রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু

আগের সংবাদ

সিসিক মেয়রের প্রতি প্রধানমন্ত্রী : মেয়র নয়, সেবক হিসেবে কাজ কর

পরের সংবাদ

কুরবানির হাট কাঁপাবে পূর্বধলার কালো মানিক

প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

পূর্বধলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : আসন্ন কুরবানির পশুর হাট কাঁপাতে প্রস্তুত পূর্বধলা উপজেলার বিশকাকুনি ইউনিয়নের শরিস্তলা গ্রামের মৃত জসিম উদ্দিনের ছেলে আতাউর রহমানের ১ টন ওজনের কালো মানিক। ৮ ফুট দৈর্ঘ্য, ৫ ফুট উচ্চতার ওজন প্রায় ১ টন, শাহিওয়াল জাতের ষাঁড় গরুটির দাম হাঁকা হয়েছে ১২ লাখ টাকা। আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে পূর্বধলার হাটের চমক থাকবে এই কালো মানিক।
ষাঁড়ের মালিক আতাউর রহমান জানান, আসন্ন কুরবানির ঈদে তিনি ষাঁড় গরুটি বিক্রি করতে চান। তবে হাটে না নিয়ে বাড়ি থেকে ষাঁড় গরুটি বিক্রি করতে চান তিনি। দাম আলোচনা সাপেক্ষে হতে পারে।
আতাউর রহমান আরো জানান, তিন বছর আগে তিনি পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে শাহিওয়াল জাতের এই ষাঁড় গরুটি কিনে আনেন। সেই থেকে তার লালন পালন ও পরিচর্যা চলছে। বর্তমানে চার দাঁতের ষাঁড় গরুটি বয়স তিন বছর। আর ওজন ১ টন (২৫ মন)। ষাঁড় গরুটি লালন পালন করেন তিনি ও তার স্ত্রী। গরুটি দেখতে কালো, তাই তার নাম রাখা হয়েছে কালো মানিক।
আতাউরের স্ত্রী তাসলিমা বেগম জানান, এ ধরনের গরু লালনপালন করা খুবই কষ্টকর। পরিবারের একজন সদস্যের মতো তাকে লালন পালন করতে হয়। এ জন্য তাদের শ্রম ও অর্থ ব্যয় করতে হয়। কালো মানিকের প্রতিদিনের খাবার তালিকায় থাকে চিড়া, কলা, ছোলা, ভুসি, চালের কুড়া, ঠাণ্ডা শরবত আর খড়। এ জন্য তার পিছনে প্রতিদিন খরচ করতে হয় প্রায় এক হাজার টাকার মতো।
তিনি আরো জানান, আমিও আমার স্ত্রী তাসলিমা বেগম তিন বছর ধরে ষাঁড়টিকে সন্তান ¯েœহে লালন পালন করে আসছি। প্রতিদিন সময়মতো গোসল করানো, খাবার দেয়া, রাতে মশারি টানানো, গোয়াল ঘর পরিষ্কার করা সব কিছু আমরা দুজনেই করে থাকি। শান্ত প্রকৃতির কালো মানিকের সঙ্গে তাদের ছোট দুটি সন্তানের খুব সখ্যতা রয়েছে। তার প্রমাণ দেখা গেছে তাদের ছোট ছেলেকে কালো মানিকের ওপর বসানোর পর গরুটি মাথা নিচু করে দিয়ে সুবোধ বালকের মতো ঠায় দাঁড়িয়ে ছিল। যা দেখে উপস্থিত সবাই অবাক। প্রতিবেশীরা জানান, কালো মানিক এ এলাকার মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু।

দেখতে খুব সুন্দর, গায়ের রং কালো ও চকচকে। তাই প্রতিদিন আশেপাশের গ্রাম থেকে শত শত মানুষ লাল মানিককে দেখতে তার বাড়িতে ভিড় জমায়।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এবার কুরবানির ঈদে চাহিদার চেয়ে বেশি কুরবানির পশু রয়েছে। এগুলোর বেশির ভাগ শাহিওয়াল ও ফ্রিজিয়ান জাতের দেশি ক্রস। পূর্বধলা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এম এম এ আউয়াল তালুকদার জানান, এবার কুরবানির পশুর চাহিদা ১৫ হাজার ৫১৭টি আর প্রস্তুত রয়েছে ২২ হাজার ৩৬৪টি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়