সাংবাদিকদের আবাসন সমস্যা সমাধানে সার্বিক সহযোগিতা করব : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

আগের সংবাদ

সাইডলাইন কূটনীতিতে বাজিমাত : সম্মানিত করেছে ভারত, চাপমুক্ত সরকার > পঞ্চবটীতে ভূ-রাজনীতির নতুন সমীকরণ

পরের সংবাদ

ভারতের সঙ্গে তিন সমঝোতা চুক্তি সই : অমীমাংসিত ইস্যুগুলো দ্রুত সমাধান হোক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিস্তাসহ অমীমাংসিত ইস্যু আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারা উভয় দেশের বিদ্যমান গভীর সম্পর্ক নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং এ সম্পর্ককে আরো এগিয়ে নেয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছেন। গত শুক্রবার ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে দুদেশের শীর্ষ নেতার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকের আগে দুদেশের মধ্যে ৩টি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এগুলো হলো : কৃষি গবেষণায় সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক বিনিময় ও দুদেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে আর্থিক লেনদেন সহজীকরণ। ভারত আমাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। প্রধানমন্ত্রী ভারত থেকে আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য ভারত সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন। ভারতে গতকাল থেকে অনুষ্ঠেয় দুদিনব্যাপী জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে অতিথি দেশ হিসেবে আমন্ত্রিত বাংলাদেশ। এই সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার নয়াদিল্লি পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক আগামী দিনে নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে। এ সম্পর্ক আরো এগিয়ে নিতে দুই প্রধানমন্ত্রীর সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা হয়েছে বলে মনে করি। বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এসেছে। দুদেশের মধ্যে বহুল প্রত্যাশিত বিভিন্ন চুক্তির ফলে সম্পর্কের উচ্চতা ক্রমাগত বেড়েছে। ভবিষ্যতে ভারতের সঙ্গে অমীমাংসিত ইস্যুগুলোর সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাধান, নতুন আরো চুক্তি স্বাক্ষরসহ ঢাকা-দিল্লির ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে আমরা প্রত্যাশা রাখছি। খুব স্বাভাবিকভাবেই তিস্তা নদীর পানিবণ্টন নিয়ে প্রশ্ন আসে। ভারতের চাওয়াগুলোর বেশির ভাগ পূরণ হলেও বাংলাদেশের কিছু অপ্রাপ্তি রয়ে গেছে। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের পানির গুরুত্বপূর্ণ উৎস তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তির অনিশ্চয়তা দূর হয়নি। এক দীর্ঘসূত্রতার পাকে পড়ে গেছে এটি। আন্তর্জাতিক নদী হিসেবে ন্যায্য হিস্যা পাওয়ার অধিকার থাকলেও শুকনো মৌসুমে তিস্তার পুরো পানিই ব্যবহার করছে ভারত। তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তিসহ ভারত ও বাংলাদেশের অন্য অমীমাংসিত বিষয়গুলোর দ্রুত সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকের পর টুইটারে (বর্তমানে এক্স) পোস্ট দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। গত ৯ বছরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অগ্রগতি খুবই সন্তোষজনক। আমাদের আলোচনায় কানেক্টিভিটি, বাণিজ্যিক সংযুক্তি এবং আরো অনেক বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ এবং কূটনীতিকরা। ভারতের সহযোগিতা আমাদের প্রয়োজন। তবে এ ক্ষেত্রে উভয় দেশের নেতৃত্বেরই সদিচ্ছা থাকতে হবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতামূলক চুক্তির প্রেক্ষাপটে দুদেশের জনগণের প্রত্যাশা, তিস্তা চুক্তি সম্পাদনসহ অমীমাংসিত অন্য বিষয়গুলোরও দ্রুত সমাধান হবে। পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে দেশ দুটির মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অটুট থাকুক। দুদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক তথা সব ধরনের যোগাযোগ ও সহযোগিতা ক্রমেই জোরদার হোক- এমন প্রত্যাশা করছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়