মেয়র আতিক : জরিমানা করায় মানুষ সচেতন হয়েছে

আগের সংবাদ

বাইডেন প্রশাসনকে নয়াদিল্লির বার্তা : শেখ হাসিনাকে দুর্বল করলে ক্ষতি ভারত ও আমেরিকার

পরের সংবাদ

এবার তানজিদের লক্ষ্য বিশ্বকাপ জয়

প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের সৌভাগ্য এখনো হয়নি বাংলাদেশের। তবে ২০২০ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে শিরোপা নিয়ে ঘরে ফিরেছিলেন জুনিয়র টাইগাররা। আর সেই দলের অনেকেই বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে খেলছেন। তাদের মধ্যে সর্বশেষ যে ক্রিকেটার জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন তিনি তানজিদ হাসান তামিম। জায়গা পেয়েছেন দলের সদ্য সাবেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল না থাকায়। ছোটদের বিশ্বকাপ শিরোপার ছোঁয়া পাওয়া এই ওপেনারের বর্তমান লক্ষ্য বড়দের বিশ্বকাপ হাতে তোলা। জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার পর গতকাল প্রথম গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এসব জানান তামিম।
আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের কারণে ইতোমধ্যেই অনেক পরিচিতি পেয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম। তাছাড়া দেশসেরা ওপেনারের সঙ্গে নামের মিল এবং তার স্থলেই দলে ডাক পাওয়াতে তার উপর সকলের আশাটাও আকাশচুম্বি। নিজেও চান দলের হয়ে ভালো কিছু অর্জন করতে। গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে গতকাল তামিম বলেন, ‘আমরা যেটা অর্জন করছি, সেটা তো এখন অতীত। সবার মধ্যে এখন একটাই কথা, একটা স্বপ্ন যে বড়দের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা। সবারই যখন দেখা হয়, সামনে যেহেতু বিশ্বকাপ, একটা জিনিসই মাথায় কাজ করে, আমরা এশিয়া কাপ যত টুর্নামেন্টই খেলি না কেন, ব্যাক অব দ্য মাইন্ডে কিন্তু ওয়ার্ল্ড কাপ থেকেই যায়। ইনশাআল্লাহ চেষ্টা করব এবার। যদি কপালে থাকে, ইনশাআল্লাহ হয়ে যাবে।’
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয় করা দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে শরীফুল ইসলাম, মাহমুদুল হাসান, পারভেজ হোসেন, শামীম হোসেন ও হৃদয় ইতোমধ্যে জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন। দুর্দান্ত পারফর্ম করে সবার প্রশংসাও কুড়িয়েছেন অনেকে। এবার সেই দল থেকেই জাতীয় দলে জায়গা পেয়েছেন তামিম। বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাওয়ার অভিজ্ঞতা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রথমতো, আলহামদুল্লিলাহ যে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছি। তারপরও এশিয়া কাপের মতো একটা মঞ্চে সুযোগ পেয়েছি। সিনিয়রদের সঙ্গে এর আগেও খেলা হয়েছে আমার। বিভিন্ন স্থানীয় টুর্নামেন্টগুলোতে, বিসিবি প্রেসিডেন্ট কাপ, সব জায়গাতেই খেলা হয়েছে। উপভোগ করছি অনেক।’
বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের জন্য তামিমের সুনাম আছে। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সর্বশেষ আসরে তিনি খেলেছেন ব্রাদার্স ইউনিয়নের জার্সি গায়ে। সেখানে তিনি ১১ ম্যাচে ২টি সেঞ্চুরি, ১টি ফিফটিসহ রান করেছেন ৪৭৪। স্ট্রাইক রেটও ৯৪ এর উপরে। সম্প্রতি তামিম ইমার্জিং এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে খেলেছেন।
সেখানেও তিনি লাল সবুজদের মধ্যে সেরা ব্যাটার ছিলেন। ৪ ম্যাচ খেলে এই ওপেনার মোট ১৭৯ রান করেন, যেখানে ছিল ৩টি ফিফটি ও স্ট্রাইক রেট ১১৬’র বেশি। নিজের এমন ছন্দ ধরে রাখতে পারবেন কিনা এমন প্রশ্নে তামিম জানান, ‘আমি এইটা নিয়ে চিন্তা করতেছি না। কোনো বোলার বল করছে, জিনিসটা নিয়ে আমি ভাবি না। আমি চেষ্টা করি বল দেখে খেলার।’ নিজের খেলার ধরন জানিয়ে তিনি যোগ করেন, ‘দেখুন, আমি এসব চিন্তা করে ব্যাটিংয়ে নামি না। মনের মধ্যে এটাই থাকে যে পজেটিভ ক্রিকেট খেলব। অনেকেই বলে আমি অনেক আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলি। এইরকম না। আমি শুধু স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করি। আমার শক্তির ওপর বিশ্বাস রাখার চেষ্টা করি। আমি বিশ্বাস করি, আমার শক্তিতে এবং পজেটিভ খেলায়।’
জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার পর সবার সঙ্গে অনুশীলন করছেন তামিম। সেখানে দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেও তামিমকে সহজাত খেলাটা ধরে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানান তিনি। ‘জাতীয় দলে আসার পর কোচ বলছেন, তুমি এত দিন যেভাবে খেলে এসেছ, তোমার সহজাত খেলা যেটা, সেটাই খেলবে। উনি বলছেন যে তোমার যদি নিজের কোনো সমস্যা থাকে, তাহলে আমার কাছে এসে কথা বলবে। উনি সব সময় একটু প্রশ্ন করতে পছন্দ করেন। কারণ, তাহলে নিজের ভেতর থেকে সব কিছু আসে। এদিক থেকে বলব ভালো।’
আসন্ন এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপকে সামনে রেখে হোম অব ক্রিকেট মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে নিজেদের ঝালিয়ে নিচ্ছেন লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। ফিটনেস ক্যাম্পের পর গত ৮ আগস্ট থেকে তারা স্কিল ক্যাম্পে ঘাম ঝড়াচ্ছেন। আসন্ন এশিয়া কাপে হয়তো ভিন্ন কোনো পরিকল্পনা নিয়েই মাঠে নামবে সাকিব আল হাসানের দল। কেননা, গত ১৩ আগস্ট থেকে গতকাল পর্যন্ত তারা হাথুরুসিংহের অধীনে ক্লোজডোর অনুশীলনে ব্যস্ত সয় পার করছেন। কোচের নতুন কোনো কৌশল যেন গণমাধ্যমে বা প্রতিপক্ষের কাছে না পৌঁছায় সেজন্যই এমন কৌশল অবলম্বন করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। অনুশীলন শুরু করার আগে গণমাধ্যমকর্মীদের ১৫ মিনিট সময় দেয়া হয় অনুশীলনের ছবি ও ভিডিও ধারণ করার জন্য। এই ১৫ মিনিটের মধ্যে খেলোয়াড়রা শুধু নিজেদের গা গরম করে নেয়ার মতো কাজগুলোই করেন। এরপর সবার সঙ্গে মিটিং করে কোচ নিজের পরিকল্পনা জানিয়ে দেন। পরবর্তীতে শুরু হয় মূল অনুশীলন। ক্লোজডোর অনুশীলনে টাইগাররা বেশিরভাগ সময়টাই ঘাম ঝড়িয়েছেন ইনডোরে। সম্প্রতি সময়ে টানা বর্ষণের কারণে মূল মাঠে অনুশীলণ করতে পারেননি টাইগাররা। তবে গত বুধবার দেখা যায়, তাসকিন-মোস্তাফিজরা ছোট রানআপ নিয়ে বোলিং করছেন মাঠেই। মুশফিককেও ব্যাট হাতে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়