সংবাদ সম্মেলনে ছেলের দাবি : হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানকে ফাঁসানো হয়েছে

আগের সংবাদ

কুরবানি ঘিরে চাঙা অর্থনীতি : ৭০ থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হওয়ার সম্ভাবনা, রেমিট্যান্স প্রবাহে রেকর্ড

পরের সংবাদ

পশুর দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় সিংগাইরের খামারিরা

প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মাসুম বাদশাহ, সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) থেকে : আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় প্রায় ২০ হাজার পশু প্রস্তুত করেছেন এখানকার খামারিরা। এবার উপজেলায় কুরবানির পশুর চাহিদা ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৫৫০টি। উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় প্রায় ২ হাজার ছাট-বড় খামারে এসব গরু মোটাতাজা করা হয়েছে। উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ১৫ হাজার পশু দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো যাবে।
এদিকে, গো-খাদ্যের দাম অতিরিক্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় উপযুক্ত মূল্যে গরু বিক্রি করতে না পারলে লোকসানের আশঙ্কা করছেন খামার মালিকরা।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে জানা যায়, কুরবানি ঘিরে খামারি ও প্রান্তিক চাষি মিলে এবার ১৯ হাজার ১৭৫টি পশু প্রস্তুত করেছেন। এর মধ্যে ১১ হাজার ৮৬টি ষাঁড়, বলদ ৭৯৯টি, গাভী ১৮৯টি, মহিষ ১৯টি, ৭ হাজার ৮২টি ছাগল ও ভেড়া রয়েছে। পশু ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য এ উপজেলায় ৬টি স্থায়ী হাট আছে।
জানা গেছে, প্রতি বছর কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে উপজেলার খামারি ও কৃষকরা গরু ছাগল মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করেন। দেশে ভারতীয় গরু না আসলে বেশি লাভবান হবেন এমনটাই প্রত্যাশা তাদের। উপজেলার ৬টি হাটের মধ্যে সিরাজপুর, বায়রা, সিংগাইর ও জয়মন্টপ হাট বড়। এসব হাটে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে বেপারিরা এসে গরু ক্রয় করে বিভিন্ন হাটে নিয়ে বিক্রি করেন।
এছাড়া স্থানীয় বেপারিরা কৃষকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে গরু ক্রয় করে তা বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করে থাকেন। এ এলাকায় খামারি ছাড়াও সাধারণ কৃষকরা বাড়তি আয়ের জন্য বাড়িতে দুয়েকটি গরু মোটাতাজা করেন। ঈদের সময় আকার ভেদে গেল বছর প্রতিটি গরু ৭০ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেন গবাদি পশুর খামারি ও কৃষকরা।
উপজেলার রাজেন্দ্রপুরে ফার্ম সাইড এগ্রোর স্বত্ত্বাধিকারী ফয়সাল বিন মালেক বলেন, শুধু ব্যবসায়িক উদ্দেশে নয়, সেবার মানসিকতায় সম্পন্ন অর্গানিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করে ফার্ম থেকে কুরবানির জন্য গরু বাজারজাত করছি। এটা বলা যায় আমাদের নেশা, মায়া সর্বোপরি গরুর প্রতি ভালবাসা। ফার্মে জন্ম নেয়া ও ক্রয় করা শাহীয়াল, ফ্রিজিয়ান ও ভূটানি জাতের ৮০টি গরু মোটাতাজা করেছিলাম। এর মধ্যে একটি ছাড়া বাকি সবগুলোই অনলাইনে বিক্রি হয়ে গেছে। যথা সময়ে ক্রেতারা গরুগুলো নিয়ে যাবেন। যে দাম পেয়েছি তাতে সন্তুষ্ট। তিনি আরো বলেন, আমার ফার্মের একেকটা গরুর ওজন আকারভেদে ১৭০ থেকে ৯০০ কেজি পর্যন্ত। বিক্রি করেছি ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি দরে।
রামনগর গ্রামের তাওহীদ এগ্রো ফার্মের আবু তাহের ডাক্তার বলেন, আমি ৩০টি ষাঁড় গরু সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে খাবার খাইয়ে মোটাতাজা করেছি। গো-খাদ্যের দাম বেশি থাকায় গরু নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। তারপরেও বাজার যদি স্বাভাবিক থাকে তাহলে ইনশাআল্লাহ লাভবান হবো।
এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রেজাউল করিম বলেন, আমাদের উপজেলায় এবার কুরবানির জন্য ১৯ হাজার ১৭৫টি পশু মজুদ রয়েছে। চাহিদা রয়েছে ৪ হাজার ৫৫০টি। এসব কুরবানির গরু উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে পার্শ্ববর্তী জেলা-উপজেলা ও নগরীর বিভিন্ন হাটে বিক্রি করা হয়ে থাকে।
তিনি আরো বলেন, মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে এ এলাকার খামারিরা বিশেষ যতœ সহকারে কুরবানির জন্য গরু মোটাতাজা করে থাকেন। আমরা সার্বক্ষণিক ফার্মগুলো তদারকি করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়