজানা
কো-অর্ড টু-পিস সেট নামেও পরিচিত। এটি এমন একটি পোশাক, যা একই রং এবং প্রিন্টের কাপড় দিয়ে তৈরি। ম্যাচিং আপার ও বটমের সমন্বয়। কো-অর্ডের সেট একসঙ্গে পরার জন্যই ডিজাইন করা হয়। সবচেয়ে দারুণ বিষয় হলো, এর স্টাইল নিয়ে আলাদা করে চিন্তার প্রয়োজন হয় না। আপার আর বটম একই রকম হলে অস্বস্তি লাগতে পারে বলে অনেকে নিউট্রাল কালার বেছে নেন। নিউট্রাল কো-অর্ড সেটে অভ্যস্ত হয়ে উঠলে, তখন সব কম্বিনেশনই ট্রাই করা যায়।
১৬০০ শতকে ব্রিটেনের নারীরা টপ ও স্কার্ট একই রকম পরতেন এবং সেখান থেকেই এই স্টাইল এসেছে বলে ধারণা করা হয়।

১৬৬৬ সালে দ্বিতীয় চার্লস কো-অর্ডের একটি নতুন বৈচিত্র্য প্রবর্তন করেন। সেটাই আমরা এখন আধুনিক থ্রি-পিস স্যুট হিসেবে দেখতে পাই।
ইদানিং আবারও কো-অর্ড সেটের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। প্রিন্টেড হোক বা সলিড কালার ট্রেন্ডে এখন এদেরই রাজত্ব। একরঙা বা মনোক্রোমের ক্ষেত্রে হট পিঙ্ক, নিয়ন, সাদা-কালো-ধূসর প্যালেট, হলুদ আর প্যাস্টেল শেডের কো-অর্ড বেছে নিচ্ছেন অনেকে।

প্রিন্টের ক্ষেত্রে ফুলেল নকশা, অ্যানিমেল প্রিন্টসহ সব ধরনের প্রিন্টই দেখা যাচ্ছে কো-অর্ড সেটে। পার্টি-লুকে একরঙা ঝলমলে ফ্যাব্রিকের কো-অর্ড আউটফিট বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সময়ের সাথে।

ট্র্যাডিশনাল এথনিক ওয়্যার যাদের পছন্দ, তারাও কো-অর্ড স্টাইল ট্রাই করতে পারেন। প্রি-স্টিচড কো-অর্ড শাড়ি সেট এক্ষেত্রে তালিকার প্রথমে আসতে পারে। প্রিন্টেড লেহেঙ্গা সেটও থাকতে পারে পছন্দের লিস্টে।
ক্রপ টপের সঙ্গে ম্যাচিং পালাজো পরে নেওয়া যাবে অনায়াসে। কেপ স্টাইল টপের সঙ্গেও এর জোড় জমজমাট। লুকে বোহেমিয়ান ভাইব চাইলে পেপলাম ব্লাউজের সঙ্গে সারারা প্যান্টের যুগলবন্দী সেরা।
মিক্স অ্যান্ড ম্যাচিং
কো-অর্ড মানেই একসঙ্গে পরে নেওয়া যাবে এমন একটা লুক। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে ট্রেন্ডকে অন্যতরভাবে উপস্থাপনে বাধা রয়েছে। কো-অর্ড সেট পরিপূর্ণভাবে ব্যবহারের জন্য ওয়্যারড্রোবের অন্য পোশাকের সঙ্গে মিক্স অ্যান্ড ম্যাচে নতুন কম্বো তৈরি করে নেওয়া যায় অনায়াসে। দ্য অপশনস আর এন্ডলেস।

এই পোশাকের স্টাইল স্টেটমেন্ট
অন্য যেকোনো স্টাইলের মতো কো-অর্ড স্টাইলিংয়েও কিছু বিষয় খেয়াল করলে লুকটি হবে পরিপূর্ণ।
যাত্রাপথে ঢিলেঢালা কো-অর্ডস পরলে স্টাইল ও স্বস্তি দুই-ই মিলবে। আবার পার্টিতে অফ-শোল্ডার টপের সঙ্গে পরা যায় একই কাপড়ের স্লিম প্যান্ট। নিউট্রাল, ন্যুড আর প্যাস্টেল রংগুলো চমৎকার মানিয়ে যাবে কর্মক্ষেত্রে। যদি কো-অর্ডটি একরঙা হয়ে থাকে, তাহলে ক্লাচ বা স্কার্ফ প্রিন্টের হলে ভালো লাগবে। জুতাটি রাখা যায় কন্ট্রাস্ট রঙের।
যদি কো-অর্ড প্রিন্টের হয়, তাহলে অন্যান্য অ্যাকসেসরিজ খুব বেশি হলে ভালো লাগবে না।
মোটা বেল্ট ব্যবহার করা যায় যেন কো-অর্ড সেট দেখতে জাম্পসুটের মতো না লাগে। যদি এটি ফ্লোর টাচড বা পুরো দৈর্ঘ্যের কো-অর্ড সেট হয়, তাহলে ফ্ল্যাট কিংবা ক্যানভাস জুতা না পরে বেছে নিতে হবে মানানসই হিলস।
লেয়ারিংও করা যায় কো-অর্ডে।
ক্রপ টপের সঙ্গে শার্ট ব্যবহার করা যায়। ব্লেজারও মন্দ হয় না।
আসলে নিজস্ব রুচি ও স্টাইলের সঠিক সমন্বয় কো-অর্ড আউটফিটগুলোকে করে তুলতে পারে আরও আকর্ষণীয়।

সূত্র: এলে, ভোগ, টাইমস অব ইন্ডিয়া

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়