চরমোনাই পীর : দেশ ভয়াবহ সংঘাতের মুখে নিপতিত

আগের সংবাদ

৩০ বছরেও শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছেনি থানচির দুর্গম অঞ্চলে

পরের সংবাদ

বৈষম্য নিরসনের দাবি : কর্মবিরতিতে যাচ্ছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন, কাক্সিক্ষত পদোন্নতি ও অর্জিত ছুটি দেয়ার দাবিতে কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডাররা। আগামী ২ অক্টোবর দেশের সব সরকারি কলেজ, টিটি কলেজ, আলিয়া মাদ্রাসা, মাউশি, শিক্ষাবোর্ডসহ শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সব দপ্তর, অধিদপ্তরে এই কর্মবিরতি পালন করা হবে। এরপরেও দাবি আদায় না হলে আগামী ১০, ১১ ও ১২ অক্টোবর টানা তিনদিনের কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি।
গতকাল শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়ে এই কর্মসূচি ঘোষণা করে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির মহাসচিব মো. শওকত হোসেন মোল্যা। সমিতির সভাপতি প্রফেসর মো. শাহেদুল খবির চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সহসভাপতি প্রফেসর মো. মামুন উল হক, সহসভাপতি ড. আ.জ.ম. রুহুল কাদীর, যুগ্ম মহাসচিব বিপুল চন্দ্র সরকার, প্রচার সচিব প্রফেসর মুহাম্মদ ফাতিহুল কাদীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পদোন্নতিতে সবচেয়ে নাজুক অবস্থা বিরাজ করছে শিক্ষা ক্যাডারে। কোনো কারণ ছাড়াই দুই বছর পদোন্নতি বন্ধ রাখা হয়েছে। এই মুহূর্তে প্রায় ৭ হাজার কর্মকর্তা সব যোগ্যতা পূরণ করে পদোন্নতির অপেক্ষায় আছেন। সময়মতো পদোন্নতি না হওয়ায় অনেকে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে অবসরে যাচ্ছেন। সমিতির নেতারা বলেন, গত ২৭ সেপ্টেম্বর সহযোগী অধ্যাপক পদে ৬৯০ জনের পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। অথচ সহযোগী অধ্যাপক পদে তিন হাজার কর্মকর্তা পদোন্নতি যোগ্য আছেন। আমরা এই অযৌক্তিক আংশিক পদোন্নতির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত ডিপিসি সভা করে সকল স্তরে যোগ্য কর্মকর্তার পদোন্নতি দাবি করছি।
তারা বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষার গুণগত মানের দুর্বলতার মূল কারণ অদক্ষ ও অপেশাদার ব্যক্তিদের দিয়ে শিক্ষা পরিকল্পনা ও প্রশাসন পরিচালনা করা। শিক্ষায় জাতীয় লক্ষ্য অর্জনে একটি দক্ষ যুগোপযোগী ও স্বয়ংসম্পূর্ণ শিক্ষা ব্যবস্থাপনা সময়ের দাবি। এজন্য দরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দর্শন বাস্তবায়ন। এ সময় তারা উপজেলা, জেলা থেকে শুরু করে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সব দপ্তর, অধিদপ্তর ও প্রকল্পগুলোতে শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের নিয়োগের দাবি জানান।
তারা আরো বলেন, বর্তমান সরকার যখন স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে স্মার্ট শিক্ষা ব্যবস্থার কথা ভাবছেন, ঠিক তখনই দেশের সার্বিক শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার জন্য সৃষ্ট শিক্ষা ক্যাডারকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বঞ্চিত করে রাখা বাংলাদেশের গোটা শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের ষড়যন্ত্রের সামিল।
দ্রুত সময়ের মধ্যে সব সমস্যার সমাধান না হলে সংগঠনের পক্ষ থেকে আরো বৃহত্তর ও কঠোর কর্মসূচি দেয়ার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়