সাংবাদিকদের আবাসন সমস্যা সমাধানে সার্বিক সহযোগিতা করব : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

আগের সংবাদ

সাইডলাইন কূটনীতিতে বাজিমাত : সম্মানিত করেছে ভারত, চাপমুক্ত সরকার > পঞ্চবটীতে ভূ-রাজনীতির নতুন সমীকরণ

পরের সংবাদ

আয়কর আইন ২০২৩ : রাজস্ব আয় বৃদ্ধি সহায়ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সদাশয় সরকার সুপ্রিম কোর্টের সিভিল আপিল নং-৪৮/২০১১-এর নির্দেশনা অনুযায়ী আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ রহিতক্রমে আয়কর আইন, ২০২৩ (২০২৩ সালের ১২নং আইন) ২০ জুন, ২০২৩ তারিখে মহান জাতীয় সংসদে পাস করেন। বাংলা ভাষায় প্রণীত এই আইন ১ জুলাই ২০২৩ থেকে কার্যকর হয়েছে। পুরাতন অধ্যাদেশে নেই এই রকম নতুন কিছু বিধানের চুম্বক অংশ নিম্নে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো।
প্রত্যেক করদাতাকে কর দিবসের মধ্যে বা ইহার পূর্বে রিটার্ন জমা করিতে হইবে। সময় প্রার্থনার সুযোগ নাই। কর দিবসের পর জমাদানের ক্ষেত্রে প্রদেয় করের ওপর মাসিক ৪ শতাংশ হারে বিলম্ব কর প্রদান করিতে হইবে, যাহা সর্বোচ্চ ২৪ মাস হবে। নতুন আইনের ১৮০ ধারায় বকেয়া আয়কর রিটার্ন জমাদানের সুযোগ দেয়া হয়েছে যাহা পুরাতন আইনে ছিল না। বিলম্বিত বার্ষিক কর হার দাঁড়ায় ৪৮ শতাংশ। কর অব্যাহতি ও কর রেয়াতবিহীন অতিরিক্ত প্রদেয় কর দাতাদের যথাসময়ে কর রিটার্ন জমাদানে সচেষ্ট করবে। কর দিবসের মধ্যে রিটার্ন জমা দিতে না পারলে কর অব্যাহতি ও কর রেয়াতপ্রাপ্ত হইবেন না। অতালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার হস্তান্তরের ক্ষেত্রে শেয়ারের অভিহিত মূল্য এবং ন্যায্যমূল্যের পার্থক্যের ওপর ১৫ শতাংশ হারে কর প্রদানের চালান যুক্ত না করলে হস্তান্তর নিবন্ধিত হবে না। এই ক্ষেত্রে শেয়ার হস্তান্তরকে পূর্বে পেশাদার মূল্যায়নকারী কর্তৃক মূল্যায়ন রিপোর্ট তৈরি করতে হবে। যে কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে নগদ অর্থে কোনো টাকা বেতন হিসেবে প্রদান করা যাবে না। নগদে প্রদত্ত বেতন, আয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাবে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঘর ভাড়া ক্রস চেক অথবা ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে ৫ শতাংশ উৎসে কর কর্তনপূর্বক পরিশোধ করতে হবে নতুবা উক্ত খরচ আয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাবে। বেসরকারিভাবে গঠিত ও অনুমোদিত প্রভিডেন্ট ফান্ড, সুপার এনুয়েশন ফান্ড ও গ্র্যাচুইটি ফান্ডসমূহকে নির্দিষ্ট সময়ে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হবেও ব্যক্তি সংঘের হার ২৭.৫ শতাংশ অনুযায়ী কর পরিশোধ করতে হবে। রাজস্ব বোর্ড পত্রিকায়/সাধারণ আলোচনার প্রেক্ষিতে স্পষ্টীকরণ প্রকাশ করেছেন কিন্তু পুরাতন ও নতুন আইনের পরিবর্তনসমূহের আলোকে প্রায়োগিক ব্যাখ্যা দেয়া অত্যন্ত জরুরি, না হয় ভুল চর্চায় রিটার্ন দাখিল হয়ে যাবে ও করদাতারা অহেতুক হয়রানির শিকার হবেন। গণতান্ত্রিক পরিমণ্ডলে সার্বভৌম সংসদে ৩৯ বছর পর অধ্যাদেশের পরিবর্তে নতুন আয়কর নতুন আইন, ২০২৩ পাওয়া সৌভ্যগ্যের ব্যাপার। ইংরেজির পরিবর্তে উক্ত আইন বাংলায় প্রণয়ন করা হয়েছে। পূর্বের ১৮৭টি ধারার স্থলে নতুন আইনে ৩৪৫টি ধারা প্রণীত হয়েছে। নতুন প্রবিধান সংযোজনসহ পূর্ণাঙ্গ বিধিমালা ব্যতিরেকে ইহা এই মুহূর্তে একটি চলমান আইন যাহা ১ জুলাই ২০২৩ থেকে কার্যকর। আশা করা হয়েছিল আয়কর অধ্যাদেশের সাংঘর্ষিক বিষয়সমূহ এই আইনে অবমুক্ত করা হবে। কিন্তু রাজস্ব বৃদ্ধির পরিকল্পনায় প্রণীত আইনে বিষয়গুলো উপেক্ষিত হয়েছে। যে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ফার্ম, ফাউন্ডেশন, এনজিওবিষয়ক ব্যুরো বা মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির সহিত নিবন্ধিত কোনো প্রতিষ্ঠান, সমিতি, সমবায় সমিতিকে কোম্পানি হিসেবে সংজ্ঞায়িত করায় করহার আরোপণে প্রায়োগিক সমস্যা হবে। এর স্পষ্টায়ন করা অত্যন্ত জরুরি। সঞ্চয় অর্থনীতির একটি সহায়ক শক্তি। সঞ্চয় বৃদ্ধিকল্পে সরকার অনুপ্রাণিত করার স্থলে বিনিয়োগ সুবিধা ব্যাপক খর্ব করা হয়েছে। যাহা পুরাতন আইনে বিনিয়োগ ১ কোটি টাকার স্থলে বর্তমানে ১০ লাখ টাকা করা হয়েছে। যাহা অত্যন্ত হতাশাব্যঞ্জক। ফলে সঞ্চয়ে নৈতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাজার মূল্যের তারতম্যের কারণে জমি নিবন্ধনে সরকারি মৌজা হার এতকাল প্রয়োগ করা হতো এবং মূলধনী লাভের ওপর উৎসে কর কর্তিত কর চূড়ান্ত করদায় হিসেবে বিবেচিত হতো। বর্তমান আইনে উৎসে কর দ্বিগুণ করা হয়েছে অথচ চূড়ান্ত করদায় হিসেবে বিবেচিত হয়নি, ফলে কর কর্মকর্তাগণ ৫৮ ধারায় ক্রেতার ক্রয়মূল্যকে পুনরায় ন্যায্য বাজারমূল্যে বিবেচনা করার সুযোগ পাবেন। ন্যায্য বাজারমূল্যের তালিকা রাজস্ব বোর্ড প্রণয়ন করবে। এতে ভূমি মন্ত্রণালয় বা সাব রেজিস্ট্রারের কোনো ভূমিকা থাকল না। সরকারের ২ মন্ত্রণালয়ের সাংঘর্ষিক কার্যক্রম জনভোগান্তির কারণ হবে। এই সমস্যার পুনর্বিবেচনা প্রয়োজন। জমি সরকার কর্তৃক অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে বিক্রেতার পূর্বোক্ত সমস্যায় পড়ার শঙ্কা আছে (ধারা পুরাতন ৮২ সি (২) (ডি) ক্রমিক (৫)। উক্ত সমস্যা ভূমির মালিক ও ডেভেলপার কোম্পানিরও হতে পারে। পূর্বে এই খাতে প্রাপ্তি চূড়ান্ত করদায় হিসেবে বিবেচিত হতো। বর্তমানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ন্যায্য বাজারমূল্য বিবেচনা করলে ক্ষতি পূরণের প্রাপ্ত টাকার ক্ষেত্রে বৈষম্য হতে পারে। পূর্বের আইনে সরকার কর্তৃক জমি অধিগ্রহণের সময় উৎস কর্তিত কর, সম্পত্তি হইতে উৎসে কর চূড়ান্ত করদায় হিসেবে বিবেচিত হতো। বর্তমানে এই সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছে বিধায় সম্পত্তির বিক্রয়মূল্য ও মূলধনী লাভ কর কর্তৃপক্ষ পুনরায় ‘বাজারমূল্যে’ নির্ধারণের সুযোগ রয়েছে। এতে জনভোগান্তির শঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না। সরকার উৎসে কর কর্তনের আলোচ্য এসআরও জারি করেছে নতুন আইন পাস করার দিনে। আবার ১৭ দিনের মাথায় পুনরায় সংশোধনী করল। পূর্বে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল থেকে প্রাপ্ত অর্থ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত করমুক্ত ছিল। বর্তমানে ১০ শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তন করতে হবে। উক্ত কর কর্তনের ফলে দুর্মূল্যের দিনে শ্রমিক কল্যাণ ব্যাহত হবে। আয়কর আইনের ১৩২ ধারায় কোনো নিবাসী জাহাজ মালিকের পণ্য পরিবহনে ৫ শতাংশ হারে কর পরিশোধ শর্তাধীনে ২ বা ততোধিক দেশে প্রদত্ত পরিসেবার ওপর ৩ শতাংশ হারে কর পরিশোধ করার কথা বলা আছে অন্যদিকে ষষ্ঠ তফসিলের ১ম অংশের (৩৩) অনুচ্ছেদে ৩০ জুন ২০৩০ অবধি বাংলাদেশ পতাকাবাহী জাহাজের অর্জিত বৈদেশিক আয়কে করমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। সরকার অডিট মামলা নিষ্পন্ন করার জন্য অনুসন্ধানকারী টিম, অডিট টিম এবং অডিট কিউরেটর নিযুক্তির মাধ্যমে এক বিশাল দক্ষ যজ্ঞের ব্যবস্থা করেছেন। ফলে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নিরসন ব্যয়বহুল হবে। পূর্বে প্রত্যেক কোম্পানি ও নির্দিষ্ট করদাতাদের বছরে ২ বার উৎসে করের রিটার্ন জমা দিতে হতো, বর্তমানে ১২ মাসে ১২টা রিটার্ন জমা দিতে হবে। ব্যবসা থাক বা না থাক বিধিবদ্ধ রিটার্ন যথাসময়ে না দিলে জরিমানা গুনতে হবে। ব্যবসায়ী সমৃদ্ধ পার্লামেন্ট উক্তরূপ আয়কর আইন জনভোগান্তি বৃদ্ধির সহায়ক হওয়া সময়ের ব্যাপার মনে হয়। বর্তমানে ৪৩ প্রকারের সেবা প্রাপককে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণক জমা দিতে হবে যাহা পূর্বে ৩৮ প্রকারের সেবায় নির্দিষ্ট ছিল। ট্রাস্ট, তহবিল, ফাউন্ডেশন, এনজিও, সোসাইটি এবং সমবায় সমিতির ব্যাংক হিসাব খুলতে ও কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি সিটি করপোরেশন এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিতে বাড়ির মালিকের রিটার্ন জমাদানের রসিদ লাগবে। প্রথমোক্ত ক্ষেত্রে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার আগে রিটার্ন জমা দেয়ার ব্যাপার বোধগম্য নয়। ২য় ক্ষেত্রে ভাড়াটিয়া নেয়ার সময় জমিদারের রিটার্ন জমাদানের প্রমাণ চাওয়া প্রাসঙ্গিক বটে। কর অব্যাহতি প্রাপ্তির নিমিত্তে বিনিয়োগের ক্ষেত্রসমূহ (ষষ্ঠ তফসিল অংশ-৩) (ক) অনধিক ৫ লাখ টাকার সরকারি সিকিউরিটিজ। (খ) আইসিবি ইউনিট, মিউচুয়াল ফান্ড, ইটিএফ অথবা যৌথ বিনিয়োগ স্কিম অনধিক ৫ লাখ টাকা। (গ) ডিপিএস ১,২০,০০০ টাকা (পূর্বে ছিল ৬০,০০০)। (ঘ) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন অধীন পরিচালিত কোনো স্টক এক্সচেঞ্জের সহিত তালিকাভুক্ত কোনো সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ। (ঙ) বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত সিটি করপোরেশনের বাইরে স্থাপিত কোনো দাতব্য হাসপাতালে দানকৃত অর্থ। (চ) জাকাত তহবিল ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩-এর অধীন কোনো তহবিলে প্রদত্ত যে কোনো অর্থ। (ছ) স্ত্রী, সন্তান বা নির্ভরশীলদের সুবিধার্থে বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত তহবিল বা স্কিমে প্রদত্ত অর্থ বা যৌথ বিমা প্রিমিয়াম। (জ) সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কোনো জনকল্যাণমূলক বা শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠানে প্রদত্ত অর্থ। (ঝ) স্বাধীনতাযুদ্ধ স্মরণে প্রতিষ্ঠিত কোনো জাতীয় পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানে প্রদত্ত অর্থ। (ঞ) জাতির পিতার স্মরণে প্রতিষ্ঠিত কোনো জাতীয় পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানে প্রদত্ত অর্থ। করমুক্ত আয় : ব্যক্তি ৩,৫০,০০০ টাকা, মহিলা ও ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে পুরুষ ৪,০০,০০০ টাকা, ৩য় লিঙ্গ ৪,৭৫,০০০ টাকা, প্রতিবন্ধী ৪,৭৫,০০০ টাকা, গেজেটেড যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ৫,০০,০০০ টাকা। ধনের ওপর কর বা সারচার্জ ৪ কোটি টাকা পর্যন্ত শূন্য শতাংশ। ৪-১০ কোটি টাকার পরিসম্পদ অথবা একাধিক গাড়ি থাকলে বা ৮,০০০ বর্গফুটের ওপর বাড়ি থাকলে করের ১০ শতাংশ, ১০-২০ কোটি টাকার পরিসম্পদ থাকলে করের ২০ শতাংশ, ২০-৫০ কোটি টাকার পরিসম্পদ থাকলে করের ৩০ শতাংশ ও ৫০ কোটির টাকার পরিসম্পদ থাকলে করের ৩৫ শতাংশ। কর অব্যাহতি (ধারা ৭৮) : নিবাসী ও অনিবাসী বাংলাদেশি করদাতা নিম্নবর্ণিতভাবে কর রেয়াত প্রাপ্ত হইবেন (ক) ০.০৩ ী ‘ক’ ী (মোট আয়) (খ) ০.১৫ ী (অনুমোদিত বিনিয়োগ) বা (গ) ১০ লাখ টাকা ৩টির মধ্যে যাহা কম। ৩ কোটির ঊর্ধ্বে বিক্রয় থাকলে প্রত্যেক অংশীদারি ফার্ম, ব্যক্তিসংঘ, তহবিল এবং দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি হইতে আয় প্রাপ্ত যে কোনো ব্যক্তিকে রিটার্নের সঙ্গে নিরীক্ষিত হিসাব আয়কর রিটার্নের সঙ্গে দাখিল করতে হবে। বর্তমানে ডিভিডেন্ট আয়, ইউনিট ফান্ড ও মিউচুয়াল ফান্ড থেকে প্রাপ্ত আয়ে কোনো কর মওকুফ নাই। তবে কর পরিশোধিত লভ্যাংশে কর ছাড় আছে [৬ষ্ঠ তফসিল (৩২)]। *চাকরি হইতে আয়ের ১/৩ শতাংশ বা ৪,৫০,০০০ টাকা মধ্যে যাহা কম কর অব্যাহতি পাইবে। পূর্বের খাতওয়ারি অব্যাহতি বর্তমানে নাই।
এই আইন ১ জুলাই থেকে কার্যকর আছে। সরকার নতুন করদাতাদের সহযোগিতা করার জন্য ‘আয়কর রিটার্ন প্রস্তুতকারী’ তালিকাভুক্ত করবে এবং তারা সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নির্ধারিত ভৌগোলিক এলাকায় নতুন করদাতাদের রিটার্ন প্রস্তুত করে দেবে। সুতরাং আয়কর বিভাগ ও করদাতাদের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করে রিটার্ন দাখিল ও আয়কর আদায়ে তারা সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এর জন্য রিটার্ন প্রস্তুতকারীরা সরকার থেকে নির্দিষ্ট হারে প্রণোদনা পাবেন এবং সরকারের রাজস্ব আয় ও বৃদ্ধি পাবে।

এস কে বসাক, এফসিএ : কলাম লেখক।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়