রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু

আগের সংবাদ

সিসিক মেয়রের প্রতি প্রধানমন্ত্রী : মেয়র নয়, সেবক হিসেবে কাজ কর

পরের সংবাদ

সুপেয় পানির ব্যবস্থা হওয়ায় মহাখুশি ৩৩২ পরিবার

প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এস কে হাসান, আশাশুনি (সাতক্ষীরা) থেকে : আশাশুনিতে সুপেয় পানির অভাবে চরম বিপর্যস্ত পরিবারের মধ্যে ৩৩২টি পরিবার সুপেয় পানির ব্যবস্থা পেয়ে যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেয়েছেন। জিওবি-ইউনিসেফ পাইপ ওয়াটার সিস্টেম পরিবারগুলোকে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করেছে। ইউনিসেফ বাংলাদেশ প্রধান শেলডন ইয়েট প্লান্টটির উদ্বোধন করেন।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে কাদাকাটি ইউনিয়নের দীর্ঘ প্রায় ৬ কিলোমিটার পাইপলাইন ব্যবহার করে ৩টি ভিন্ন ভিন্ন পুকুর থেকে পানি সংগ্রহ করে প্রকল্পের নির্মিত প্লান্টের বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় পরিশোধন করা হচ্ছে। এখান থেকে ২৭টি ট্যাপ পয়েন্টের মাধ্যমে ৩৩২ পরিবারকে সারা বছর নিরাপদ পানি সরবরাহ করা হবে। গত ১৯ জুন থেকে পানি সরবরাহ শুরু হয়েছে।
সুপেয় পানি সরবরাহ কাজ দেখতে এলাকা পরিদর্শন করেন, কাদাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান দিপংকর কুমার সরকার, জিওবি-ইউনিসেফ ঢাকা প্রকল্প পরিচালক এহতেশামুল রাসেল খান, ডিপিএইচই খুলনা তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. বাদশাহ মিয়া, সাতক্ষীরা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম, ইউনিসেফ খুলনা চিফ ফিল্ড অফিসার মো. কাউসার হোসেন, ইউনিসেফ ঢাকা ওয়াশ অফিসার নার্গিস আক্তার, ইউনিসেফ খুলনা ওয়াশ অফিসার মোহাম্মদ নাহিদ মাহমুদ, ইপিআরসি ঢাকা সহকারী নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ড. সুফিয়া খানম ও ইপিআরসি’র উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা এবং পানি সংক্রান্ত কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কাদাকাটিসহ আশাশুনি উপজেলার পানযোগ্য নিরাপদ পানির সংকট মোকাবেলায় সুপারিশসমূহ বিশদভাবে আলোচনা করা হয়। পানি ব্যবহারকারী রমেচা খাতুন বলেন, এলাকার মানুষের সুপেয় পানির দুর্ভোগের কথা বলে শেষ করা যাবে না।
ইউনিসেফ পাইপ লাইনের মাধ্যমে বাড়িতে বাড়িতে পানি পৌঁছে দিয়ে আমাদেরকে মহাসংকট থেকে রক্ষা করেছে।
কাদাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান দিপংকর কুমার সরকার জানান, এলাকার মানুষ দীর্ঘকাল সুপেয় পানির অভাব চরমভাবে ভোগ করে আসছিল। সুপেয় পানির সন্ধানে নারীরা ২/৩ কিমি পথ পায়ে হেঁটে গিয়ে দূরবর্তী এলাকা থেকে কলসে পানি এনে কোনো রকমে কাজ করত। প্লান্টটি চালু হওয়ায় এলাকার মানুষ এখন বাড়ি বসে সুপেয় পানি পাচ্ছে। এমন প্রকল্প এলাকার আরো কিছু গ্রামে স্থাপন করা প্রয়োজন বলে তিনি জানান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়