নাজিরাবাজারে দুই দোকানে আগুন শর্টসার্কিটে

আগের সংবাদ

তিস্তায় জল গড়ানোর আশা! জি-২০ সম্মেলনের সাইডলাইনে হাসিনা-মোদির দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন করবে বাংলাদেশ

পরের সংবাদ

চিঠি ও বিবৃতি দেশের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গত ২৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জন্য আকুতি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বারাক ওবামা ও হিলারি ক্লিনটনসহ বিশ্বের ১৬০ জন সুপরিচিত ব্যক্তি ও নেতা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি খোলা চিঠি দিয়েছেন। বিবৃতিদাতাদের মধ্যে একশর বেশি নোবেল বিজয়ী রয়েছেন। শতাধিক নোবেল বিজয়ীর যে খোলা চিঠি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তা সুস্পষ্টভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার এবং শেখ হাসিনা সরকারকে বিতর্কিত করার ষড়যন্ত্র। বাংলাদেশের প্রথম নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৯৭৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি এবং গ্রামীণ ব্যাংক যৌথভাবে ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির পর থেকেই মুহাম্মদ ইউনূস বিভিন্ন বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। ২০০৬ সালে তিনি নিজে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন। ওয়ান-ইলেভেন আনার পেছনেও তার একটি ভূমিকা আছে বলে অনেকেই মনে করেন। কিন্তু বর্তমানে তিনি একদম ফৌজদারি আইনি জটিলতার মধ্যে আছেন। তার বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘন ও দুর্নীতির কয়েকটি মামলা চলমান। মামলাগুলো কোনো রাজনৈতিক কারণে কিংবা বিভিন্ন মহলের বিবাদের ফলে হয়নি। বরং দেশের চলমান আইনি প্রক্রিয়ায় স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মামলা করেছেন।
অথচ শ্রম আইনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার ব্যাপারে উদ্বেগ জানিয়ে শতাধিক নোবেলজয়ী ব্যক্তিত্ব চিঠির মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে এক ধরনের প্রচ্ছন্ন হুমকিসূচক বার্তা প্রদান করেছেন। চিঠিতে তার বিরুদ্ধে চলমান মামলার বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আগামী সংসদ নির্বাচনের বিষয়টিও উঠে এসেছে। যেটি তার মামলার সঙ্গে অপ্রাসঙ্গিক। চিঠির উৎস ও উৎপত্তি বিষয়ে ইতোমধ্যে জনগণ অবগত হয়েছে এবং সরকারবিরোধী অপচেষ্টা উন্মোচিত হয়েছে মিডিয়াতে।
লেখাবাহুল্য, টাকার বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোভিত্তিক জনসংযোগ প্রতিষ্ঠান ‘সিজিং পিআর ফার্ম’ চিঠিটি তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে। অর্থাৎ একটি জনসংযোগ ফার্মের মাধ্যমে চিঠিটি উৎপাদিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জনসংযোগ ফার্মগুলো প্রকৃতপক্ষে এক ধরনের লবিস্ট ফার্ম। তারা বিভিন্ন ব্যক্তির জন্য জনসংযোগ করে থাকে। অর্থাৎ ওই চিঠির জন্য যাদের স্বাক্ষর দরকার তাদের কাছে গিয়ে দেন-দরবার করা, তাদের বোঝানো এবং তাদের সম্মতি আদায় করার কাজটি করেছে এই পিআর ফার্ম। যার নাম সিজিং ফার্ম। সিজিং পিআর ফার্ম কোনো কাজ বিনামূল্যে করে না। এ ধরনের একটি বিবৃতিতে এতগুলো মানুষের স্বাক্ষর জোগাড় করার জন্য তাদের নিঃসন্দেহে অর্থ দিতে হয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো ড. মুহাম্মদ ইউনূস কি এই অর্থ দিয়েছেন নাকি অন্য কেউ? বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত জোড়া দিলে দেখা যাবে এ কাজ ড. ইউনূসই করেছেন। আশ্চর্য হলো কোনো কিছু না জেনে এর আগে অধ্যাপক ইউনূসের প্রশংসা করে একটি ব্যক্তিগত চিঠি দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। স্পষ্টত চিঠিটি দেড় শতাধিক ব্যক্তির স্বপ্রণোদিত বা স্বেচ্ছায় দেয়া একটি বিবৃতি নয়, বরং লবিং করে তাদের বুঝিয়ে এই বিবৃতিটি আদায় করা হয়েছে। যাদের স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে তাদের বাংলাদেশ সম্পর্কে এবং সরকার সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা দিয়েই এ ধরনের স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে এবং এক ধরনের সহানুভূতি আদায় করার চেষ্টা করা হয়েছে। অর্থাৎ সুস্পষ্টভাবেই এটি দেশ ও শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে এক ধরনের বিষোদ্গার। এই কাজটি ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া আর কারো করার কথা নয়। নিঃসন্দেহে তিনি একটি গর্হিত অপকর্ম করেছেন।
চিঠির ভাষা ও বক্তব্য ধৃষ্টতাপূর্ণ ও অযাচিত প্রশ্নে পূর্ণ। বিবৃতিতে যারা স্বাক্ষর দিয়েছেন তাদের মধ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি রয়েছেন ৪ জন, ১৪ জন রয়েছেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি, রসায়নের ২৮ জন, চিকিৎসাশাস্ত্রের ২৯ জন এবং পদার্থবিজ্ঞানে ২২ জন নোবেল বিজয়ী। তারা একটি দেশের নির্বাচন এবং সরকারের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে যে প্রশ্নের অবতারণা করেছেন তা নিয়ে এ দেশের জনগণ ও সুশীলসমাজ সংক্ষুব্ধ। বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, ‘আমরা বিশ্বাস করি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নির্বাচনকালীন প্রশাসন দেশের প্রথম সারির দলগুলোর কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়াটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিগত দুটি নির্বাচনের বৈধতার ঘাটতি রয়েছে।’ প্রশ্ন হলো পদার্থবিজ্ঞান কিংবা রসায়নে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা কেন বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন এবং প্রথম সারির দলগুলোর কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়ার বিষয়টি উত্থাপন করবেন। তার মানে এই চিঠির পেছনে একটি রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি রয়েছে। ইউনূসকে দায়মুক্ত দেয়ার জন্য সরকারের ওপর নির্বাচন নামক অস্ত্র প্রয়োগ করা হচ্ছে এবং চাপ সৃষ্টির পাঁয়তারা করা হয়েছে। চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, ‘আমরা এ কারণে শঙ্কিত যে সম্প্রতি তাকে নিশানা করা হয়েছে (ড. মুহাম্মদ ইউনূস)। এর মধ্য দিয়ে তিনি ধারাবাহিক বিচারিক হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে আমরা মনে করি।’ ড. মুহাম্মদ ইউনূস কীভাবে বিচারিক হয়রানির শিকার হচ্ছেন তা বোধগম্য নয়। ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে এর আগেও মামলা ছিল। সর্বোচ্চ আদালতে প্রমাণ হয়েছিল যে তিনি ‘দান কর’ ফাঁকি দিয়েছেন। তিনি নিজেই আদালতের রায়ের প্রতি সম্মান দেখিয়ে দান করের টাকা পরিশোধ করেছেন। ২০১৬ সালের দিকে ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে অনুদান দাতাদের মধ্যে মুহাম্মদ ইউনূসের নাম পাওয়া যায় যেখানে তিনি ৬ মিলিয়ন ডলার অনুদান প্রদান করেন। অনেক বড় অর্থ কেলেঙ্কারির মধ্যে এটিও একটি। যে অর্থ তিনি অনুদান হিসেবে দিয়েছিলেন এগুলো আমাদের গ্রামের গরিবদের অর্থ। ড. ইউনূস এই অর্থের এক পয়সাও তার জনগণের জন্য ব্যবহার করেননি বরং নিষ্ঠুরভাবে তাদের থেকেই এসব অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। কর ফাঁকির ১৩ কোটি টাকা জমা দিয়ে তিনি ইতোমধ্যেই দুর্নীতিবাজ বলে স্বীকৃতি পেয়ে গেছেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে যে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা করা হয়েছে সেই মামলাটি তিনি অনৈতিকভাবে আদালতের বাইরে উৎকোচ দিয়ে ফয়সালা করতে চেয়েছিলেন। একজন নোবেল বিজয়ী ব্যক্তিত্ব কীভাবে এরকম কুৎসিত পথে নিজের মামলার দায় এড়ানোর চেষ্টা করেন এটি একটি বড় প্রশ্ন। কিন্তু সেই বিষয়ের কথা ওই চিঠিতে উল্লেখ নেই।
চিঠিতে বলা হয়েছে যে, ‘আমরা সম্মানের সঙ্গে আপনার প্রতি অবিলম্বে অধ্যাপক ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিতের আহ্বান জানাচ্ছি। আপনার দেশের একটি নিরপেক্ষ বিচারক প্যানেলের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আছে সেগুলো পর্যালোচনা করা হোক। ওই প্যানেল আন্তর্জাতিকভাবে আইন বিশেষজ্ঞ হিসেবে স্বীকৃত ব্যক্তিরা ভূমিকা রাখবেন। আমরা আত্মবিশ্বাসে যে তার বিরুদ্ধে শ্রম আইন বা দুদকের যেসব মামলা চলছে সেগুলো পর্যালোচনা করলে তার দোষ খুঁজে পাওয়া যাবে না।’ একটি মামলার তদন্তের আগেই এই ব্যক্তিরা কীভাবে বাংলাদেশের আইন-আদালত সম্পর্কে তাদের অভিমত জানিয়ে দিলেন- এ প্রশ্ন এখন সবার।
বাংলাদেশের সংবিধান অনুসারে মৌলিক অধিকার এবং প্রচলিত আইন সব নাগরিকের জন্য সমান। তাহলে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ক্ষেত্রে কেন আইনের ব্যত্যয় ঘটবে। তার জন্য কেন মামলা করা যাবে না, তার জন্য কেন প্যানেল গঠন করতে হবে- এই প্রশ্নগুলো সামনে এসেছে। আমাদের বাংলাদেশের ব্যাপার নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো সবসময় যে বিভ্রান্তিকর দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে এবং সবসময় যে এক ধরনের পক্ষপাত দেখায়- এই চিঠি তার একটি বড় প্রমাণ। ড. ইউনূসের জন্য যদি আলাদা আইন হয় তাহলে তো বাংলাদেশে আইনের শাসনই ভূলুণ্ঠিত হবে। অথচ এই আইনের শাসনের কথাই বলা হয় পশ্চিমা বিশ্বের পক্ষ থেকে বারবার।
নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত অনেকেই আইনের কাছে অপরাধী গণ্য হয়ে জেলে গেছেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূস নোবেল বিজয়ী বলে তিনি আইনের ঊর্ধ্বে নন। এমন নজিরও নেই। বরং নোবেল বিজয়ী অনেকে মামলার মুখোমুখি হওয়ার গল্প আছে, সাজা পাওয়ার নজিরও আছে। অং সান সু চি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী একজন। রোহিঙ্গা গণহত্যার সময় তার মানবতার বোধ নীরব ছিল। তার বিরুদ্ধেও মামলা চলমান। তিনি সেগুলোর মুখোমুখি হচ্ছেন কিন্তু পালিয়ে বেড়াচ্ছেন না। এছাড়া কয়েক বছর আগেও শান্তিতে নোবেলজয়ী ফিলিপাইনের সাংবাদিক মারিয়া রেসারের বিরুদ্ধে সে দেশে কর ফাঁকি দেয়ার মামলা হয়েছিল। তিনিও বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন এবং বছরের পর বছর তিনি আদালতের বারান্দায় ঘুরেছেন। আরেক শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ব্যক্তি আলেস বিলিয়াতস্কি, যিনি চোরাচালান এবং অর্থায়নের জন্য দোষী সাব্যস্ত। বেলারুশের একটি আদালত তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। বিশ্বে কিন্তু এসব ঘটনা নিয়ে হৈ চৈ হয়নি।
আসলে ড. ইউনূসকে নিয়ে এ ধরনের বিবৃতি একটি দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ। উপরন্তু ন্যায়বিচার, আইনের শাসনের প্রতি বড় ধরনের একটি হুমকি। আর এই কাজটি যে ড. মুহাম্মদ ইউনূস করেছেন তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। একজন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ দুর্নীতি এবং অপকর্মের দায় মুক্তির জন্য এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে নিজেকে জড়াতে পারেন- এটিও বিশ্বের জন্য একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা।
আত্মপ্রত্যয়ী শেখ হাসিনা অবশ্য ২৯ আগস্ট গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ড. ইউনূসের ‘আত্মবিশ্বাস থাকলে বিবৃতি ভিক্ষা করতেন না’। তার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের তিনি কেউ নন। বরং শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, ‘যারা তার পক্ষে বিবৃতি দিয়েছে তারা বিশেষজ্ঞ ও আইনজীবী পাঠিয়ে সব দলিল দস্তাবেজ খতিয়ে দেখুক যে সেখানে অন্যায় বা অসামঞ্জস্যতা আছে কি-না। কেউ যদি ট্যাক্স না দেয় আর শ্রমিকের অর্থ আত্মসাৎ করে এবং সেই শ্রমিকের পক্ষে শ্রম আদালতে মামলা হলে আমাদের কি হাতে আছে যে, সে বিচার বন্ধ করে দেব?’ প্রধানমন্ত্রীর কথার সূত্র ধরে বলতে হয়, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং সবকিছু আইন মতো চলে। আর এদেশে বিচারাধীন বিষয়ে কথা বলার কিছু থাকে না। তাছাড়া সরকার ইচ্ছে করলেই মামলা প্রত্যাহার করতে পারে না। এজন্য তিনি বলেছেন, ‘তাই আমি বিবৃতিদাতাদের আহ্বান জানাচ্ছি যে- এক্সপার্ট পাঠান। সব যাচাই করে দেখেন। নয়তো আইন-আদালত আছে শ্রম-আদালত আছে- আইন তার আপন গতিতে চলবে। আমার আর কোনো কথা নেই।’
আলোচ্য চিঠির প্রভাব খাটিয়ে ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলার স্থগিতাদেশ চাওয়া হচ্ছে। যা অগ্রহণযোগ্য। একটি মামলা তার নিজস্ব কার্যপ্রণালি অনুসরণ করেই কাজ করবে- এটাই স্বাভাবিক। দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান, প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্বনেতাদের দেয়া এ চিঠিকে বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছেন। এ মামলায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করা সম্পূর্ণ অমূলক। কারণ সংবিধান অনুযায়ী নির্বাহী বিভাগ বিচার বিভাগ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা এবং স্বাধীন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সংবিধানের ২২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এই পৃথকীকরণ নিশ্চিত হয়েছে। অর্থাৎ বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করবে, নির্বাহী বিভাগ এখানে কোনো হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।
চিঠি কিংবা পশ্চিমা বিবৃতিতে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি স্তম্ভিত হয়ে থাকবে না। বরং যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের দৃশ্যমান তৎপরতা এবং আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে দেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নেবে তারা শেখ হাসিনা সরকারকে চায় কি না। বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে, এমনকি মেট্রোরেল ও টানেলসহ সবকিছু জনস্বার্থেই হয়েছে। বিএনপি দেশ চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছে, জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে, তাদের মনের বেদনা আছে বলে তারা সবকিছুতে খারাপই দেখে। পরশ্রীকাতরতায় ভোগা মানুষের কথা চিন্তা না করে যতক্ষণ দায়িত্ব আছে দেশের জন্য কাজ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটাই যথার্থ- ‘তারা (পশ্চিমারা) সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। আমরাও সেটাই চাই। এর সঙ্গে ড. ইউনূসের ইস্যুর কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ তার বিরুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা মামলা করেছে। এটা তো সরকারের বিষয় না।’

ড. মিল্টন বিশ্বাস : অধ্যাপক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়