রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু

আগের সংবাদ

সিসিক মেয়রের প্রতি প্রধানমন্ত্রী : মেয়র নয়, সেবক হিসেবে কাজ কর

পরের সংবাদ

সৈয়দপুর পৌরসভার ৩ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া : সংযোগ বিচ্ছিন্নের আশঙ্কা

প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি : সৈয়দপুর পৌরসভার দুই কোটি ৯১ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া বিল পরিশোধ না করায় যে কোনো সময় নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করতে পারেন বলে আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় নাগরিক সাধারণের মাঝে উৎকন্ঠা বিরাজ করছে।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আকতার হোসেন, রাজনীতিক রুহুল আলম ও সমাজসেবী আশরাফুল আলম জানান, সৈয়দপুর পৌর এলাকায় ১৫টি ওয়ার্ড ও বাজার এলাকা মিলে অন্তত তিন হাজার ৫০০ বৈদ্যুতিক খুঁটিতে রাতের বেলা বাতি জ্বলে। কর্তৃপক্ষ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলে পুরো শহর ভুতুড়ে শহরে পরিণত হবে। আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে এমন অবস্থা সৃষ্টি হলে পৌর এলাকা অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হবে। বাড়বে চুরি, ছিনতাইসহ মাদক ব্যবসা। এতে করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটবে।
কথা হয় নেসকোর সৈয়দপুর বিদ্যুৎ বিতরণ ও বিক্রয় কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়ার সঙ্গে। তিনি মুঠোফোনে অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পৌর কর্তৃপক্ষ তাদের বকেয়া বিল পরিশোধ করছে না। দুই কোটি ৯১ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়ে আছে। আমরা লিখিত ও মৌখিকভাবে অন্ততপক্ষে অর্ধশতবার পৌর মেয়রকে তাগাদা দিয়েছি। কিন্তু তিনি বিল পরিশোধে আমাদের তাগাদা আমলেই নেননি। বিভিন্ন তালবাহানা করে সময় ক্ষেপণ করছেন। গত ১৯ জুন বকেয়া বিল আদায়ে রাজশাহী অঞ্চলের উপ-মহাব্যবস্থাপক সাখাওয়াৎ হোসেন তালুকদারের নেতৃত্বে আমরা পৌরসভায় যাই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করতে। এ সময় মেয়রের নির্দেশে আমাদের গাড়ি বহরের সামনে এবং পেছনে দুই দিকে ময়লার গাড়ি দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। এমনকি আমাদের বিদ্যুৎ সরবরাহ অফিসের প্রধান ফটকের সামনে ময়লার গাড়ি রেখে অবরুদ্ধ করা হয়। এমন অবস্থায় স্থানীয় ইউএনও ফয়সাল রায়হানের হস্তক্ষেপে রক্ষা পাই। তবে বকেয়া আদায়ে ভিন্ন পথ অবলম্বন করতে কঠিন পদক্ষেপ নেয়া হবে।
বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ও অবরুদ্ধ করার অভিযোগ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে কথা হয় সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আকতার জাহানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ঘটনার দিন আমি নীলফামারীতে ছিলাম। আমি অবরুদ্ধ করার বিষয়ে কিছুই জানিনা। তবে বিল পরিশোধের প্রক্রিয়া চলছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়