কাপাসিয়ায় গ্রেপ্তার ৭৬, বিএনপির দাবি শতাধিক

আগের সংবাদ

ভুল চালে ব্যাকফুটে বিএনপি : দিতে হচ্ছে সহিংসতার খেসারত > নতুন করে আন্দোলনে গতি ফেরানো কঠিন হবে

পরের সংবাদ

আম্পায়ারের ভুলেই হতাশার হার পাকিস্তানের

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : বিশ্বকাপে নিজেদের মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল পাকিস্তান। শুরুতে পিছিয়ে থাকলেও পরে দারুণভাবে খেলায় ফেরে পাকিস্তান। শেষদিকে প্রোটিয়াদের এমনভাবে জেঁকে বসেছিল যাতে মনে হয়েছিল ম্যাচটা পাকিস্তানই জিতে নেবে। তাই হতে পারত যদি তাবরেজ শামসির এলবিডব্লিও আউটটা পাকিস্তানের পক্ষে যেত।
ওইদিন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর এক ম্যাচ শেষে ১ উইকেটে হেরেছে পাকিস্তান। হারিস রউফের শেষ ওভারের শেষ বলে প্রোটিয়াদের ১১তম ব্যাটার তাবরেজ শামসির পায়ে লাগে বল। মাঠের আম্পায়ার নট আউট দেয়ার পর রিভিউ নেয় পাকিস্তান। কিন্তু ডিআরএসের এআই প্রযুক্তিতে ‘আম্পায়ার্স কল’ আসে সিদ্ধান্ত। বেঁচে যান শামসি। সেই সুযোগে টিকে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই ওভার পর আসে জয়টাও। ম্যাচ শেষে বাবর আজম বলেছিলেন, আম্পায়ার্স কল খেলারই অংশ, ‘ডিআরএসও খেলার অংশ। তবে ওটা যদি (আম্পায়ার) আউট দিতেন, সেটা আমাদের পক্ষে যেত। আম্পায়ার্স কল যেটা হয়ে গেছে, সেটা খেলারই অংশ।’ তবে সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার হরভজন সিং মনে করেন আম্পায়ারের ভুল ও ডিআরএসের ‘আম্পায়ার্স কল’ আইনের জন্য পাকিস্তান হেরেছে । ম্যাচ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এক্সে (সাবেক টুইটার) দেয়া এক পোস্টে হরভজন বলেন, ‘বাজে আম্পায়ারিং ও বাজে আইনের জন্য ম্যাচ হেরেছে পাকিস্তান। আইসিসির নিয়ম পরিবর্তন করা উচিত। বল স্টাম্পে লাগলে আউট, সেটা আম্পায়ার আউট দিক বা না দিক। সেটা না করলে প্রযুক্তি রাখারই দরকার কী?’ এলবিডব্লিউয়ের আবেদনের সময় ডিআরএসের পক্ষ থেকে এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে বলের গতিবিধি অনুমান করা হয়। তখন বল স্টাম্পের বাইরের অংশে লাগলে তাকে ‘আম্পায়ার্স কল’ দেখানো হয়। অর্থাৎ মাঠের আম্পায়ার যে রায় দিয়েছেন, আউট বা নট আউট, সেই রায়ই বহাল থাকবে। রান আর কিছুটা বেশি হলেও পাকিস্তান জিততে পারত। চেন্নাইয়ের পিচে রান করা তেমন কষ্ট ছিল না।
ম্যাচ শেষে ইন্টারভিউতে মূলত এ নিয়েই আক্ষেপ শোনা গেল বাবরের কণ্ঠে, ‘শেষটা ভালো করতে পারিনি। পুরো দলই আমরা হতাশ। আমরা লড়াই করে ম্যাচে ফিরেছি। কিন্তু ব্যাটিংয়ে ১০-১৫টা রান কম হয়ে গেছে। এরপর ফাস্ট বোলার ও স্পিনাররা লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনলেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে ফল পক্ষে আসেনি।’ পাকিস্তান এখন আছে ছয় নম্বরে। ম্যাচ বাকি তিনটি। বাকি তিন ম্যাচ জিতলে পয়েন্ট হবে ৮। তাতেও সেমিফাইনালে ওঠার নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে না। দুশ্চিন্তাই এখন বাবরের সঙ্গী। চাইছেন অন্তত শেষটা ভালো করতে।
হতাশাগ্রস্ত বাবর বলেন, ‘শেষ তিন ম্যাচে নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। এরপর দেখা যাবে কী দাঁড়ায়।’ লিগ পর্বে পাকিস্তানের শেষ তিন ম্যাচের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়