র‌্যাব হেফাজতে নারীর মৃত্যু : কমিটির প্রতিবেদনে সন্তুষ্ট নন হাইকোর্ট

আগের সংবাদ

রাজপথে ফের শক্তির মহড়া : নাশকতা মোকাবিলায় সতর্ক পাহারায় আ.লীগ, মহাসমাবেশের ঘোষণা দেবে বিএনপি

পরের সংবাদ

আন্দোলনে বিএনপির ‘অবতার’ ও পশ্চিমা বিশ্বের সমর্থন

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি নিচ্ছে। কমিশনের বক্তব্যে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার এক ধরনের প্রত্যয় ব্যক্ত করা হচ্ছে। কমিশনকে এই নির্বাচন যথার্থ অর্থেই সুষ্ঠু এবং সব মহলের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে হবে। সাবেক নির্বাচন কমিশনার ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এডিটরস গিল্ডের আলোচনায় নির্বাচন কমিশনের হাতে আরপিও এবং আইনের কোনো ঘাটতি নেই বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন। সুতরাং নির্বাচন কমিশন তাদের পূর্ণ দায়িত্ব আইনানুগভাবে সম্পন্ন করবে এটি সব মহলই আশা করে। সেটির প্রস্তুতি যথাযথভাবে ঘটতে দেখলে বিভিন্ন দল ও ব্যক্তি যে নামেই হোক নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করতে উৎসাহ বোধ করবে, নির্বাচনও তখন জনগণের অংশগ্রহণে প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূর্ণ হয়ে উঠতে পারবে।
যুগপৎ আন্দোলনকারী রাজনৈতিক দলগুলো এখনো আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সফল হবে বলে তাদের দলীয় নেতাকর্মী এবং দেশবাসীকে জানান দিচ্ছে। তবে তাদের আন্দোলনে জনগণের সমর্থনের চাইতে পশ্চিমা বিশ্বের আশীর্বাদ তারা যে বেশি কামনা করে, সেটি তারাই এখন চেপে রাখতে পারছে না, জনসমক্ষে বলেই দিচ্ছে। গত ১৫ অক্টোবর বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বিএনপির জন্য অবতার হয়ে এসেছেন বলে দাবি করেছেন। তিনি আরো বলেছেন, ‘মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে আরো বলতে হবে, বাবা তুই আমাদের বাঁচা।’ জানি না পিটার হাস বিএনপির একজন ভাইস চেয়ারম্যানের আবেদন শুনে বিএনপির নেতাদের তার সন্তান ভাববেন কিনা কিংবা নিজেকে তাদের ‘অবতার’ বা ‘ভগবানের’ আসনে বসাবেন কিনা? ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরের পিটার হাসের প্রতি আনুগত্য দেখে মনে হয় পিটারের সঙ্গে বিএনপির মাখামাখি নিয়ে এতদিন বাইরে যে সমালোচনা ছিল, এখন সেটিরই হাটে হাঁড়ি ভেঙে দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রদূতের জন্য এটা কতটা সুখকর নাকি বিব্রতকর হয়েছে, তা পিটার হাসই ভালো বলতে পারবেন। বাংলাদেশে আর কোনো রাষ্ট্রদূত একটি বিশেষ দলের কাছে এমন অবতার হয়ে আসার নজির কিন্তু নেই। তাকে বাবা বলে সম্বোধন করা এবং বিএনপিকে বাঁচানোর আকুতি জানানোর অর্থ কি, কেনইবা তা বিএনপির মতো এত বড় দল এবং এতসব চেনা, অচেনা, অজানা, নামসর্বস্ব দল নিয়ে গড়ে ওঠা যুগপৎ আন্দোলনকারীদের প্রয়োজন হয়ে পড়ল- তা সহজে বোধগম্য হওয়ার কথা নয়। আমাদের দেশে রাজনৈতিক আন্দোলন সব সময়ই হয়েছে। জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার আগেই সব রাজনৈতিক দলকে তছনছ করে দেয়া হয়েছিল, দেশে বছরের পর বছর সান্ধ্য আইন জারি করে রাখা হয়েছিল। দীর্ঘ আন্দোলন হয়েছে এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধেও, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন হয়েছে, ২০০৬ সালে ইয়াজউদ্দিন আহমেদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপি, জামায়াত ছাড়া সব রাজনৈতিক দলই মাঠের আন্দোলনে ছিল। ২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার থেকে বাঁচানোর জন্য বিএনপি-জামায়াতের ব্যবহৃত হেফাজতের ‘আন্দোলন’, ২০১৪-এর ৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রতিহত করার ‘অগ্নিসন্ত্রাস আন্দোলন’, ২০১৫-এর সরকারবিরোধী আন্দোলন এবং গত ১ বছর ধরে বর্তমানে শেখ হাসিনার সরকারের পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে যুগপৎ আন্দোলন তো সবার কাছেই জানা বিষয়। অতীতে সব আন্দোলনই নানা চড়াই-উতরাই পার হয়ে কোনোটা সফল হয়েছে, কোনোটাকে মোড় ঘুরিয়ে দেয়া হয়েছে। আবার সাম্প্রদায়িক ও অগণতান্ত্রিক শক্তিও সরকার উৎখাতের আন্দোলন করেছে। সরকার উৎখাত হয়তো হয়নি। কিন্তু কেউই কখনো বিদেশি কোনো রাষ্ট্রদূতের কাছে এতটা আত্মসমর্পণ করতে দেখেছে বলে কারো কাছে জানা নেই। একই অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরের মতো না হলেও পরোক্ষভাবে স্বীকার করে বলেছেন, ‘সরকারবিরোধী আন্দোলনে একা নয় বিএনপি, পশ্চিমা বিশ্ব সাহস ও সমর্থন দিচ্ছে।’ বাংলাদেশে বিএনপি ও যুগপৎ আন্দোলনকারীদের সরকারবিরোধী আন্দোলনে পশ্চিমা বিশ্বেরও ভূমিকা উন্মোচন করে দিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পশ্চিমা বিশ্ব তার এই বক্তব্যের কোনো প্রতিবাদ করবে কিনা তা আমরা জানি না। কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে কোনো একটা বিশেষ দল বা দেশ গোপনে যুক্ত হয় বলে শোনা যায়। কিন্তু সেই দেশ কখনো তা স্বীকার করতে যায় না। এখানে কোনো বিশেষ দল বা দেশের নাম না উল্লেখ করা হলেও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গোটা পশ্চিমা বিশ্বের নাম যেখানে উচ্চারণ করেছেন, সেখানে পশ্চিমা বিশ্ব নামে খ্যাত দেশগুলোর সরকারের ঘাড়েই এমন ‘দায়িত্ববোধের’ স্বীকার কিংবা অস্বীকার করার দায় এসে পড়ে। অথচ এতদিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায় এমন দাবি করে এসেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কয়েকবারই বলেছে দেশটি কোনো বিশেষ দলের পক্ষে বা বিপক্ষে নয়, বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়। আমাদের কাছে তো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউর এমন অফিসিয়াল বক্তব্যই আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনেকেই বাংলাদেশে ঘন ঘন তশরিফ আনছেন। সব মহলের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে কথা বলছে। কেউ তো বলছে না যে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন করার কোনো পরিবেশ নেই। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গেও এসব দেশের প্রাক-নির্বাচনী বা দায়িত্বশীল যত কর্তাব্যক্তি এসেছেন, তারা নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের সমস্যা ও সম্ভাবনার বিষয়গুলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জানার চেষ্টা করেছেন। এ পর্যন্ত কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে দেশে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার মতো পরিবেশ নেই এমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেনি, করার কথাও নয়। এমনকি এনডিআই ও আইআরআই সফর শেষে ১৫ তারিখ তাদের প্রকাশিত প্রতিবেদনে কোনো শর্ত নয়, ৫টি সুপারিশ দিয়েছে মাত্র। বাংলাদেশের গণমাধ্যম এবং গণতন্ত্রের আকাক্সক্ষার প্রশংসাও করা হয়েছে। তবে যদি তেমন প্রস্তুতিহীনতা এসব সফরকারী প্রতিনিধি দল দেখতেন, নিশ্চয়ই তাদের কথা বলতেন। নির্বাচন কমিশন এর নিশ্চয়ই জবাব দিত। নির্বাচন কমিশনের জবাবে তারা সন্তুষ্ট না হলে তাদের কথা বলতে পারতেন, আরো করণীয় কিছু থাকলে তাও বলতে পারতেন। পশ্চিমা দেশের প্রতিনিধিদের মুখ তো কেউ বন্ধ করে রাখেনি। ঢাকাস্থ তাদের দূতাবাসের দায়িত্বপ্রাপ্তদেরও দৌড়ঝাঁপ আমরা দেখছি। তারাও তো নিজ নিজ দেশের অবস্থান সেভাবে তুলে ধরেনি। সবারই এক কথা আগামী নির্বাচন তারা সুষ্ঠু দেখতে চায়। তাদের চাওয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সাধারণ ভোটার কিংবা রাজনৈতিক দল ও নেতাদের কী খুব বেশি পার্থক্য থাকার কথা? পার্থক্য থাকার তো কোনো সুযোগ নেই। এ কথা বললেই ২০১৪ ও ’১৮-এর নির্বাচনের কথা অনেকেই বলবে। ২০১৪-এর নির্বাচনের আগে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ব্যবস্থা তৈরির জন্য তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রীর সঙ্গে বসার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা এবং তাদের করণীয় নিয়েও আলোচনা করতে চেয়েছিলেন। যদিও দুই দলের মধ্যে তখন যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ-বিপক্ষ নেয়া, হেফাজতে ইসলামীদের ব্যবহার করা নিয়ে যথেষ্ট গুরুত্ব ছিল। তারপরও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা রোহিতকরণের পর দেশে নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থাটি কেমন হলে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে, একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনসহ অন্যান্য অনেক প্রাসঙ্গিক বিষয়ই সে সময়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধা করা যেত। কিন্তু বিএনপি এবং জামায়াত সেই সময় সরকারকে দুর্বল ভেবেছিল। তাদের হিসাব ছিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা থেকে আওয়ামী লীগকে উচ্ছেদ করার মতো একটি জ¦ালাও-পোড়াও আন্দোলন করতে হবে, নির্বাচন করতে দেয়া যাবে না। বিএনপি-জামায়াতের মতো রাজনৈতিক দল যখন কোনো একটি নির্বাচনকে প্রতিহত করার মতো পরিকল্পনা নিয়ে সরকারি স্থাপনা, থানা, নির্বাচনী বুথ, যানবাহন, পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সব কিছুর ওপর আক্রমণ চালায়, তখন এটিকে আর কোনো অবস্থাতেই গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে অভিহিত করার থাকে না। ২০১৩-১৪-এর সেই অভিজ্ঞতা পৃথিবীর কোনো দেশে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঘটেছে কিনা আমাদের জানা নেই। ফলে নির্বাচনটি সুষ্ঠু কোনো মানদণ্ডেই ফেলার মতো ছিল না। কিন্তু যেনতেন প্রকারেই হোক কিংবা মানহীন হোক, নির্বাচনটি উতরিয়ে না নেয়া গেলে দেশে যে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হতো তার ফলে মানুষ অর্থনৈতিকভাবে যে সংকটে পড়ত, তাতে বাংলাদেশে একটি সামাজিক অরাজকতা, লুটপাট ইত্যাদি নেমে আসাটা খুবই স্বাভাবিক ছিল। সাধারণ মানুষ নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে জামায়াত-বিএনপির তাণ্ডবে ঘর থেকে বের হতে পারেনি। যে যানবাহনেই উঠেছে, অগ্নিসন্ত্রাসের মুখে পড়তে হয়েছে এমন মানুষের সংখ্যা অসংখ্য। বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডার বাহিনী সর্বশক্তি দিয়ে এই নির্বাচনটিকে প্রতিহত করতে গিয়েছিল। তাহলে প্রশ্ন জাগে নির্বাচনকে ভণ্ডুল করে দেয়ার পরিকল্পনা কাদের ছিল, সরকারের না বিরোধী দলের? সাধারণ মানুষ নির্বাচনের আগের পরিস্থিতিতে এতটাই ত্যক্ত-বিরক্ত ছিল যে ৫ জানুয়ারির পর সবাই হাঁপ ছেড়ে যেন বেঁচে গিয়েছিল, ঘর থেকে সেভাবেই বের হয়েছিল। বিরোধী দল সাহস পায়নি মানুষকে আন্দোলনের ডাক দেয়ার। এখন আমরা আন্দোলন কোনটাকে বলব? ২০১৩ সালে যা ঘটেছিল তা? আন্দোলন হয় জনকল্যাণমুখী। কিন্তু যা হয় হিংসাত্মক তা হয় প্রতিআন্দোলন। আন্দোলনের মাধ্যমে জনসমর্থিত রাজনৈতিক দল জনগণের স্বার্থ রক্ষা করে, জনগণও তা সমর্থন করে। কিন্তু প্রতিআন্দোলন করে রাজনীতির প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী ও অগণতান্ত্রিক শক্তি। সুতরাং পার্থক্যটা এখানে আদর্শিক ও রাজনৈতিক। অন্যদিকে ২০১৮-এর নির্বাচন নিয়ে সরকার এবং বিরোধী দল উভয়েরই দায় রয়েছে। কিন্তু সবাই আশা করে সরকার এবং বিরোধী দল যে মতাদর্শেরই হোক না কেন, নির্বাচনে সমানে সমানে প্রতিদ্ব›িদ্বতায় এলে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হতে বাধ্য। সেটি অতীতে লঙ্ঘিত হয়েছিল। এবার সব রাজনৈতিক দল অংশ নিলে সেই সম্ভাবনা থাকার কোনো কারণ দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু নির্বাচনকে বিতর্কিত করার উদ্দেশ্য থাকলে অথবা নিজেদের দলীয় কোনো দুর্বলতা থাকা থেকে নির্বাচনে অংশ না নেয়াটা কোনো মতেই সমর্থনযোগ্য নয়। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে বিএনপি এবং যুগপৎ আন্দোলনকারী দলগুলো চাচ্ছে বিদেশিরা তাদের আন্দোলনে জিতিয়ে দেয়ার জন্য সরকারকে বৈধ-অবৈধ সব পন্থায়ই বাধা প্রদান করুক। তাতে দেশের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক সংকট ঘনীভূত হলে কিছু যায় আসে না। কোনো গণতান্ত্রিক শক্তি নিজ দেশের অধিকার আদায়ে নিশ্চয়ই বিদেশিদের কাছে এতটা সমর্পণ করে দেয় না। প্রয়োজনও পড়ে না। বিএনপি অবতার হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কথা বললে একটা ওজন পাওয়া যেত। ঢাকার দূতাবাসের রাষ্ট্রদূতকে অবতার ভাবার মধ্যে তাদের সীমাহীন দুর্বলতাই শুধু নয়, রাজনীতি, দেশ, গণতন্ত্র ইত্যাদি নিয়ে অনেক দুর্বলতাই এখন ফুটে উঠতে শুরু করেছে। যুগপৎ আন্দোলনকারীরা এখন কী বলবেন?

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী : অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত), ইতিহাসবিদ ও কলাম লেখক।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়