হেরোইন উদ্ধার মামলা : পাকিস্তানি নাগরিকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

আগের সংবাদ

রাজনৈতিক সমঝোতার লক্ষণ নেই, নির্বাচনের প্রস্তুতি ইসির : ডিসি এসপিদের নিয়ে ইসির বৈঠক > ভোটের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কায় মাঠ প্রশাসন

পরের সংবাদ

লুটেরাদের থামাতে হবে

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নিত্যপণ্যের বাজারে লুটেরাদের এক ধরনের আগ্রাসন চলছে। ইচ্ছামতো চলছে বাজার। কারো হাতে নিয়ন্ত্রণ নেই। মানুষ হাঁসফাঁস করছে। সরকার কি পারে না বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে। প্রতিদিন বাজার পরিস্থিতি নিয়ে গণমাধ্যমে খবর আসছে। উত্তরণের পথও দেখাচ্ছে। সুপারিশ করছে। সরকারকে ভাবা উচিত। গতকাল প্রকাশিত ভোরের কাগজের প্রধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় এক মাস আগে ডিম, পেঁয়াজ ও আলুর দাম সরকার নির্ধারণ করে দিলেও তার প্রভাব একদিনের জন্যও বাজারে পড়েনি। সরকারি সংস্থা সারাদেশে কাঁচাবাজারগুলোতে অভিযান চালিয়েছে। ফলে ২/১ দিন কিছুটা স্থিতিশীল থেকে আবার বাড়তে শুরু করেছে এ তিনটি পণ্যসহ অন্যান্য প্রায় সব নিত্যপণ্যের দাম। বলা হচ্ছে, সিন্ডিকেটের কাছে সরকার যেন অসহায়। কোনোভাবেই নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল করতে পারছে না সরকার। সাধারণ মানুষ অসাধু ব্যবসায়ীদের শিকারে পরিণত হয়েছে। সরকার দীর্ঘদিন ধরে বাজার নিয়ন্ত্রণের কথা বলে এলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি। সরকার বাজার কারসাজির সঙ্গে জড়িত কিছু সিন্ডিকেটকে শনাক্ত করতে পারলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। ডিমের পরিস্থিতি সামাল দিতে একাধিকবার ভারত থেকে ডিম আমদানি করেছে। কোনো সুফল নেই। ভোক্তারা বলছেন, সরকার দাম বেঁধে দিয়েই দায় সারছে। শুধু মুখে না বলে সরকারের উচিত প্রতিটি ধাপে পণ্যের মজুত পর্যালোচনা করা এবং বাজারে যথাযথ সরবরাহ নিশ্চিত করা। সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে মাঠে না নামালে অবস্থার পরিবর্তন হবে না। প্রায় ২ বছর ধরে বাজারের উচ্চমূল্য সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন ভোক্তারা। গত বছরের আগস্টে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির হার সাড়ে ৯ শতাংশে পৌঁছানোর পর গত ৬ মাসে পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে। এর মধ্যেই দফায় দফায় বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়িয়ে সুযোগ নিচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। বাজার মনিটরিং না থাকার কারণে এমন অবস্থার জন্য দায়ী করছে মানুষ। বাজারে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি নতুন নয়। সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। চলমান পরিস্থিতিতে স্বল্প আয়ের মানুষের নিত্যদিনের চাহিদায় কাটছাঁট করতে হচ্ছে। সবমিলে নিত্যপণ্যের বাড়তি দাম মেটাতে ভোক্তার হাঁসফাঁস অবস্থা। করোনা-দুর্যোগে অনেকের আয়-রোজগার কমে গেছে, অনেকেই হয়েছেন কর্মহীন। আসলে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া এখন নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্লেষকরা। বাস্তব সত্য হচ্ছে, বাজারের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পরিপূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণে টিসিবির মাধ্যমে খোলাবাজারে পণ্য বিপণন, বাজার মনিটরিং ইত্যাদি যেসব পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে, এগুলো যেন যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। পণ্য পরিবহন নির্বিঘœ রাখতে বিশেষ করে কৃষিপণ্যের সরবরাহে যাতে কোনো বাধার সৃষ্টি হতে না পারে, সেদিকে নজর রাখতে হবে সংশ্লিষ্টদের। এর বাইরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বাজার পরিস্থিতি তদারকি অব্যাহত রাখতে হবে। সর্বোপরি অতি মুনাফালোভী সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের সরকার কঠোরভাবে দমন ছাড়া উপায় নেই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়