বিএনপির দাবি : রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের সক্ষমতা নেই সরকারের

আগের সংবাদ

স্বর্ণ গায়েব নিয়ে অনেক প্রশ্ন

পরের সংবাদ

বাজার সিন্ডিকেট চক্র প্রতিহত করতে হবে

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সিন্ডিকেট নামক অদৃশ্য শক্তির হাতে বন্দি দেশের জনসাধারণ। যারা সিন্দাবাদের ভূতের মতো চেপে বসেছে জনসাধারণের কাঁধে। বাংলাদেশের মানুষ মুক্তি চায় বাজারের এই সিন্ডিকেট অস্বস্তি থেকে। চায় স্বাভাবিক বাজার ব্যবস্থার গ্যারান্টি। এখন দেশের জনসাধারণের মনে একটাই প্রশ্ন, সরকার আদৌ স্বাভাবিক বাজার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারবে কিনা? বাজারে নিত্যপণ্যের জোগান পর্যাপ্ত থাকা সত্ত্বেও যেন প্রতিনিয়তই চলছে রমরমা সিন্ডিকেট কারসাজি। দেশের সাধারণ মানুষের ভাষ্যে উঠে আসে আমাদের দেশে থাকার সংকট, দুর্নীতির উল্লম্ফন, পদে পদে চুরির সঙ্গে জড়িত সিন্ডিকেট চক্র তৎপর। নিম্ন আয়ের মানুষ যারা তাদের আসলে নিজের ক্রয়ক্ষমতা থাকতে পারে বা না থাকতে পারে, নিতে পারে বা কিনতে পারে এ বিষয়গুলো অবশ্যই সরকার এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দেখা উচিত। বস্তুতপক্ষে বাজার ব্যবস্থায় এই সিন্ডিকেট বিষয়টা দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। বাণিজ্যমন্ত্রী এত বড় বিজ্ঞ লোক, তিনি তো অবশ্যই এই বাজার চিত্রে নজর দিতে পারেন। তিনি যদি বাজার ব্যবস্থায় তদারকি করতেন তবেই কেবল তিনি বুঝতে পারতেন আসলে জিনিসপত্রের যে দাম, যা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। এদিকে সাধারণ মানুষ বলছে বাণিজ্যমন্ত্রী তো বাজারে আসেন কম। বর্তমান বাজার ব্যবস্থায় অন্যতম একটা লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে যাদের পকেটে প্রচুর পরিমাণে অর্থ থাকে এবং যাদের প্রচুর পরিমাণে টাকা রোজগার করার শক্তি থাকে, তারা সম্পূর্ণভাবেই মজুতজাত এবং গুদামজাত করে সম্পূর্ণরূপে উধাও হয়ে যায়। যখন গুদামজাতকৃত ওই পণ্য বাজারে সম্পূর্ণ সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়, তখন তারা এত বেশি পরিমাণ মুনাফায় ছাড়ে যে তাদের ওই লাভের টাকায় তারা বাইরের দেশে ঘুরতে চলে যায়। মূলত আমরা যা বেতন পাই, আমরা যা ইনকাম করি, তার বেশির ভাগই চলে যায় বাসা ভাড়া এবং অন্যান্য বাজার করতে করতে। আসলে আমাদের নিত্যদিনে এসব টানাপড়েনের পেছনে সক্রিয় সিন্ডিকেট চক্রই দায়ী। যথাসম্ভব দ্রুতই এই সিন্ডিকেট চক্র ভেঙে দিয়ে দেশের জনসাধারণকে মুক্তি দিন।
সিন্ডিকেট চক্র বর্তমানে দেশের সব প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্যকে কেন্দ্র করে তৎপরতা চালাচ্ছে। কিছুদিন পরপর একেকটা নিত্যপণ্যকে টার্গেট করে বাজারকে অস্বাভাবিক করে তোলে তারা। কিছুদিন চাল, তেল, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, মরিচ ইত্যাদির দামকে অস্বাভাবিক করে তোলে। আবার কিছুদিন দেখা যায় ডিম, আলু, ডাল এসবের দামকে অস্বাভাবিক করছে। এভাবে প্রতিনিয়তই বাজার ব্যবস্থায় চলছে তাদের এই অপতৎপরতা। সিন্ডিকেট চক্রের এই তৎপরতা থেকে চিনি, দুধও রেহাই পায়নি। এক প্যাকেট দুধ কিনতে বাড়তি ১০০ টাকার উপরে গুনতে হচ্ছে। সরকার যদি এসব সিন্ডিকেট চক্রকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে পারে এবং বাজার ব্যবস্থাকে স্থিতিশীল রাখতে পারে, তাহলেই আমরা জনসাধারণ মুক্তি পাব। সিন্ডিকেট চক্র যতই তৎপর হোক না কেন, এ বিষয়ে সরকারের কার্যকরী তদন্তে মনোনিবেশ করা উচিত এবং নিত্যপণ্যের বাজার ব্যবস্থাকে খুবই নজরদারিতে রাখা উচিত। যাতে ভবিষ্যতে কেউ এই সিন্ডিকেট চক্রে সক্রিয় হতে না পারে। আসলে ব্যাপারটা এমনভাবে দমন করা উচিত, যাতে আরো ১০ জন দমন ব্যবস্থার বিষয়টা বুঝতে পারে। শাস্তির পরিমাণটা এভাবেই হওয়া উচিত; যাতে করে তারা বুঝতে পারে, দেশে আসলেই সরকার বলতে কিছু আছে। আপনি আজকে ধরছেন, আজকে দাম কমিয়ে দিচ্ছেন। কালকেও ধরেন এরপর এরাই কমিয়ে দেবে। এই সিন্ডিকেট চক্র মূলত দেশের স্বার্থে কিছুই করছে না। এরা মূলত দেশ নষ্ট করার স্বার্থে কাজ করছে এবং সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে নানাভাবেই। সিন্ডিকেট চক্রের শনাক্তকৃত অপরাধীদের এমনভাবে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে করে তারা শাস্তি জীবনের পরবর্তী সময়েও এই ব্যথা না ভুলে। বর্তমানে বিষয়টা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে যতক্ষণ অভিযান, ততক্ষণ সমাধান। অকপটেই আবারো এই সিন্ডিকেট চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠে। সর্বোপরি এই সিন্ডিকেট চক্রকে প্রতিহত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের একটা স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করতে হবে।

এস এম রাহমান জিকু : শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম কলেজ।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়