গণপিটুনি থেকে বাঁচতে ৯৯৯-এ চোরের কল

আগের সংবাদ

পরিবারের আড়ালে তৎপর দল > খালেদার বিদেশযাত্রা : আলোচনায় জার্মানি > আশাবাদী দল ও পরিবার > অল্প সময়ে সিদ্ধান্ত

পরের সংবাদ

প্রধানমন্ত্রীর ৭৭তম জন্মদিন : আমাদের আশার বাতিঘর

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আজ দেশের দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন। শ্রদ্ধা ভালোবাসা আপনার প্রতি। ১৯৪৭ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শেখ হাসিনার জন্ম। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বেগম শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের প্রথম সন্তান। শেখ হাসিনা গ্রামবাংলার ধুলোমাটি আর সাধারণ মানুষের সঙ্গেই বেড়ে উঠেছেন। তাই গ্রামের সঙ্গে তার নিবিড় সম্পর্ক। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের একজন সফল প্রধানমন্ত্রী। চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন শেখ হাসিনা। তাঁর নেতৃত্বে অর্থনীতির প্রতিটি সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে একটি রোল মডেল হিসেবে পরিচিত করেছেন। সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনেও তিনি বিশ্বনেতাদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। মিয়ানমারে জাতিগত সহিংসতায় পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলিমদের আশ্রয় দিয়ে সারা বিশ্বে হয়েছেন প্রশংসিত। বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি, একাত্তরের ঘাতক যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্য সম্পন্ন করা, সংবিধান সংশোধনের মধ্য দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, ভারত ও মিয়ানমারের সাথে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি এবং সমুদ্রে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে ব্লæ ইকোনমির নতুন দিগন্ত উন্মোচন, ভারতের সঙ্গে সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন ও ছিটমহল বিনিময়, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট সফল উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে মহাকাশ জয়, সাবমেরিন যুগে বাংলাদেশের প্রবেশ, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু ও মেট্রোরেল নির্মাণ, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন, কর্ণফুলী টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মহাসড়কগুলো ফোর লেনে উন্নীত করা, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ, ফাইভ-জি মোবাইল প্রযুক্তির ব্যবহার চালুসহ অসংখ্য ক্ষেত্রে কালোত্তীর্ণ সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ। শেখ হাসিনা আমাদের উন্নয়ন এবং অর্জনের রোল মডেল। বিশ্বদরবারে বাংলাদেশকে বিশেষ মর্যাদায় উন্নীত করেছেন। বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখতেন সেই স্বপ্ন রূপায়নের দায়িত্ব নিয়ে বাঙালি জাতির আলোর দিশারী তিনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের কল্যাণে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাও সেই অঙ্গীকার ও দৃঢ়তা নিয়েই দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনা বাঙালি জাতির কাণ্ডারি হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন তার মেধা, সাহস ও সততার জন্য। বর্তমান বাংলাদেশের অস্তিত্বের প্রতীক বলা হয় তাকে। তিনি হয়ে গেছেন বাংলাদেশের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর। পিতার মতোই অসীম সাহসী, দৃঢ়তায় অবিচল, দেশপ্রেম ও মানবিক গুণাবলিসম্পন্ন একজন আদর্শবাদী নেতা হিসেবে শেখ হাসিনা মানুষের কাছে আজ সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় নেতা। দেশের যে কোনো সংকটে তার নেতৃত্ব দল-মত নির্বিশেষে সব রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের কাছে তিনিই একমাত্র গ্রহণযোগ্য। সেখানে দ্বিতীয় কোনো বিকল্প নেই। শিল্প সংস্কৃতি ও সাহিত্যঅন্তপ্রাণ শেখ হাসিনা লেখালেখিও করেন। তাঁর লেখা এবং সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা ৩০টিরও বেশি। আমরা যদি একনজরে শেখ হাসিনার রচনাবলির দিকে দৃষ্টি দিই, দেখব তার অধিকাংশ রচনাই সাধারণ-বঞ্চিত মানুষের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে লেখা। একজন সৃষ্টিশীল লেখক তার লেখায় মানুষকে স্বপ্ন দেখতে অনুপ্রাণিত করেন। বাংলার মানুষ মনে করে, শেখ হাসিনা দেশের গর্ব। তার মনুষ্যত্ববোধ ও লোকহিতব্রতী কর্ম রাষ্ট্র ও জনগণের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ। বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরসূরি হিসেবে তিনি পিতার যে গুণগুলোকে উত্তরাধিকার হিসেবে অর্জন করেছেন, তার অন্যতম হচ্ছে- আবেগ, দেশপ্রেম, স্বজাত্যবোধ, সাহস, সততা এবং মানুষের প্রতি অগাধ বিশ্বাস। আমরা প্রধানমন্ত্রীর সুস্থ জীবন কামনা করছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়