আইজিপি : সিআইডি সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছে

আগের সংবাদ

উন্নয়ন ঘিরে শোডাউন : কয়েকটি মেগা প্রকল্পের উদ্বোধনের সময় বড় সমাবেশের পরিকল্পনা

পরের সংবাদ

সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক করিডর

প্রকাশিত: আগস্ট ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গত বুধবার ‘বাংলাদেশ ইকোনমিক করিডর ডেভেলপমেন্ট হাইলাইটস’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) জানিয়েছে, অর্থনৈতিক করিডরে বাংলাদেশের ব্যাপক সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারলে ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে ৭ কোটি ১৮ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এ ছাড়া ২০৪০ সালের মধ্যে ৪ কোটি ৬২ লাখ এবং ২০২৫ সালের মধ্যে ১ কোটি ২৭ লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি এই সুবিধা কাজে লাগানো গেলে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ২৮৬ বিলিয়ন ডলার বাণিজ্য সুবিধা বাড়বে। আশাব্যাঞ্জক খবর। দেশের সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো অর্জিত অবস্থান সংহত করা এবং নতুন লক্ষ্যে পৌঁছানো। এজন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হলো ভৌগোলিক অবস্থানগত সুযোগ কাজে লাগানো। বর্তমান যুগ যোগাযোগ বা কানেক্টিভিটির। যোগাযোগ খাতে অগ্রসর হতে পারলে ব্যবসার ব্যয় বা কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস কমবে। বাড়বে উৎপাদন সক্ষমতা। এছাড়া বিশ্ববাজার ও একই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ বাজারে প্রতিযোগিতা সক্ষমতাও বাড়বে। এই মুহূর্তে বৃহত্তর তরুণ ও যুবক জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি অন্যতম একটি প্রধান চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ২০১৯-এর প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশে বেকারত্বের হার ৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ। তবে যুবসমাজের বেকারত্বের হার ১১ দশমিক ৯ শতাংশ, জাতীয় গড়ের আড়াইগুণেরও বেশি। মোট বেকারত্বের মধ্যে বেকার যুবকের সংখ্যা ৭৯ দশমিক ৬ শতাংশ। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি এবং অর্থনীতিবিদরা এখন ভবিষ্যদ্বাণী করছেন, আসন্ন বছরগুলোতে এই হারটি লাফিয়ে উপরের দিকে উঠতে পারে। অর্থনৈতিক করিডরে বাংলাদেশের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারলে বেকারত্বে এ হার হ্রাস পাবে। প্রতিবেদনে বলা হয়, অর্থনৈতিক করিডরের তিনটি পরিপূরক উপাদান রয়েছে। একটি হচ্ছে বাণিজ্য ও পরিবহন। দ্বিতীয়টি হলো উৎপাদন ক্লাস্টার, যা অভ্যন্তরীণ বাজারে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য উভয়ই ব্যবহারের জন্য পণ্য উৎপাদন করবে। এছাড়া শহুরে কেন্দ্রগুলো উৎপাদন কেন্দ্র থেকে পণ্যের প্রধান বাজার হিসেবে কাজ করে এবং আন্তর্জাতিক গেটওয়ের মাধ্যমে আমদানি করা পণ্যের জন্য শ্রম, প্রযুক্তি, সহায়তা পরিষেবা, জ্ঞান এবং উদ্ভাবনের উৎস হিসেবেও কাজ করবে। অর্থনৈতিক করিডর উন্নয়নের চূড়ান্ত উদ্দেশ্য হলো স্বল্পোন্নত অঞ্চলের একত্রীকরণের মাধ্যমে সমৃদ্ধি এবং অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি। অর্থনৈতিক করিডরগুলো প্রায়ই হাইওয়ে, রেলপথ এবং বন্দরগুলোর মতো অবকাঠামোগুলোকে সমন্বিত করে এবং শহর বা দেশগুলোকে যুক্ত করতে পারে। খুলনা বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহৎ শহর হওয়ায় এবং এখানে নৌ-বন্দর সুবিধা থাকায় এই অঞ্চল পণ্য বাণিজ্যের অন্যতম প্রবেশদ্বার হতে পারে। প্রতিবেশী দেশ নেপাল, ভুটান ও ভারতের উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে আমাদের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কানেক্টিভিটির মাধ্যমে বহুমুখী পরিবহন যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি সাধন করা যায়। বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টসমূহ (এসডিজি) অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। এর জন্য সরকার আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশের সুযোগ রয়েছে আঞ্চলিক অর্থনীতির কেন্দ্রে পরিণত হওয়া। গোটা বিশ্ব আজ গেøাবাল ভিলেজে পরিণত হয়েছে। এ কারণে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কানেক্টিভিটি বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়