রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু

আগের সংবাদ

সিসিক মেয়রের প্রতি প্রধানমন্ত্রী : মেয়র নয়, সেবক হিসেবে কাজ কর

পরের সংবাদ

পশু বেচাকেনায় অতিরিক্ত হাসিল আদায় : গাইবান্ধায় ইজাদারকে শোকজ

প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধা জেলায় কুরবানির পশুরহাটগুলো জমে উঠেছে। পর্যাপ্ত গবাদি পশু উঠছে হাটবাজারগুলোতে। ঈদের আরো ৪ দিন বাকি থাকায় স্থানীয় ক্রেতাদের পাশাপাশি জেলার বাইরে থেকে আসা বেপারিদেরও উপস্থিতি বেড়েছে হাটে। এদিকে গাইবান্ধার ঐতিহ্যবাহী দাড়িয়াপুর হাটে অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের অভিযোগ ভোরের কাগজ অনলাইনে প্রচারিত হওয়ার পর হাট ইজারাদার আয়ান উদ্দীনকে শোকজ করা হয়েছে।
গত শুক্রবার দাড়িয়াপুর হাট ঘুরে দেখা গেছে সরকারি নিয়মে গরু ও মহিষের জন্য ক্রেতার কাছ থেকে ৪০০ টাকা টোল নেয়ার কথা থাকলেও ৮০০ টাকা করে নেয়া হয়। এছাড়া ছাগলের ক্রেতার কাছ থেকে ১৫০ টাকার স্থলে ৩০০ টাকা নেয়া হয়। বিক্রেতার কাছ থেকে কোনো হাসিল আদায়ের নিয়ম না থাকলেও গরু বিক্রেতার কাছ থেকে ৪০০ টাকা এবং ছাগল বিক্রেতার কাছ থেকে ২০০ টাকা করে নেয়া হয়।
হাজমুর রহমান নামে এক ক্রেতা বলেন, এক লাখ টাকা দিয়ে একটি গরু কিনেছি। কিন্তু হাটের ইজারাদার আমার কাছ থেকে ৮০০ টাকা খাজনা নিয়েছে। যার কাছ থেকে গরু কিনেছি তার কাছ থেকেও ৪০০ টাকা খাজনা নিয়েছে হাট ইজারাদার। দাড়িয়াপুর গ্রামের বাসিন্দা আবু সাইদ মিয়া বলেন, আমি তিনটি ছাগল কিনেছি। প্রতিটি ছাগলের জন্য হাসিল দিতে হয়েছে ৩০০ টাকা। আমার তিনটি ছাগলের জন্য ৯০০ টাকা হাসিল দিতে হলো। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বালাচিড়া গ্রামের গিয়াস উদ্দিন পাঁচটি ছাগল দাড়িয়াপুর হাটে এনেছিলেন। তিনি দুটি ছাগল বিক্রি করেন এবং ক্রেতা না পাওয়ায় তিনিটি ছাগল ফেরত নিয়ে যান। তিনি বলেন, দুটি ছাগল হাটে বিক্রি করে ৪০০ টাকা খাজনা দিতে হয়েছে হাটে।
এবার ক্রেতা কম হওয়ায় গরুর উপযুক্ত দাম না পাওয়ার আশঙ্কা করছেন গরুর খামারি ও বিক্রেতারা। তারা বলছেন, ক্রেতারা যে দাম বলছে তাতে একেকটি গরুতে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা লোকসান হবে। গাইবান্ধা সদর উপজেলার ইউএনও মো. শরীফুল আলম বলেন, কেন হাটের ইজারা বাতিল করা হবে না তা আগামী দুই কার্য দিবসের মধ্যে জবাব দেয়ার জন্য এই শোকজ করা হয়েছে।

পরবর্তী সময়ে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া পরবর্তী হাটগুলোতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।
জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মাসুদার রহমান বলেন, চাহিদা অনুযায়ী গাইবান্ধা জেলার ছোট, বড় ও ব্যক্তি পর্যায়ের খামারিরা ১ লাখ ৩৮ হাজার পশু কুরবানির জন্য প্রস্তুত করেছে। জেলায় চাহিদা ১ লাখ ১৬ হাজার। জেলার চাহিদা মিটিয়েও ২২ হাজার পশু জেলার বাইরে পাঠানো সম্ভব বলে জেলা প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর জানিয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়