বিএনপির দাবি : রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের সক্ষমতা নেই সরকারের

আগের সংবাদ

স্বর্ণ গায়েব নিয়ে অনেক প্রশ্ন

পরের সংবাদ

বিরোধীদের সরকার পতন আন্দোলন আগ্রহ-অনাগ্রহের দোলাচলে

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতৃত্বে ও জামায়াতের সমর্থনে কিছু নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দল বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে গত বছর থেকে আন্দোলন করে আসছে। তাদের আন্দোলন যুগপৎ কর্মসূচিভিত্তিক। আপাতত তারা সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারব্যবস্থা গঠন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, তারপর জাতীয় সংসদ নির্বাচন এমন দাবিতেই রয়েছে। নির্বাচনের আর মাত্র ৪ মাসের সামান্য কিছু বাকি। আন্দোলনের কর্মসূচি এরই মধ্যে দেশবাসীর জানা এবং দেখা। জুলাই মাসের পর থেকে আন্দোলন মূলতই ঢাকাকেন্দ্রিক পদযাত্রা ও সমাবেশনির্ভর- যেগুলোতে দলীয় নেতাকর্মীরাই মূলত অংশগ্রহণ করে থাকে। অনেকবারই সরকার পতনের দিনক্ষণের কথা বলা হয়েছিল। মানুষকে নিশ্চিত করে বলা হয়েছিল যে সরকার আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না, দেশ ছেড়ে পালাতে হবে। সেসব কথা শুনতে শুনতে এখন সেপ্টেম্বর চলে এসেছে। সেপ্টেম্বরেই নাকি পতন ঘটবে। আবার কেউ কেউ অক্টোবরের কথাও বলেছেন। এখন অবশ্য দিনক্ষণের কথা কেউ বলছেন না। আন্দোলনে এক ধরনের ভাটা সৃষ্টি হয়েছে। জোয়ার সৃষ্টির কথা শোনানো হচ্ছে। সেটি দেখার জন্য আমাদের চাঁদের অমাবস্যা এবং পূর্ণিমার অপেক্ষা করতে হবে হয়তো। তবে পূর্ণিমায় চাঁদের আলো নান্দনিক দৃশ্য সৃষ্টি করলেও জোয়ারের শক্তি ততটা নয়, যতটা অমাবস্যার কালো রাত্রিতে হয়। তবে রাজনীতিতে জোয়ার-ভাটা চাঁদের পূর্ণিমা আর অমাবস্যার মতো ঘুরে ঘুরে আসে না। আন্দোলনের কিছু পূর্বশর্ত আছে, যা পূরণ না হলে তা সৃষ্টি করা যায় না।
বাংলাদেশে সরকারের পক্ষে যেমন জনসমর্থন আছে, বিপক্ষেও রয়েছে। তবে কোনটা কত বেশি নাকি কম, সেটা সহজে কেউ বলতে পারবে না। নানা ঘটনা এবং পরিবেশ-পরিস্থিতিতে জনমত ও জনসমর্থন সরকারের পক্ষে বা বিপক্ষে ওঠানামা করে। বিরোধীদের পক্ষেও সেরকমটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা আদর্শিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের চাইতে সম্পূর্ণ ভিন্ন। এখানে সরকারি দল, বিরোধী দল কিংবা সরকারি জোটবিরোধী জোটের মধ্যে রাজনৈতিক মতাদর্শগত অবস্থানটি সম্পূর্ণ বিপরীত। সে কারণে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি নানা কারণে অসন্তুষ্ট হলেও রাজনীতি সচেতন কোনো মানুষই চট করে বিরোধী পক্ষে নিজের অবস্থান নিতে চায় না। এর কারণ হচ্ছে বিপরীত মেরুর অবস্থানকারী দল এবং জোটসমূহের আদর্শের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের অনুপস্থিতি যেমন রয়েছে, সাম্প্রদায়িকতার ওপর নির্ভরশীলতাও প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া স্বাধীনতাবিরোধী, অতিডান, অতিবামই শুধু নয়, বিএনপির মধ্যেও মতাদর্শগত নৈকট্য তাদের অনেকটাই কাছাকাছি। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে সাধারণ পর্যায়েও বিষয়টি এখন অনেকের কাছে স্পষ্ট। সে কারণে আওয়ামী লীগের প্রতি কারো কোনো কারণে মনোক্ষুণ্ন হওয়ার মতো কিছু ঘটলে নীরবতা কিংবা নিজেকে গুটিয়ে নেয়ার প্রবণতা থাকলেও অনেকেই বিপরীত জোটে হাত মেলান না। তবে স্বার্থের বিষয়টি যাদের কাছে প্রাধান্য পায়, তারা অবস্থান বদল অতীতে যেমন করেছে, এখনো সুযোগের অপেক্ষায় আছে এমনটি বলতে দ্বিধা নেই। বাংলাদেশে এমন বাস্তবতায় রাজনৈতিক বিভাজনটি অবস্থান করছে। সে কারণে বিরোধী দলের আন্দোলন বছরের বেশি সময় ধরে চলে এলেও তাতে হুমড়ি খেয়ে পড়ার মতো কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি।
এ মুহূর্তে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে মানুষের মধ্যে নানা ক্ষোভ এবং অস্বস্তি থাকা সত্ত্বেও বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রতি হেলে পড়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এরও যথেষ্ট কারণ রয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে গত ১৫ বছরে যেসব পরিবর্তন সাধিত হয়েছে, তাতে সব স্তরের মানুষের আর্থসামাজিক এবং জীবনব্যবস্থার মধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। বর্তমান অর্থনৈতিক চাপ এবং বাজার দরটা যদি এতটা না হতো, তাহলে মানুষের মধ্যে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটানোর তেমন কোনো বড় কারণ থাকত না। স্থানীয় আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকর্মীর বাড়াবাড়ির প্রতি অসন্তুষ্টি এবং ক্ষোভ থাকলেও দেশে নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার বিকল্প বিরোধী শিবিরে কেউ খুব একটা দেখছেন না। বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে অগ্রসর করে নেয়ার মতো সরকারপ্রধান হিসেবে শেখ হাসিনার বিকল্প আওয়ামী লীগেও যেখানে দেখা যাচ্ছে না, সেখানে বিরোধী দলের নেতৃত্বের অবস্থান নিয়ে জোয়ার সৃষ্টি করার মতো কাউকে দেখা যাচ্ছে না। আন্তর্জাতিক রাজনীতির খুঁটিনাটি বিষয় সবাই না বুঝলেও বিশ্বে এখন বাংলাদেশকে নিয়ে মোড়লিপনা চলছে এটি গ্রামের সাধারণ মানুষও বুঝতে পারছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে গ্রামাঞ্চলেও আলোচনা, সমালোচনা রয়েছে। বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের কারণ হিসেবেও বেশির ভাগ মানুষই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্যাংশনকে দায়ী করছে। একইভাবে বাংলাদেশকে নিয়ে তাদের এত আগ্রহের বিষয়টিও সবার সুনজরে নেই। অন্যদিকে আমাদের আন্দোলনরত বিরোধী দলগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সমর্থন পাচ্ছে, এমনটিও সাধারণ মানুষের দৃষ্টি এড়িয়ে যাচ্ছে না। সুতরাং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন নিয়ে কোনো সরকার সরাসরি ক্ষমতাসীন হবে এটিও অনেকে চাচ্ছে না। ফলে সরকারবিরোধী আন্দোলনে এদের সমর্থন জোরদার হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
অন্যদিকে মফস্বলে কিংবা গ্রামগঞ্জে যারা একসময় বিএনপি ও জামায়াতের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিল, তাদের অনেকেই এখন এই আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি দেখা ও বোঝার চেষ্টা করছে মাত্র। জামায়াতের নেতাকর্মীরা গোপনে সক্রিয় আছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের বড় অংশই এখন আগের মতো সক্রিয় নয়। শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে সামাজিক নিরাপত্তার বলয় বেষ্টনীতে অনেক বয়স্ক, বিধবা, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষ, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষার্থীর পরিবার অবস্থান করছে। প্রায় ৮ লাখ গৃহহীন পরিবার শুধু গৃহই পায়নি, হতদরিদ্র অবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়ে তারা যে নতুন জীবনের স্বাদ পেয়েছে সেখানে বিরোধীদের হানা দেয়া মোটামুটি অসম্ভব ব্যাপার। সবকিছু মিলিয়ে বিরোধীরা যখন আন্দোলন এই আগস্ট-সেপ্টেম্বর তুঙ্গে তোলার কথা ছিল, সেই সময় বড় বড় মেগাপ্রকল্পগুলো উদ্বোধন হচ্ছে, যা নিয়ে অনেক মানুষই ভবিষ্যৎকে নতুনভাবে দেখার সুযোগ পাচ্ছে। রুশ বিপ্লবের নেতা লেনিন বিপ্লবের অন্যতম বস্তুগত একটি কারণ উল্লেখ করে বলেছিলেন যে, জনগণ যখন পূর্বের অবস্থায় আর থাকতে চায় না, শাসকরাও যখন পূর্বের অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে পারে না, তখনই কেবল বিপ্লব কিংবা পরিবর্তন ঘটানো যেতে পারে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতা বিশ্লেষণ করলে এমন বস্তুগত কারণ খুঁজে পাওয়া যাবে না। শেখ হাসিনার সরকার অনেক কিছুই বদলে দিয়েছে, তাতে সমাজের অবহেলিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান বাদ যায়নি। তাদের চরম অসন্তুষ্টির কারণও দেশে ঘটেনি। সুতরাং সমাজের বিত্তহীন অতিদরিদ্র মানুষের মধ্যেও আশাজাগানিয়ার একটি বাস্তবতা বিরাজ করছে। সবাই কমবেশি পরিবর্তনের মধ্যেই রয়েছেন। সে কারণেই সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যেও বিরোধীদের আন্দোলন তেমন কোনো আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারেনি। মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তের অনেকেই অনেকভাবে এখন দেশে-বিদেশে নিজেদের অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। সবাই হয়তো পারেননি। একসময়ের তলাবিহীন ঝুড়ি, ভিক্ষুক-মিসকিন, বন্যা-দুর্ভিক্ষপীড়িত দেশের তকমা পাওয়া রাষ্ট্রে শেখ হাসিনার শাসনামলেই একটি উল্লম্ফন ও উত্তরণ পর্ব সৃষ্টি হয়েছে, যা আগের কোনো সরকারের আমলে কেউ কল্পনা করতে পারেনি। এই উল্লম্ফন ও উত্তরণকালটি একটি সমাজ ও রাষ্ট্রকে অপেক্ষাকৃত উন্নত স্তরে ধাবিত করার সুযোগ সৃষ্টি করে। বাংলাদেশে সেই পর্বটি এখন তলদেশ থেকে ওপর পর্যন্ত সর্বত্র চলছে। এটি ভেঙে যাক, থেমে যাক কিংবা নষ্ট হওয়ার উপক্রম হোক, এমনটি নিঃস্ব ব্যক্তিও চাইবেন না। ব্যবসাবাণিজ্যসহ নানা পেশায় যারা এখন অনেক বেশি স্বাবলম্বী, অর্থবিত্তে শক্তিশালী হয়ে উঠেছেন- তারাও চাইবেন না কিছুতেই। কারণ আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে পরিবর্তন ও রূপান্তরের এই পর্বে কোটি কোটি মানুষ তাদের জীবন-জীবিকা, পেশায় ব্যস্ত রয়েছেন। তাদের সময় কোথায় রাজনীতির এসব আন্দোলন-সংগ্রামের কথা শোনার? অনেকেই টেলিভিশনের টকশোকে বিরক্তিকর আখ্যায়িত করে এসব ঝগড়াঝাটি না শোনার কথাই বলেন। দেশে সুস্থ রাজনীতি হোক, গণতন্ত্র অসাম্প্রদায়িক চরিত্রে প্রতিষ্ঠা লাভ করুক, জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা মাথাচাড়া দিয়ে না উঠুক, মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা দেশে গড়ে উঠুক, কিশোর-তরুণদের মেধা বিকাশের ক্ষেত্র তৈরি হোক, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য ওদের প্রস্তুত করা হোক- এটিই তারা চাচ্ছে। কিন্তু রাজনীতিতে সেই মেধা, দেশপ্রেম, আদর্শের চর্চার ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। এটি অবশ্য আমাদের বাড়বাড়ন্ত সমাজেরই একটি সহজাত দুর্বলতা। এই দুর্বলতাকে কাটিয়ে তোলার মতো মেধাবী, দক্ষ, অভিজ্ঞ এবং দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক নেতৃত্বের শূন্যতা পূরণ অনস্বীকার্য। কিন্তু সেটি প্রত্যাশিত মানে ঘটছে না। সে কারণেই রাজনীতির বিষয়গুলো এখন আগের মতো মানুষের আলোচনায় স্থান পায় না। কারণ তাতে বর্তমান কালের পরিবর্তনশীলতার স্থান নেই, আছে কেবলই অতীত নিয়ে বাগাড়ম্বর কথা এবং বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে অবাস্তব কথাবার্তা।
বিরোধী দলের দাবি মোতাবেক আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকারের পদত্যাগ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে গেলে দেশে বড় ধরনের রাজনৈতিক ও শাসনতান্ত্রিক যে সংকট তৈরি হবে। আর তাতে সমাজের বর্তমান স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হবে, জীবনযাত্রার মান রাতারাতি বেশির ভাগ মানুষেরই নাগালের নিচে নেমে পড়বে। বিরোধী দলের দাবি অনুযায়ী দেশ চলতে গেলে বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসবেই, এতে কোনো সন্দেহ নেই। সেই বিপর্যয়কে মোকাবিলা করার মতো শক্তি বাংলাদেশ রাষ্ট্র হারিয়ে ফেলতে পারে। অনেকে যেভাবে খুব সরলীকরণভাবে সমস্যার সমাধান কেবল তাদের দাবি পূরণের মধ্যেই দেখেন, বাস্তবে সেটি ঘটবে না। কারণ তারা তেমন পরিবর্তনের ধকল কোন পর্যায়ে যেতে পারে, তা বোঝার অবস্থানে নেই। সুতরাং আগামী ৪ মাসের মধ্যে দেশে সরকার পরিবর্তন করিয়ে দেশকে মেরামত করার তত্ত্ব যারা দিচ্ছেন, তাদের দুরভিসন্ধি বোঝার মতো বহু মানুষ দেশে রয়েছে। বস্তুত বিরোধী দল দেশে আগামী নির্বাচন নিয়ে তাদের ফর্মুলা মতো কিছু না হলে বিদেশিদের কোনো ওহি নাজিলের অপেক্ষা করতে পারে। আর তা না হলে নির্বাচন বর্জন অথবা প্রতিহত করার চেষ্টা করতে পারে। তাহলে নির্বাচনটিকে বিতর্কিত ও কলঙ্কিত বলা বা করার কোনো সুযোগ তাদের ঘটতে পারে। এখন বিরোধী দল আন্দোলন, সরকার পরিবর্তন এবং তাদের আকাক্সক্ষার প্রতিফলন নিয়ে নানা ধরনের দোলাচলে দুলছে। কোনো কোনো মহলও তাদের সঙ্গে দুলছে, কখনো আশাবাদী হচ্ছে আবার নিরাশায় নিমজ্জিত হচ্ছে।
সেপ্টেম্বর চলছে। শোনা যাচ্ছে, ঢাকাকেন্দ্রিক নানা ধরনের কর্মসূচি নিয়ে বিরোধীরা মাঠে নামবে। এবার তারা দোলাচল থেকে নেমে দাঁড়াবেই। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঢাকায় সমান্তরাল কর্মসূচি দেবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সম্মুখে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যাদের ভেতর এবং বাইরের কোনো পরিকল্পনা রয়েছে, তাদের মোকাবিলা করার দক্ষতা সরকারকেই দেখাতে হবে। তারপরও নির্বাচন যেন হয় সুষ্ঠু, অবাধ এবং জনগণের অংশগ্রহণে। সেই চেষ্টা নির্বাচন কমিশনকেই করতে হবে, সরকারকেও মাথায় রাখতে হবে। কোনো কলঙ্কিত বা বিতর্কিত নির্বাচন কারোই কাম্য নয়।

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী : অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত), ইতিহাসবিদ ও কলাম লেখক।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়