প্রধানমন্ত্রী ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছেছেন

আগের সংবাদ

ব্যাখ্যা চায় ক্ষুব্ধ গণমাধ্যম : গণমাধ্যমের বিরুদ্ধেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকির প্রতিক্রিয়া

পরের সংবাদ

নির্বাচনে যেতে এত দাবি কেন?

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যুগপৎ আন্দোলনকারী দলসমূহের মাঠের প্রধান নেতা, যদিও তাদের আসল নেতা লন্ডনে থাকেন। তিনি একচুয়ালকে ভার্চুয়ালি নিয়ন্ত্রণ করেন। তবে মির্জা ফখরুল আন্দোলনে এখন প্রায় প্রতিদিনই বক্তৃতা করতে করতে তার গলার স্বর কখনো কখনো ভেঙে যায়, কথা বলতে তার কষ্ট হয়। তেমনটিই টেলিভিশনে শুনছি। তিনি কয়েকবার বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের ১০টি আসনও ভাগ্যে জুটবে না। এ কথাটি কয়েক দিন আগেও আবার তিনি পুনরুল্লেখ করেছেন। বিএনপির অন্য নেতারাও অনেকটা দাবি করছেন, দেশের জনগণ এখন আর আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে নেই। বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রায়ই বলে থাকেন, জনগণ এই সরকারের সঙ্গে নেই এই রায় অনেক আগেই দিয়ে ফেলেছে, তারা পেয়ে গেছেন। মির্জা ফখরুলের ভাষায় আওয়ামী লীগ ১০টি আসনও পাবে না। যদি তিনি এত সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারেন, তাহলে ১০ এর নিচে কত আসন পাবে সেটিও তো তিনি বলতে পারার কথা। আমাদের জাতীয় সংসদে মোট ৩০০ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগের যদি আসন সংখ্যা ১০ এর নিচে নামে, তাহলে শতকরা হিসাব কষলে আওয়ামী লীগের ভোট ২-৩ শতাংশ আছে বলে ধরে নিতে হবে। গোটা জনগোষ্ঠীর ২-৩ শতাংশের বেশি মানুষ যদি আওয়ামী লীগকে এই মুহূর্তে না চায়, তাহলে বাকি ৯৭-৯৮ শতাংশ মানুষই তো বিএনপির নেতৃত্বাধীন যুগপৎ আন্দোলনকারীদের পক্ষে নিশ্চিতভাবে রয়েছে এমনটি ধরে নিতে হবে।
টিভি টকশোতে বিএনপি নেতাদের মধ্যে কেউ কেউ যখন তাদের এমন ব্যাপক জনসমর্থনের কথা বলেন, তখন প্রতিপক্ষের কেউ তা অযৌক্তিক ও কাল্পনিক বললে তারা বলার চেষ্টা করেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিলেই এমনটি দেখতে পাবে। দেশের ৯৭-৯৮ শতাংশ মানুষ যুগপৎ আন্দোলনকারীদের পক্ষে অবস্থান করলে, নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারেরই বা এত প্রয়োজন পড়বে কেন? নির্বাচনের বাক্স বসিয়ে দিলেই তো সব মানুষ হুমড়ি খেয়ে ভোটের বাক্সে ব্যালট ঢুকাতে একাট্টা থাকবে। বাকি ২-৩ শতাংশের কি এত সাহস আছে যে ৯৭-৯৮ শতাংশকে ভোট কেন্দ্র থেকে তাড়িয়ে বিদায় করে দিতে পারে? যুগপৎ আন্দোলনকারীদের পক্ষে এমন জনসমর্থন থাকলে সেটি আকাশসুদ্ধ ভেদ করে চলে যেতে পারে অথবা নিচের মাটি ভেদ করে পাতাল স্পর্শ করতেও কোনো শক্তির অভাব হওয়ার কথা নয়। বাস্তবতাটা যদি এমন হতো তাহলে নির্বাচন পর্যন্ত কেন, এখনই তো মাঠের আন্দোলন যে চাপ দিত, তাতে সামান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তো দূরের কথা সরকারযন্ত্র ও আওয়ামী লীগের তাবত শক্তিকে এনে দিলেও ঠেকানোর কোনো ক্ষমতা কারো থাকার কথা নয়। উভয় শক্তিরই তো মাঠ ছেড়ে পালানোর কথা। দেশের ভোটার এবং জনগণের মনোভাব যদি বিএনপি এবং যুগপৎ আন্দোলনকারী দলসমূহের নেতাদের এতটা নিখুঁতভাবে জানা ও বোঝা হয়ে থাকে, তাহলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে যাওয়ার আগে শেখ হাসিনার সরকারকে পদত্যাগ করার দাবি নিয়ে মাঠে এত আন্দোলন, কাঠফাটা রোদে এত ঘাম ভেজানো, এত পদযাত্রা, রোডমার্চ, জনসভা, সমাবেশ করতে হবে কেন? নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করার পর নির্বাচনী মাঠ পুরোপুরি তাদেরই তো দখলে চলে যাওয়ার কথা। সেখানে শেখ হাসিনা সরকারে থাকলেই কী, ৯৭-৯৮ শতাংশের বেশি ভোটারদের তিনি বা তার সরকার কী দিয়ে রুখবেন? আওয়ামী লীগের ভোটাররা তো এমনিতেই পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না। এখনই তো কেউ কেউ আল্টিমেটাম দিয়ে থাকেন, অমুক তারিখের পর তারা দেশ থেকে পালানোর পথ খুঁজে পাবে না। যুগপৎ আন্দোলনকারী বিভিন্ন দলের নেতা পরিচয়দানকারী অনেকেই যখন টিভি টকশোতে কথা বলেন, তখন তাদের আগে কোথাও কেউ দেখেছে বলে মনে হয় না। তাদেরও সবারই এক কথা, এখনই শেখ হাসিনা সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নাহলে তিনি পদত্যাগ করারও সুযোগ পাবেন না। সব টার্গেটই শেখ হাসিনাকে কেন্দ্র করে। দেশে জনসমর্থন এত বেশি থাকার পর সরকারের পদত্যাগের দাবিরইবা প্রয়োজন পড়ে কেন? গণতন্ত্রে যেহেতু তাদের বিশ্বাস ও আস্থা আওয়ামী লীগের চাইতে অনেক বেশি বলে তাদের বক্তব্য থেকে ধরে নিতে হয়, তাহলে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই ক্ষমতার পরিবর্তন হওয়া বাঞ্ছনীয় নয় কি? গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই আওয়ামী লীগকে তারা এমনভাবে পরাজিত করবেন যে দলটির স্বয়ং সভাপতিও নির্বাচনে জিতে আসতে পারবেন কিনা- সেটিই তাদের কথামতো বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। এমন আকাশভেদী বিজয় নিয়ে যেখানে তারা নির্বাচনে জয়লাভ করে আসতে পারবেন, সেখানে যে সরকারের আর মেয়াদ আছে ১ মাসের সামান্য কিছু বেশিদিন। এরপর তো নির্বাচনকালীন সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করা ব্যতীত তাদের কোনো ক্ষমতাই থাকার কথা নয়। সেখানে এই সরকারের পদত্যাগের জন্য এত পীড়াপীড়ি কেন, পদত্যাগ করার পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করার প্রয়োজনই কেন, কোন আইনেই বা সেটি হবে, রাষ্ট্র কী এক মুহূর্তও কোনো সংবিধান ছাড়া চলতে পারে? তারা অবশ্য অনেকেই বলেন সংবিধান তো মানুষের জন্য, মানুষই তা রচনা করে। তা ঠিক বটে, তবে সেই সংবিধানটি যখন ৯৭-৯৮ শতাংশ মানুষের রায় নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনকারীরা সংসদে যাবেন, তখন করাটাই অধিকতর গণতন্ত্র ও সংবিধানসম্মত নয় কি? তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তারা ক্ষমতায় গিয়ে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিশ্রæতি তখন বাস্তবায়ন করাটাই কি শ্রেয় নয়? এখন নির্বাচনে সরকার যদি কোনো হস্তক্ষেপ করে, তাহলে দেশের ৯৭-৯৮ শতাংশ মানুষ নিশ্চয়ই বসে বসে আঙুল চুষবে না। মার্কিন ভিসানীতির কথা বাদই দিলাম। ওটা তো আমাদের সার্বভৌমত্বেরই প্রতি অবমাননার বিষয়। যুগপৎ আন্দোলনকারীদের এত জনসমর্থন থাকতে নির্বাচনে যাওয়ার জন্য এত সব দাবি-দাওয়ার প্রয়োজনই বা কেন?
এই সরকারের তো জনসমর্থনই নেই সেটা ভোটের বাক্সে প্রমাণিত হয়ে গেলে ৯৭-৯৮ শতাংশ মানুষের সমর্থন লাভকারী যুগপৎ আন্দোলনকারীসহ আরো যারা নেপথ্যে এবং আশপাশে রয়েছেন তাদের নিয়ে দেশে ভবিষ্যতের জন্য তারা কী করবেন, ‘রংধনু জাতি’ উপহার দেবেন, ‘রাষ্ট্র সংস্কার ও মেরামতের বন্দোবস্ত’ করবেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নতুনভাবে লিখবেন’, ভবিষ্যতে কেবলই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ সম্ভব হলে সব স্থানীয় সরকার নির্বাচনও তারা কীভাবে করবেন, সবকিছু তাদের সংসদে তারা পাস করিয়ে নেবেন, ’৭২ এর সংবিধানটাকে তখন তারা রাখবেন কি ছুড়ে ফেলে দেবেন সেই সিদ্ধান্তও নিতে পারবেন। তাদের ৩১ দফা আছে, সেখানে বাংলাদেশের সব সমস্যার সমাধান রয়ে গেছে। এমন দাবি তো যুগপৎ আন্দোলনকারীদের কেউ কেউ পথসভায় কিংবা টিভি টকশোতে এসে গলা হেঁড়ে বলার চেষ্টা করেন। কারো কারো কথা শুনে মনে হয়, রাষ্ট্র একটি ফুটবল, ওটাকে যেদিক খুশি সেদিকেই কিক মারা যায়। সেটি উড়বে কিক মারা ব্যক্তির ইচ্ছাতেই। তাদের কেউ কেউ বলার চেষ্টা করেন, ৫২ বছরে দেশটাতে কিছুই হয়নি। তাদের হাতে গেলেই কেবল ‘সব কিছুর বন্দোবস্ত’ হয়ে যাবে। কথায় কথায় ‘বন্দোবস্ত’ এর আওয়াজ শুনি। কিন্তু রাষ্ট্রে ‘বন্দোবস্তটা’ কেমন, এর রূপ কী হয়, এটি কোন সুতা দ্বারা বাঁধা যায়, তা তারা জনগণকে না জানালেও তাদের মাথায় যে অনেক জ্ঞান আছে। সেই জ্ঞানবুদ্ধি বোঝার মতো ক্ষমতা এ দেশে কারোই নেই বলেই কারো কারো হাবভাবে দেখা যায়। দুটি টিভি চ্যানেলকে তো বিএনপি এখনই বয়কট করেছে। মাঝেমধ্যে কোনো কোনো নেতা দু-একটা টিভি টকশোতে এসে তাদের পছন্দমতো প্রশ্ন না হলে উপস্থাপক বা উপস্থাপিকাকে ধমক দিতে ছাড়েন না। ৯৭-৯৮ শতাংশেরও বেশি মানুষের জনসমর্থনের শক্তি মনে হয় এখনই তারা অনুভব করতে শুরু করেছেন। অথচ এমনো অনেক দল রয়েছে যাদের অফিস কোথায়, কজন নেতা আছেন, কজন ভোটার আছেন- তার কিছুই এ দেশের বেশির ভাগ মানুষই জানেন না। কিছুসংখ্যক মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে যেভাবে তারা চিৎকার করেন, তাতে মনে হয় রাজনীতির সব বিদ্যাবুদ্ধি তাদের একার দখলে। তবে গত বছরখানেক থেকেই তাদের কথা গণমাধ্যমেই বেশি শোনা যায়, চেহারাও দেখা যায়। জনগণ তাদের কতটা চেনেন বা জানেন সেটা তারা এখন বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে মিশে যদি ওই সব দলের নেতাকর্মীর মতো বুঝতে থাকেন, তাহলে আমার বলার কিছু নেই। বিএনপি নিঃসন্দেহে একটি বড় দল। এরপরই আছে জামায়াতের সমর্থক, ইসলাম নামধারী বিভিন্ন দলের ভোটার ও সমর্থকরা। এরাই যুগপৎ আন্দোলনকারী এই জোটের মূল শক্তি। অন্যরা তাদের সঙ্গে আছেন দলের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রচার দিতে। বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে এখনো আশা করছে আন্দোলন অক্টোবরে জমানো যাবে। কিন্তু জমানো গেলেও সেটি কতটা শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য করতে পারবে সেটি মোটেও নিশ্চিত নয়, বিএনপির সাধারণ সমর্থকরাও খুব বেশি তা মনে করেন না। তবে বেশির ভাগ সমর্থকই মনে করেন, নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি অংশগ্রহণ করলে ভোট সুষ্ঠু হতে বাধ্য। কারণ উভয় দলেরই ব্যাপক ভোটার সমর্থক যেমন আছে, একই সঙ্গে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করে কোনো দলই এবার ভোটব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে নিতে পারবে না। নির্বাচন কমিশনও এবার সাংবিধানিক নিয়মকানুনে চলার অঙ্গীকারবদ্ধ। সরকারও দেশে-বিদেশে সর্বত্র সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। এ কথা যেহেতু প্রচারিত, তাই এর বরখেলাপ করা তাদের পক্ষে একেবারেই করা সম্ভব হবে না। সেটি ঘটলে পরিস্থিতি সামাল দেয়া সরকারের পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব হবে না। এবারের পরিস্থিতিকে অতীতের কোনো নির্বাচনের পরিস্থিতির সঙ্গে মেলানো ঠিক হবে না।
নির্বাচনে বড় দলের প্রস্তুতি নিয়ে অংশগ্রহণই ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের শক্তির ভারসাম্য তৈরি করে। একটি বড় দল অংশগ্রহণ না করলে যতটা ভারসাম্য নষ্ট হয়, ১০০টি নামসর্বস্ব সমর্থকবিহীন দল অংশ নিলে বা না নিলে কোনো লাভ-ক্ষতি হয় না। সে জন্য অভিজ্ঞতা হচ্ছে উভয় বড় দলকেই নির্বাচনে সর্বশক্তি নিয়োগ করে অংশ নিতে হয়। ২০০৮ এর নির্বাচনে উভয় দল ও জোটই অংশ নিয়েছে। বিএনপি সেই নির্বাচনে অংশ নিতে গররাজি ছিল। যদি তারা সেই নির্বাচনে অংশ না নিত, তাহলে ২০০৮ এর নির্বাচনটি নিয়ে দেশ এতটা সুষ্ঠু বলে দাবি করতে পারত না। কিন্তু তখন বিএনপিকে রাজি করাতে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনের তারিখ ৩ বার পেছাতে হয়েছিল। এটি সবারই মনে থাকার কথা। মহাজোট বিজয়ী হয়েছে কিন্তু ২০ দলীয় জোটে আসন কম হলেও ভোটাররা ভোট দিয়েছে। ২০১৪তে নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত থেকেই প্রতিহত করার জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করেছিল। অগ্নিসংযোগসহ ভয়াবহ এক পরিবেশ দেশে সৃষ্টি করেছিল। সে ক্ষেত্রে নির্বাচন না করে নির্বাচন কমিশন কী করতে পারত। অথচ ওই নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করলে সিনারিও প্রতিদ্ব›িদ্বতামূলকই হতো। কে জিতত আর কে হারত নির্বাচনের পরই কেবল জানা যেত। সেই নির্বাচন প্রতিহত করতে ব্যর্থ হওয়ার পর দল হিসেবে বিএনপি এবং জামায়াত যে সংকটে পড়ে, তা কাটিয়ে ওঠা ৫ বছরেও সম্ভব হয়নি। সে কারণেই ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপিকে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্ব মেনে নিতে হয়। প্রার্থী মনোনয়নে বিএনপির সিদ্ধান্ত দুই-তিন জায়গা থেকে ছিল। ফলে গোছানো কোনো অবস্থা ছিল না। এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়েছে সরকারি দলের অনেক প্রার্থী। এর ফলে নির্বাচনটি নামে অংশগ্রহণমূলক হলেও প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূর্ণ হতে পারেনি। এবার বিএনপি অতীতের দলীয় সমস্যাগুলো মনে হয় কাটিয়ে উঠেছে। এখন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে প্রতিদ্ব›িদ্বতামূলক এবং সুষ্ঠু নির্বাচন দেশে দেখার সুযোগ ঘটবে। কিন্তু প্রতিহত করার মতো ’১৩ সালের বাস্তবতা এবার বোধহয় নেই, প্রয়োজনটাই তো নেই। সুতরাং নির্বাচনে যে দলের সমর্থক বেশি সে দলই বিজয়ী হয়ে আসবে অন্যরা পরাজিত হবে। বিজয়ী যদি বিএনপির মহাসচিবের ভাষ্যমতে হয়, তাহলে তিনি তাদের যুগপৎ আন্দোলনের সবচাইতে দিব্যজ্ঞানসম্পন্ন নেতা হিসেবে অভিহিত হবেন।

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী : অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত), ইতিহাসবিদ ও কলাম লেখক।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়