সম্পাদক পরিষদ : সাংবাদিক নির্যাতনের হাতিয়ার সাইবার নিরাপত্তা আইন

আগের সংবাদ

বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায় যুক্তরাষ্ট্র : সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পরের সংবাদ

গভর্নরের সঙ্গে আইএমএফের বৈঠক : ভবিষ্যদ্বাণী মডেলে নিরসন হবে অর্থনৈতিক সংকট

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গতিশীলতা বাড়াতে ব্যাংক, রাজস্ব ও পুঁজিবাজারের মোট ৪৭টি সংস্কার প্রস্তাবের পাশাপাশি নতুন করে অর্থনৈতিক ভবিষ্যদ্বাণী মডেল প্রস্তুতে আগ্রহ দেখিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। দাতা সংস্থাটির ঢাকা সফররত কারিগরি সহায়তা (টিএ) দল জানায়, নতুন মডেলের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সংকট নিরসন হবে এবং অর্থনৈতিক ক্ষতি কমিয়ে আসবে। যার ফলে দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হবে ও নতুন গতি লাভ করবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, দেশের অর্থনীতিতে তা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এমন প্রস্তাব বাস্তবায়নে সব সহযোগিতা করা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সভাপতিত্বে গতকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে অর্থনৈতিক ভবিষ্যদ্বাণী মডেল প্রস্তুত প্রস্তাব করে আইএমএফের ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল। এ সময় সংস্থাটির পক্ষ থেকে ‘ইকোনমিক মডেল ফোরকাস্টিং’ শীর্ষক একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়। জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, আইএমএফের কারিগরি কমিটির সঙ্গে বৈঠক অর্থনৈতিক ফোরকাস্টিং মডেলসহ বিভিন্ন আলোচনা হয়েছে। গভর্নর তাদের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, আইএমএফের উদ্দেশ্য হলো সম্ভাব্য এক্সটেনডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি, এক্সটেনডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি প্রোগ্রাম এবং নতুন তৈরি রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির (আরএসএফ) অধীনে ভবিষ্যতে কীভাবে অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা যায়।
উল্লেখ্য, গত ১৮ জুন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসের জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে নীতি সুদহারের করিডোর প্রথা, সুদহারের সীমা প্রত্যাহার ও রিজার্ভের প্রকৃত হিসাবায়নসহ নানা বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করা হয়। এর আগে গত বছরের জুলাই মাসে সংস্থাটির কাছে ঋণের আবেদন করে সরকার। ঋণের শর্ত হিসেবে সংস্থাটির পক্ষ থেকে ৪৭টি সংস্কার প্রস্তাব দেয়া হয়। এসব দাবি ধাপে ধাপে বাস্তবায়নের প্রতিশ্রæতি দেয়ার পর ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন দেয়া হয়।
আইএমএফ ঋণের প্রথম কিস্তির অর্থ ছাড় করে গত ফেব্রুয়ারিতে। সব স্বাভাবিক থাকলে দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ নভেম্বর মাসে মিলতে পারে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়