দুই বাসের চাপা : সরকারি চাকরির পরীক্ষা দেয়া হলো না মনিরের

আগের সংবাদ

পুঁজিবাজার চিত্র : বিমার দাপটে সূচকের তেজিভাব

পরের সংবাদ

রসালো ফলের দারুণ গুণ

প্রকাশিত: জুলাই ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গ্রীষ্মকালের ভ্যাপসা আবহাওয়া ও প্রচন্ড গরমে ক্লান্ত শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেলের উৎস যোগায় মৌসুমি ফলগুলো। শরীরকে ঠান্ডা করে, শারীরিক শক্তি যোগায়। সবচেয়ে বড় ব্যাপার, এই মৌসুমের বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ যেমন: জ্বর, সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ইত্যাদিতে প্রাকৃতিক প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে মৌসুমী ফলগুলো। নিয়মিত কোনো না কোনো মৌসুমী ফল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু ইত্যাদি রসাল ফল শুধু সুস্বাদুই নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর। এগুলো পানি, খাদ্য-আঁশ ও প্রাকৃতিক চিনিরও (সুক্রোজ, গ্লুকোজ ও ফ্রæক্টোজ) উৎস। গ্রীষ্মের সব রসালো ফল এখন বাজার দখল করে আছে।

আনারস:
আনারসে একধরনের এনজাইম আছে যার ফলে আনারস ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে। এছাড়া জ্বর, সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা কমানোয় কার্যকর। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, পটাসিয়াম, ফসফরাস আছে। এ উপাদানগুলো শরীরের পুষ্টির অভাব পূরণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। শুধু তাই না, আনারস ওজন কমাতে সাহায্য করে। এতে বিদ্যমান খনিজ হাড় গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষা করে। চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। ম্যাক্যুলার ডিগ্রেডেশন নামক রোগ হওয়া থেকে রক্ষা করে যে রোগে চোখের রেটিনা নষ্ট করে দেয় এবং ধীরে ধীরে অন্ধ হয়ে যায়।

জাম: কালো জামের অ্যান্থোসায়ানিন হৃদরোগ ও ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। পটাশিয়াম উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো ফ্রি-রেডিক্যাল কমিয়ে ত্বকের টিস্যুকে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে রক্ষা করে। জামের খনিজ লবণ হাড়কে শক্তিশালী ও মজবুত করতে সাহায্য করে। শর্করা কম থাকায় এবং খাদ্য–আঁশের উপস্থিতির কারণে কালো জাম খাওয়ার পর রক্তে গøুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ কারণে ডায়াবেটিস রোগীরা প্রতিদিনই কালো জাম খেতে পারেন।

কাঁঠাল: রসাল ও সুমিষ্ট স্বাদের ক্যারোটিন সমৃদ্ধ এই ফলে শর্করা, প্রোটিন, ভিটামিন সি ও পটাশিয়াম আছে। ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও বি ভিটামিনেরও ভালো উৎস এটি। কাঁঠালের বীজ ও কাঁচা কাঁঠালে রয়েছে যথেষ্ট প্রোটিন, ক্যালরি, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন সি ও খাদ্য–আঁশ। কাঁঠালের ফাইটোকেমিক্যালসগুলো ফ্রি-রেডিক্যাল দূর করে কোষকে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে রক্ষা করে। ফলে ক্যানসারের মতো মারাত্মক রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এ ছাড়া এর ভিটামিন সি সর্দি-কাশি প্রতিহত করে, খাদ্য-আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

লিচু: মিষ্টি গন্ধ ও স্বাদের রসাল ফল লিচুতে রয়েছে শর্করা, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন সি। এ ছাড়া এই ফলে বিদ্যমান কপার, আয়রন, ফোলেট লোহিত কণিকা তৈরিতে; বি ভিটামিনগুলো বিপাক ক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে; পটাশিয়াম ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্স ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। লিচুর খাদ্য-আঁশ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো রোগপ্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়