সংবাদ সম্মেলনে ছেলের দাবি : হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানকে ফাঁসানো হয়েছে

আগের সংবাদ

কুরবানি ঘিরে চাঙা অর্থনীতি : ৭০ থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হওয়ার সম্ভাবনা, রেমিট্যান্স প্রবাহে রেকর্ড

পরের সংবাদ

টঙ্গীতে ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে শ্রমিক নেতাকে পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি : টঙ্গীর সাতাইশ এলাকার গার্মেন্টস এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কশপ ফেডারেশন গাজীপুর জেলার সভাপতি শহিদুল ইসলামকে (৩২) পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রিন্স জ্যাকেট সোয়েটার লি. কারখানার মালিকপক্ষ ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে শ্রমিক নেতা ও শ্রমিকরা জানান।
এই ঘটনাটি ঘটে গত রবিবার রাত সাড়ে আটটায় স্থানীয় সাতাইশ এলাকার প্রিন্স জ্যাকেট সোয়েটার লিমিটেড কারখানার সামনে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিকদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে ও ক্ষোভ বিরাজ করে। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের গার্মেন্টস কারখানা শ্রমিকদের মধ্যে। উত্তেজিত শ্রমিকরা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
শ্রমিকরা জানায়, গত দুই মাসের বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে তারা আন্দোলন করে আসছে। রবিবার তাদের সব পাওনা পরিশোধের আশ্বাস দিয়েছিল কারখানা কর্তৃপক্ষ। রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত তাদের পাওনা না পেয়ে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। খবর পেয়ে সমস্যা সমাধানের জন্য গাজীপুর জেলার গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, শরীফ ও মোস্তফা কারখানায় গিয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে কারখানা থেকে বের হন। এ সময় কারখানার গেটে একদল সন্ত্রাসী শ্রমিক নেতাদের উপর অতর্কিতে হামলা চালায় এবং তাদের বেধড়ক মারধর করে। এতে তারা গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় তাইরুন্নেসা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সভাপতি শহিদুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন। শরিফুল ও মোস্তফাকে চিকিৎসা দেয়া হয়। নিহত শহিদুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া থানায় বলে জানা যায়।
কারখানা কর্তৃপক্ষের সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে শ্রমিক নেতা নিহতের ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের এলাকার গার্মেন্টস শ্রমিকরা হাসপাতালে ভিড় করেন। এক পর্যায়ে তারা শ্রমিক নেতা হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। কারখানা কর্তৃপক্ষকে গ্রেপ্তার না করা হলে তারা বড় আন্দোলনের ঘোষণা দেন। ঘটনার পর থেকে এলাকায় গার্মেন্টস শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার এএসপি মোশারফ হোসেন জানান, সন্ত্রাসীদের হামলায় শ্রমিক নেতা শহিদুলের মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়