পুলিশ হত্যা মামলা : রিজভী-সোহেলসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

আগের সংবাদ

নির্বাচন পর্যন্ত সংস্কারে ছাড় : আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি নিশ্চিত, ঋণ চুক্তির ছয়টি শর্তের মধ্যে চারটি পূরণ হয়েছে

পরের সংবাদ

বেড়ায় ৭ কিলোমিটার সড়কে পথচারীদের চরম ভোগান্তি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

হারুনার রশিদ, বেড়া (পাবনা) থেকে : দীর্ঘ কয়েক বছর সংস্কার না করায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে চকপাড়া মসজিদ হতে নলভাঙ্গা পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার রাস্তা। ৭ কিলোমিটার রাস্তার ভাঙা অংশের ৩ কিলোমিটার বেড়া পৌরসভার নিয়ন্ত্রণাধীন ও ৪ কিলোমিটার বেড়া উপজেলা এলজিইডির। এতে দুই ইউনিয়নের প্রায় ১৭ হাজার মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ সড়কের বেহাল দশায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন চাকলা নলভাঙ্গা ইউনিয়নের ও বড়শিলা গ্রামের হাজারো মানুষ। সড়কের বিভিন্ন জায়গায় পিচ-খোয়া উঠে গেছে অনেক আগেই। এখন সেখানে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় খানাখন্দের। ফলে সড়কে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। বৃষ্টি হলে পানি জমে দুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়। সংস্কারের অভাবে সড়কের পুরোটাই খানাখন্দে ভরে গেছে। ছোট-বড় গর্ত এড়িয়ে যানবাহন চলছে এঁকেবেঁকে। সড়কের বেহাল দশায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগি এলাকাবাসী।
বেড়া উপজেলা স্থানীয় সরকার (এলজিইডির) সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয় করে পৌর এলাকার বরশিলা থেকে চাকলা নলভাঙ্গা পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার নতুন সড়ক নির্মাণ করেন বেড়া উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি। এতে করে চাকলা ইউনিয়ন ও কৈটোলা নলভাঙ্গা, চাকলা, দমদমা, কুশিয়ারা, আপানিয়াসহ অন্তত ১৫ গ্রামের বাসিন্দাদের উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়ে যায়। এছাড়া দৈনন্দিন কাজে ও কৃষিপণ্য বিক্রি করতে বেড়া বাজার ও চতুর হাটে আসতে দুর্ভোগ কমে যায় এলাকার হাজার হাজার মানুষের।
বরশিলা গ্রামের মো. আলিম অভিযোগ করে বলেন, সড়কটি বেশ কয়েক বছর হলো অবহেলার মধ্যে রয়েছে। সড়কটির অবস্থা খুবই নাজুক। এমন দুরাবস্থাপূর্ণ সড়ক পুরো উপজেলায় আর নেই। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে শত শত লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। রাতের অন্ধকারে চলাচল করতে গিয়ে এলাকার লোকজন দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলেন রাস্তাটি সংস্কার করবেন কিন্তু তারা আজ পর্যন্ত সংস্কারের উদ্যোগ নেননি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সড়কটি মেরামতের জন্য অনুরোধ জানান এলাকাবাসী।
পাচুরিয়া গ্রামের মো. ফারুক বলেন, সড়কটিকে নির্মাণের ফলে তারা ঢাকা পাবনা মহাসড়ক পরিহার করে খুব সহজে উপজেলা সদর ও চতুর হাটে আসতেন। এতে করে তাদের মহাসড়কে চলাচলে ঝুঁকি ও যাতায়াতের অনেক খরচ কম হতো। বর্তমানে রাস্তাটির অবস্থা এমন খারাপ যে হেটে চলাচল করাই বিপদ হয়ে পড়েছে।
বেড়া পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী বলেন, বড়শিলা মহল্লাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে জরুরিভাবে মাটি ফেলে সচল রাখা হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ পেলে সংস্কার করা হবে।
এলজিইডির বেড়া উপজেলা প্রকৌশলী আক্তারুজ্জামান বলেন, বন্যার পানি কমে গেলে সরজমিন পরিদর্শন করে আলোচ্য রাস্তাটির এলজিএডি অংশের প্রাক্কলন প্রস্তুত করে অর্থ বরাদ্দের জন্য পাঠানো হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়