পাবনা প্রতিনিধি : বায়ুদূষণ, ধুলাদূষণ ও শব্দদূষণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পাবনায় মানববন্ধন ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে মধ্য শহরের আব্দুল হামিদ সড়কের পাবনা প্রেস ক্লাবের সামনে বে-সরকারি সংস্থা গেøাবাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর উদ্যোগে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
একাত্তর টিভি ও বাংলা নিউজের পাবনা প্রতিনিধি মুস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- পাবনা পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সদস্য পাবনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম পাকন। বিশেষ অতিথি ছিলেন- পাবনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি চেম্বারের পরিচালক সাংবাদিক এবিএম ফজলুর রহমান। মানববন্ধনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- গেøাবাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট একুশে টিভি ও মানবজমিন পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি রাজিউর রহমান রুমী।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- পাবনা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহবুব মোর্শেদ বাবলা, গাজী টিভির পাবনা প্রতিনিধি ইমরোজ খন্দকার বাপ্পি, ঢাকা পোস্টের প্রতিনিধি রাকিব হাসনাতসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এসময় বক্তারা বলেন, বায়ুদূষণ বর্তমান সময়ে একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর মতে বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর প্রায় ৭০ লাখ মানুষ বায়ুদূষণের কারণে মুত্যুবরণ করছেন। এছাড়া বায়ুদূষণের কারণে পৃথিবীর তাপমাত্রা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলে পৃথিবী মহাবিপর্যয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে। সম্প্রতি একটি গবেষণার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার শহরগুলোর বায়ুরমান ৬ থেকে ২৫ গুণ খারাপ হয়েছে। প্রতি বছরে ঢাকা মহানগরীর বায়ুতে প্রায় ৫০ টন সিসা যুক্ত হচ্ছে। এই বায়ুদূষণের কারণে হাঁপানি, হৃদরোগ, স্ট্রোক, ফুসফুসের ক্যান্সার, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয় এবং অকাল মৃত্যু হয়। অপরদিকে ধূলা মিশ্রিত বায়ু দ্বারা শাসকষ্ট, এলার্জি, চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
আর শব্দদূষণের কারণে প্রতি বছর হাজার হাজার শিশুর শ্রবণ ক্ষমতা ধ্বংস হচ্ছে। মানসিক ভারসাম্যতা বিনষ্ট হচ্ছে।

শব্দদূষণের দ্বারা ফুসফুসে আক্রান্ত হচ্ছে, শিশুদের বুদ্ধিমত্তা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাই প্রয়োজন ছাড়া গণপরিবহন, ব্যক্তিগত পরিবহনে হাইড্রলিক হর্ন বাজানো থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। একই সঙ্গে জনবহুল এলাকাতে উচ্চৈঃস্বরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রচার মাইক বন্ধসহ দূষণ প্রতিরোধে সরকারসহ প্রশাসনের নজরদারি বৃদ্ধি ও দূষণের কারণে ক্ষতিকারক বিষয়গুলো নিয়ে জনসচেতনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সবাইকে একসঙ্গে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।