কাগজ প্রতিবেদক : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার নির্বাচনী খেলায় মেতে উঠেছে। তিনি বলেন, সরকার একের পর এক খেলায় মেতে উঠেছে। আগামী নির্বাচন নিয়েও তারা খেলতে চাচ্ছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দেশে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জনসমর্থন হারিয়েছে। দেশ এবং বিদেশের মানুষও নিশ্চিত যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন সম্ভব নয়। শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হবে। এই দেশে শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। গতকাল শুক্রবার বিকালে ‘নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে’ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত রাজধানীর বাড্ডায় পদযাত্রাপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে বাড্ডার সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে মালিবাগ আবুল হোটেলের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পদযাত্রাপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী এমন কথা বলছেন- যা দেশকে বিপদে ফেলছে। তিনি বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র তাকে সরাতে চায়। কিন্তু এ ধরনের কথা একজন প্রধানমন্ত্রীর কাছে কেউ আশা করেনি। বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেছে সরকার। তারা ব্যাংক লুট করে নিয়েছে, অর্থনীতি ধ্বংস করে দিয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। আবার তারা নির্বাচনের কথা বলছে। নির্বাচন এখন সরকারের খেলায় পরিণত হয়েছে।
আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো কালেই নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, আগামীতেও হবে না মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বর্তমান সরকারকে সরাতে হবে। বিএনপির আন্দোলনকে সরকার ভয় পায় বলেই আমাদের নেতাকর্মীদের আটকে রাখা হচ্ছে, নির্যাতন করা হচ্ছে। এ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। ২০১৪ সালে তারা একতরফা নির্বাচন করেছে। ১৫১ জনকে বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত করে সরকার গঠন করেছে। ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে করে তারা জোর করে ক্ষমতা দখল করেছে।
শ্রমিক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্যসচিব বদরুল আলম ও সংগঠনটির ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব কামরুজ্জামানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান ও সদস্যসচিব আমিনুল হক, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, শ্রমিক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক সুমন ভূঁইয়া, শ্রমিক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক কাজী শাহ আলম রাজা প্রমুখ।