গভর্নরের সঙ্গে আইএমএফের বৈঠক : ভবিষ্যদ্বাণী মডেলে নিরসন হবে অর্থনৈতিক সংকট

আগের সংবাদ

ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ধোঁয়াশা : নিষেধাজ্ঞাভুক্ত ব্যক্তির সংখ্যা বা পরিচয় জানায়নি > আ.লীগ-বিএনপি চাপাচ্ছে একে অন্যের ঘাড়ে

পরের সংবাদ

‘কখনোই আশাহত হই না’

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

একসময় শোবিজ অঙ্গনে তুমুল জনপ্রিয় ছিলেন আনিকা কবির শখ। জনপ্রিয়তার কারণে তাকে নিয়ে অনেক পরিচালক-প্রযোজক একের পর এক কাজ করেছেন। হঠাৎ করেই রহস্যজনকভাবে সবকিছু থেকে উধাও হয়ে যান শখ। এবার দীর্ঘ বিরতির পর আবারো টেলিভিশনের পর্দায় ফিরেছেন এই অভিনেত্রী। সম্প্রতি শখকে দেখা গেছে সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগের মাঠে ক্রিকেট খেলতে। কেন এতদিন পর্দার আড়ালে ছিলেন শখ আর ক্রিকেট নিয়ে বিভিন্ন পছন্দ-অপছন্দের কথা জানার চেষ্টা করেছেন মেহেরা রহমান

ক্রিকেটে ব্যাটিং পছন্দ না বোলিং?
আমি বোলিং একদমই পারি না, ব্যাটিংটা মোটামুটি পারি। আর ক্রিকেটও মোটামুটি পারি বলতে গেলে। ক্রিকেট খেলাটা দেখতে ভালোই লাগে।

বাংলাদেশ যখন ম্যাচ জিতে যায়, তখন কেমন লাগে?
আমার দেশ যখন জিতে যায়, তখন অনেক বেশি ভালো লাগে। ক্রিকেট সব সময় দেখা হয়। আমার পরিবার, বাবা, জামাই- সবাই মিলে একসঙ্গে আমরা ক্রিকেট খেলা দেখি। আর বাংলাদেশ হেরে গেলেও আমার সব সময় ফেসবুকে পোস্ট থাকে, তাদের উৎসাহ দেয়ার জন্য। আমি কখনোই আশাহত হই না।

কী নিয়ে ব্যস্ততা কাটছে?
সম্প্রতি বেশ কিছু সিঙ্গেল নাটকে কাজ করেছি। একটা সিরিয়ালে কাজ করছি, সেটা খুব দ্রুতই অন এয়ার হবে। এছাড়া বড় একটা সারপ্রাইজ আছে, দ্রুতই সবাইকে জানাব।

দীর্ঘ বিরতির কারণ কী ছিল?
যাদের কাছের মানুষ ভাবতাম, তাদের কারণে বিরতি নিতে বাধ্য হয়েছি। কারণ ওই সময়ে আমার সঙ্গে একটা বিপর্যয় ঘটে। ওই সময় আমার ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়ে গিয়েছিল। ফোনও হারিয়ে ফেলেছিলাম। বাধ্য হয়ে নিজের ব্যবহৃত নম্বরটিও পরিবর্তন করতে হয়েছিল।
সেগুলো ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে করতে আমি ভীষণ হতাশ হয়ে পড়ি। একটা সময় গিয়ে মনে হলো, ঠিক আছে, বাদ দেয়া যাক। তবে আমি বিশ্বাস করি, কারো জায়গা কেউ নিতে পারে না। আর আমি এত ছোট থেকে কাজ শুরু করেছি যে আমার বিশ্বাস ছিল, আমার দর্শক আমাকে কখনো ভুলে যাবে না। এখন তো আবার ফেসবুকে নিয়মিত আমি। সবার সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। কাজও হচ্ছে। স্টেজ শো করছি। অভিনয় করছি।
বিরতির সময়টা কীভাবে কেটেছে?
বিয়ের পরপর কাজের জন্য অনেকেই ফোন করতেন। এমনকি আমি যখন অন্তঃসত্ত্বা, তখনো বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ের জন্য কেউ কেউ আমাকে ফোন করেছেন। সে সময় নতুন বিয়ে, কাজের চেয়ে নতুন সংসারকে প্রাধান্য দিয়েছিলাম। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে ছিলাম। শ্বশুর নেই, শাশুড়ির দেখভাল থেকে শুরু করে সংসারটা গোছাচ্ছিলাম। তাছাড়া করোনার মধ্যে কাজের তেমন আগ্রহও ছিল না।
সবমিলে ফোন নম্বর পরিবর্তন করতে হয়েছিল, যাতে আমার কর্মক্ষেত্রে কারো সঙ্গে ভুল-বোঝাবুঝি না হয়। আমিও তো কারো সন্তান। আমারো সংসার, সন্তান আছে। ওই জায়গাটা তো ভুলে গেলে চলবে না। কর্মক্ষেত্র আর পরিবার দুটোই তো ঠিক রাখতে হবে। শুধু যে আমি একজন শিল্পী, তা তো নয়। একটু বিরতি নিয়ে আমার পারিবারিক জায়গাটাও আমি ঠিক রেখেছি।

আপনাকে এখন নিয়মিত পাওয়া যাবে কিনা?
এখন আবার ফিরে এসেছি। নিয়মিত কাজ করব। আর উৎসব আয়োজনেও শখকে পাওয়া যাবে। কারণ খালি মাঠে সবাই গোল করতে পারে। ভরা মাঠে পারে না। আমি গোল দিয়েছি ভরা মাঠে। আমি বিশ্বাস করি, যে প্লেয়ার সে সব সময় খেলতে পারে। তাকে যে মাঠে ছেড়ে দেয়া হোক না কেন। হ্যাঁ, প্রতিযোগিতা না থাকলে আসলে খেলে মজা পাওয়া যায় না। আমার মনে হচ্ছে মাঠটা খালি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়