ইসলামী আন্দোলন : নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকারের রূপরেখা ঘোষণা

আগের সংবাদ

কুরবানির পশুর দাম বেশি যে কারণে > আফতাবনগর হাট : এখনো জমেনি হাট গরুও উঠেছে কম

পরের সংবাদ

সংবাদ সম্মেলনে ছেলের দাবি : হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানকে ফাঁসানো হয়েছে

প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : চর দখলকে কেন্দ্র করে বিবাদমান দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার মামলায় পরিকল্পিতভাবে চাঁদপুরের মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমানকে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন তার ছেলে কাজী জাফর রহমান। তিনি বলেন, এখন তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ও প্রাণ নাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে। গতকাল রবিবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন কাজী জাফর।
এ সময় লিখিত বক্তব্য রাখেন কাজী মিজানুর রহমানের পুত্রবধূ সিফাত নুসরাত। বক্তব্য রাখেন তার স্ত্রী রাজিয়া বেগম, কাজী হাবিবের স্ত্রী ও চাঁদপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সালেহা বেগম। উপস্থিত ছিলেন মিজানুর রহমানের বোন নাসিমা বেগম, মোহনপুর ইউনিয়নের মহিলা মেম্বার জেসমিন বেগম।
কাজী জাফর রহমান বলেন, তার বাবা একজন শিল্পপতি ও আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্মবিষয়ক উপকমিটির সাবেক সদস্য। ২০১৮ সালে নৌকার পক্ষে কাজ করায় মনোনয়ন বঞ্চিত একজন নেতা আমাদের পরিবারকে হামলা মামলাসহ নানাভাবে হয়রানি করছে। গত ১৬ মার্চ উপনির্বাচনে মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আমার বাবা কাজী মিজানুর রহমান। এরপর থেকে আমাদের ইউনিয়নেরই বাসিন্দা আওয়ামী লীগের একজন কেন্দ্রীয় নেতা বিভিন্নভাবে ক্ষতি করার অপচেষ্টা করে আসছেন। গত ১৭ জুন মোহনপুরের বাহাদুরপুর এলাকায় চর দখলকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের কালু ও রাজ্জাক গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে মোবারক হোসেন বাবু গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ওই ঘটনায় কাজী মিজানুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ৩১ জনকে এজহার নামীয় আসামি করা হয়। মামলায় কাজী মিজানুর রহমানের দুই ভাই কাজী আব্দুল মতিন ও কাজী হাবিবুর রহমানকেও ২ ও ৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে। বাবুর ভাই আমির হোসেন কালুর করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে- কাজী মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে তার ভাই হাবীব ও মতিনকে গুলি করার নির্দেশ দেন। মতিন প্রথমে ও পরে হাবীব গুলি করেন।
কাজী জাফর রহমান আরো বলেন, এজাহার অনুযায়ী ঘটনাটি ঘটেছে বেলা ৩টায়। ওই সময় আমার বাবা ও দুই চাচা বাড়িতেই ছিলেন। তার সিসিটিভি ফুটেজ আমাদের কাজে সংরক্ষিত ছিল। আমাদের বাড়ি থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে দুর্গম চরে যে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে সেখান থেকে কোনোভাবেই এক থেকে দেড় ঘণ্টার আগে আমাদের বাড়িতে আসা সম্ভব নয়।

প্রকৃতপক্ষে আমার বাবা, দুই চাচা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হয়রানি করার উদ্দেশে এই মামলা করা হয়েছে। আমরা এই মামলার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত চাই। আমরা চাই প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হোক। রাজিয়া বেগম বলেন, আমার বিয়ের পর থেকেই আমি দেখেছি আমার স্বামী আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন। নৌকা যার পক্ষে থাকে তিনি তার পক্ষে কাজ করেন। ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে আমাদের এলাকার একজন প্রভাবশালী নেতা দলীয় মনোনয়ন পাননি। তিনি আমার স্বামীকে নৌকার পক্ষে কাজ করতে বাঁধা দেন। ওই বাঁধা উপেক্ষা করে নৌকার পক্ষে কাজ করায় আমার স্বামীকে নানাভাবে হয়রানি, মামলা ও হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছে। তাকে রাজাকার ও বিএনপি জামায়াতের লোক বলেও অপবাদ ছড়ানো হচ্ছে। এসব বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়