সংবাদ সম্মেলনে ছেলের দাবি : হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানকে ফাঁসানো হয়েছে

আগের সংবাদ

কুরবানি ঘিরে চাঙা অর্থনীতি : ৭০ থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হওয়ার সম্ভাবনা, রেমিট্যান্স প্রবাহে রেকর্ড

পরের সংবাদ

ঈদ-পূর্ববর্তী দেশের রাজনীতির হালচাল

প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আগামী বৃহস্পতিবার দেশের মুসলমানদের পবিত্র ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হবে। এই মুহূর্তে দেশের সর্বত্রই ঈদের গরু-ছাগল কেনাবেচা, আনুষঙ্গিক বাজার, ‘নাড়ির টানে বাড়ি ফেরার’ প্রস্তুতি নিয়ে সবাই কমবেশি ব্যস্ত। শহরগুলো তুলনামূলকভাবে কিছুটা ফাঁকা হবে। তবে শহরে বসবাসকারী নিম্ন আয়ের এবং বিভিন্ন বাসাবাড়ির কর্মজীবী মানুষরা ঈদের পরদিনই কুরবানির মাংস নিয়ে শহরত্যাগ করবেন। কয়েক দিন শহরের পরিবেশ কিছুটা ভিন্ন থাকবে। কুরবানির বর্জ্য পরিষ্কার এবং পশুর রক্তের দুর্গন্ধমুক্ত হওয়া খুব বেশি সম্ভব হবে না। বর্ষার বৃষ্টি যদি অঝরে নামে তাহলে হয়তো কিছুটা রক্ষা। গ্রামাঞ্চলে মানুষ আত্মীয়স্বজন নিয়ে ঈদের অনুষ্ঠান এবং কুরবানির আয়োজন করবেন এটি এখন স্বাভাবিক বিষয়। একসময় গ্রামের মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তের সংখ্যা কম থাকায় ঈদের আনন্দ ভালোভাবে উপভোগ করা যেত না। এখন গ্রামীণ অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। বিদেশ থেকে অনেকেই কুরবানির খরচ পাঠাচ্ছেন। ফলে গ্রামীণ কুরবানির দৃশ্যপটও অনেকটা বদলে গেছে। এটি একটি শুভ লক্ষণও বটে।
ঈদের আর বাকি নেই। কিন্তু দেশের রাজনীতি চলছে রাজনীতির গতিতে। সাধারণ মানুষ কী ভাবল, কী ভাবল না সেটি রাজনীতিবিদদের হয়তো দেখা বা শোনার খুব বেশি প্রয়োজন পড়ে না। গণমাধ্যমে তাদের খবর নিয়মিতই আছে। এই মুহূর্তে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক খবর সচেতন যে কোনো মানুষকে দেশ নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে উসকে দিয়েছে। প্রথম ঘটনাটি হচ্ছে গণঅধিকার পরিষদ নামে একটি সংগঠন সরকারবিরোধী আন্দোলনের গণতন্ত্র মঞ্চের সদস্য ছিল। কয়েক মাস আগ থেকে তাদের সঙ্গে মঞ্চের অন্য দলেরও নেতাদের বনিবনা হচ্ছিল না বলে সংবাদ পরিবেশিত হয়েছিল। এই সংগঠন নিয়ে আমাদের খুব বেশি আগ্রহ নেই। তারপরও সংগঠনটি বেশ কিছু অঘটন ঘটিয়েছে, যা সবার পিলে চমকে দিয়েছে। গণঅধিকার কী নিয়ে একে অপরকে বহিষ্কার করল, সেটি আমাদের হয়তো ততটা জানার আগ্রহ থাকত না। কিন্তু যখন বাংলাদেশের ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে সংগঠনের নেতা নুরুল হক নুর তিনবার বৈঠক করেছেন বলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, তখন তো বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিতেই হয়। নুরুল হক নুরের সঙ্গে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রতিনিধির সাক্ষাতের খবর বাংলাদেশের গণমাধ্যমে আগেও প্রকাশিত হয়েছিল। নুরুল হক নুর তার সাক্ষাতের কথা অস্বীকার করেননি। এখন দলের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া তার কাছে বিদেশ থেকে প্রেরিত অর্থের হিসাব চাওয়ার পর অনেক কথাই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। কোনটা কতটা সত্য বা মিথ্যা তা আমাদের কারোই জানা সম্ভব না। তবে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে কাতার, দুবাই ও ভারতে তিন দফা নুর ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। দুবাইতে তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানও গড়ে তোলা হয়েছে বলে গণমাধ্যমে সংবাদ বের হয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ইসরায়েলের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। বাংলাদেশ এ ব্যাপারে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত থেকেছে। এর আগে বিএনপির জনৈক নেতা মোসাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাও হয়েছে। কিন্তু নুরুল হক নুরের কর্মকাণ্ড অনেক আগে থেকেই বেশ বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। তার আচার-আচরণ ও কথাবার্তায় অনেকেই তাকে বেশ উগ্র এবং হঠকারী একজন তরুণ হিসেবেই দেখছে। কোটাবিরোধী আন্দোলনে তার নাম উঠে আসার পর তার ঘাড়ে জামায়াত-শিবির, বিএনপি, ছাত্রদলসহ নানা দলের শনির ভর ঘটেছিল। তখন তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল ডাকসুর নির্বাচনে ছাত্রলীগের ভিপি প্রার্থীকে পরাজিত করা। সাধারণ ছাত্রছাত্রীদেরও অনেকেই সেই শনিতে ভর করেছিল। নুর ভিপি নির্বাচিত হয়েছে। অনেকেই তাকে নিয়ে ভবিষ্যতে অনেক কিছুর স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। ডাকসুর ভিপি হওয়া যেন ভবিষ্যতের রাজনীতিবিদ হয়ে যাওয়া! রাজনীতিবিদ হওয়ার জন্য থাকতে হয় সততা, ত্যাগ, নিষ্ঠা, আদর্শের চর্চা এবং জনগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে নিজেকে প্রশ্নবিদ্ধ না করার অবিচল অবস্থান। ডাকসুর ভিপি যারা হয়েছেন, তাদের মধ্যে তোফায়েল আহমেদই পেরেছিলেন জাতির ইতিহাসের বাঁক পরিবর্তনে ডাকসু এবং ছাত্রসমাজকে নেতৃত্ব দিতে। তিনি আজো ডাকসুর সাবেক ভিপি হিসেবে সেই গৌরবময় ইতিহাসের কারণে স্মরণীয় হয়ে আছেন। কিন্তু রাজনীতিবিদ তোফায়েল আহমেদের পরিচয়ের আগে ভিপি তোফায়েল কেউ উচ্চারণ করেন না, এটির প্রয়োজনও নেই। সেই পরিচয় তার ৫৪-৫৫ বছর আগের ইতিহাসের এক বছরের, যা তিনি অতিক্রম করে মুক্তিযুদ্ধ এবং পরবর্তী জাতীয় রাজনীতির একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতার গুণাবলি অর্জন করেছেন। কিন্তু নুরুল হক নুরের পরিচয় দিতে এক শ্রেণির গণমাধ্যম ভিপি নুর শব্দটি ব্যবহার করে থাকে। ভিপি নুর তার পদকে ছাড়িয়ে না গিয়ে কতটা অবনমন করেছেন, সেটিই বিচার্য বিষয়। তিনি গত কয়েক বছরে অনেক ঘটনা সংগঠিত করার সঙ্গে জড়িত আছেন বলে গণমাধ্যমই বলে থাকে। এখন তার সংগঠনের আহ্বায়ক তার বিরুদ্ধে বিরাট অঙ্কের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনেছেন। বিদেশ থেকে এমনকি ইসরায়েলের মোসাদের কাছ থেকে অর্থপ্রাপ্তির অভিযোগ এনেছেন, যা নিয়ে দলটিতে বহিষ্কার, পালটা বহিষ্কার চলছে। দল থেকে দাবি করা হয়েছে, এসব ঘটনার একটি তদন্ত কমিটিও করা হয়েছে। গণঅধিকার কি তদন্ত করবে কি করবে না, সেটি তাদের ব্যাপার। তবে গণঅধিকারের পেছনে অনেক রাজনৈতিক ছোট-বড় শক্তির যুব ও ছাত্রকর্মীরা একসময় জড়িত ছিল বলে গণমাধ্যমগুলো দাবি করছে। এখন তাদের অনেকেই নিজ ঠিকানায় ফিরে গেছে। সরকারবিরোধী আন্দোলন চাঙ্গা করতে তাদের প্রয়োজন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু সবাইকে যেটি বিস্মিত করছে, তা হলো নুরুল হক নুরের ইসরায়েলি কানেকশন নিয়ে সরকারি গোয়েন্দাদের হাতে কি কোনো খবর নেই? আমাদের রাজনীতিতে প্রতিক্রিয়াশীলরা ইসরায়েলিদের সঙ্গে মোলাকাত, কোলাকুলি, শলাপরামর্শ এবং অন্যকিছু করলে কারো কিছু যায় আসে না। এমনটি অন্য কারো ব্যাপারে ঘটলে এতদিনে ইহুদি নাসারাবিরোধী গোষ্ঠীরা রাস্তায় কীভাবে নামতেন, হত্যার হুমকি কীভাবে দেয়া হতো সেটি বোধহয় বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে দুঃখ হয় ড. রেজা কিবরিয়ার জন্য। তার পিতা বাংলাদেশকে বিশ্বে যেমন পরিচিত করিয়েছিলেন, আদর্শ, মেধা, সততা ও নিষ্ঠার কারণেও তিনি মানুষের কাছে স্মরণীয় হয়ে আছেন। চার দলীয় জোট সরকারের আমলেই তিনি গ্রেনেড হামলায় প্রথমে আহত হন। সরকার একটি হেলিকপ্টার না দেয়ায় অধিক রক্তক্ষরণে তাকে ঢাকায় আনার সময়ই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। সেই এস এম কিবরিয়ার ছেলে রাজনীতিতে আসবেন, এটিকে অনেকেই স্বাগত জানিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি নানা অভিযোগ তুলে প্রথমে গেলেন ড. কামাল হোসেনের গণফোরামে। সেখানে টিকতে পারেননি। তার ঠাঁই হলো এসব কুড়িয়ে পাওয়া তরুণদের সংগঠন গণঅধিকারে। সেখানেই তার ঠাঁই কতদিন হবে, তা বলা মুশকিল। মেধা, মনন দেশপ্রেম এবং সজ্জনতা ছাড়া রাজনীতিতে সফল হওয়া যায় না। রেজা কিবরিয়ার মেধা নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। কিন্তু রাজনীতি ভিন্ন পাঠশালা, শুধু মেধা দিয়ে তা অতিক্রম করা যায় না।
এরই মধ্যে বেশ কিছুদিনের আলোচিত সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’ এর উপদেষ্টা শামীন মাহফুজ সস্ত্রীক ঢাকায় গ্রেপ্তার হওয়ার বিষয়টি আমাদের জাতীয় রাজনীতিতে অনেকের কাছে খুব ছোট ঘটনা মনে হলেও জঙ্গিবাদের বর্তমান আলোচিত ব্যতিক্রমধর্মী ধারা হিসেবে এই সংগঠনটির প্রতিষ্ঠার মূল কারিগর ছিলেন শামীন মাহফুজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা জীবন ছেড়ে দিয়ে শামীন মাহফুজ দুই দশক আগেই পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান এলাকায় জমি লিজ নিয়ে তামাকসহ অনেক কিছু চাষাবাদের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন। মেধাবী এই তরুণটি ছাত্রজীবনে ছাত্রশিবির এবং পারিবারিক সম্পর্কের দিক থেকে জামায়াত ঘরানার মধ্যেই ছিলেন। কিন্তু তার চিন্তাধারা অনেক রেডিক্যাল। তার সঙ্গে জামায়াত অথবা ছাত্রশিবিরের বিরোধ কতটা রাজনৈতিক, কতটা আদর্শিক নাকি কৌশলগত সেটি আমাদের জানা নেই। কিন্তু সে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে রেডিক্যাল একটি ইসলামিক সংগঠন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বান্দরবানসহ বিভিন্ন জায়গায় বিচরণ করেছেন। বান্দরবানের নৃ-জাতিগোষ্ঠী অনেকেই তাকে ‘ভালো মানুষের’ আস্থায় নিয়েছিল। অনেক সম্পত্তি প্রশাসনের মাধ্যমে লিজ নিয়ে তিনি তামাকসহ নানাকিছু চাষ করে কী করেছেন, সেটি তিনিই ভালো বলতে পারেন। র‌্যাবের ভাষ্যমতে, তিনি কয়েক বছর জেল খেটে অনেক আগেই জামিনে মুক্ত হয়েছেন। জামিনে মুক্ত হয়ে তিনি কেএনএফের সঙ্গে যে কৌশলগত চুক্তি করেছেন, সেটিকে হাল্কা করে দেখার বিষয় নয়। শত শত তরুণ তাদের এই সংগঠনে যুক্ত হয়ে নিজেদের উৎসর্গ করার জন্য বাবা-মাকে ছেড়েছিল। কেএনএফ এমন একটি মৌলবাদী জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীর ফাঁদে নিশ্চয়ই সহজে পা দেয়নি। শামীন মাহফুজ যথেষ্ট মেধাবী, বুদ্ধিমান এবং কৌশলীও বটে। সস্ত্রীক এবার তিনি ধরা পড়লেন। আবারো কি জামিন পাবেন? তবে আমাদের র‌্যাবকে নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে ধারণা প্রকাশ করছে, সেটি যে মোটেও সঠিক নয়, তা তারা হয়তো বুঝবে না। কিন্তু হলি আর্টিজানের পর থেকে র‌্যাব এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেশে যে জঙ্গিবাদের উত্থান তৎপরতা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে, সেই সার্টিফিকেট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দিক বা না দিক এবার ঈদের আগে আমাদের সচেতন রাজনৈতিক মহলকে তা স্বীকার করতেই হবে।
ঈদের আগে বিএনপি তারুণ্যের শক্তিকে ব্যবহার করার জন্য বিভাগীয় শহরগুলোতে ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সমন্বয়ে সমাবেশ ঘটাচ্ছে। এসব সমাবেশে বিএনপির নেতারা যেসব ভাষণ দিচ্ছেন, তার কিছু কিছু অংশ ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের কল্যাণে আমরা শুনতে পাই। মির্জা ফখরুল সাহেব অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। চীনাপন্থি ছাত্র ইউনিয়ন করার অভিজ্ঞতা রয়েছে বলে শুনেছি। সেদিক থেকে তিনি বাম রাজনীতির কিছু অভিজ্ঞতা মাথায় ধারণ করে আছেন। যদিও তার পিতার রাজনীতি সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিল। তিনি এখন সরকার উৎখাতে তরুণদের সামনের সারিতে এসে আন্দোলন করার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন। তিনি যা বলছেন, সেটি তার দলেরই কথা। তবে বাংলাদেশের সব তরুণ সম্ভবত তার এই আহ্বানে প্রাণ বিসর্জন দিতে যাবেন না। গণঅভ্যুত্থান অনেক বড় বিষয়। সেটি ১৯৬৯ সালে একবারই ঘটেছিল। সেই পরিস্থিতি এখন দেশে নেই। মানুষ এখন আছে নিজেদের জীবনজীবিকা, কর্মসংস্থান, ভবিষ্যৎ তৈরির কাজে। তরুণরা এই প্রক্রিয়ার মধ্যেই রয়েছে। তবে সরকার উৎখাতের আন্দোলন বাংলাদেশে ঈদের পরে শুরু হবে এমন প্রত্যাশা জাগিয়ে তরুণদের কতটা মাঠে নামানো যাবে, সেটা দেখার বিষয়। মির্জা ফখরুল ইসলাম বিভিন্ন সভায় বলছেন, ‘বিদেশিরা এই সরকারকে চাচ্ছে না। সুতরাং এই সরকার আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।’ বিদেশিরা এই সরকারকে ক্ষমতায় চাচ্ছে না, এটি কি প্রমাণিত সত্য? এটি তো কোনো বিদেশি বলছে না। তিনি সভাগুলোতে আরো বলছেন, ‘আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ১০টি আসনও পাবে না।’ এরই বা ভিত্তি কী? নির্বাচন শেষেই কেবল জানা যাবে, জনগণ কোন দলকে কতটা আসনে বিজয় দিয়েছে। আপাতত এসবই ঈদের আগের রাজনীতির হালচাল, ঈদের পরের হালচাল কী হয় তার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে।

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী : অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত), ইতিহাসবিদ ও কলাম লেখক।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়