শিশুশ্রম নিরসনে সমন্বিত পদক্ষেপের আহ্বান

আগের সংবাদ

ভারত-আমেরিকার বৈচিত্র্যময় অংশীদারত্ব গড়ার প্রত্যয় : হোয়াইট হাউসে মোদি-বাইডেন বৈঠক শেষে যৌথ ঘোষণা

পরের সংবাদ

দেশের মানুষ সুযোগ পেলেই আওয়ামী লীগকে ভোট দেয় : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ভোটে নয়, আওয়ামী লীগ হারে ষড়যন্ত্রে এমন মন্তব্য করেছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ কখনো ভোটে হারেনি, যখনই হেরেছে, ষড়যন্ত্রের কাছেই হেরেছে। দেশের মানুষ যখনই ভোট দেয়ার সুযোগ পেয়েছে, তখনই তারা আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে। ২০০৮ সালের নির্বাচন তার প্রমাণ। সেই নির্বাচন হয়েছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। সা¤প্রতিক সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে, সেই প্রমাণ আমরা দিয়েছি। নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন

তোলার কোনো সুযোগ নেই।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সভাপতির সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন তিনি। দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, সম্পাদক ও কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যরা সভায় অংশ নেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, বরিশাল, খুলনা, সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন ও কক্সবাজার পৌর নির্বাচন হয়েছে। প্রতিটি নির্বাচনই সুষ্ঠু হয়েছে। এসব নির্বাচনে আমরা জয়লাভ করেছি। এই নির্বাচন নিয়ে কেউ কোনো কথা বা কোনো অভিযোগ করতে পারেনি, পারবেও না। যারা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলে তাদের বলব, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্বাচন স্বচ্ছ হয়, নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারে, সেই ব্যবস্থা যে আমরা করতে পারি, সেটা আমরা প্রমাণ করেছি। কাজেই এটা নিয়ে আর কারো কোনো প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই।
যেসব দেশ বাংলাদেশের নির্বাচন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে, তাদের এসব নির্বাচন পর্যবেক্ষণের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ভোট দিয়েছেন। কিন্তু বিএনপির আমলে উপনির্বাচনে মানুষ ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেনি। কারণ, তারা তাদের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে ভোট লুট করেছিল। যার প্রমাণ তেজগাঁও, মিরপুর ও মাগুরার উপনির্বাচন। এসব নির্বাচনে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে তারা জন্ম নিয়েছে এবং এটাই তাদের অভ্যাস। বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের মেয়র নির্বাচিত করায় প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে অভিনন্দন জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, কানাডার আদালত বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করেছে। সেই বিএনপি এখন আওয়ামী লীগকে ভোটচোর বলছে। আওয়ামী লীগের তো ভোট চুরির দরকার নেই। কারণ, আমরা দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করার মাধ্যমেই জনগণের ভোট পাই। এভাবে জনগণের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করেছি। একটা কথা মনে রাখবেন, আওয়ামী লীগ কখনোই ভোটে হারেনি। যখনই হেরেছে তখনই ষড়যন্ত্রের কারণেই হেরেছে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ যখনই ভোট দেয়ার সুযোগ পেয়েছে তখনই আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তা প্রমাণিত হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনও হয়েছিল। আর জনগণ কখনই সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপিকে ভোট দেয় না। কারণ, তাদের জনগণের সেবা এবং উন্নতির জন্য কাজ করার কোনো আগ্রহই নেই, বরং বড় ধরনের দুর্নীতির মাধ্যমে নিজেদের আখের গোছানোর কাজেই ব্যস্ত ছিল তারা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা কথা প্রত্যেকের মনে রাখা উচিত; সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপিকে কেউ ভোট দেয়নি। তাই, তারা ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে অংশ নেয়নি, বরং অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে মানুষকে জীবন্ত আগুনে পুড়িয়ে হত্যার মাধ্যমে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শাসনামালের তুলনা করে শেখ হাসিনা বলেন, সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান দেশের সংবিধান লঙ্ঘন করে বিএনপি গঠন করেছিল। তার অবৈধ ক্ষমতা দখলকে বৈধ করতে ভোট কারচুপির সংস্কৃতি চালু করে। আওয়ামী লীগ দেশবাসীর ভোটাধিকার নিশ্চিত করেছে। আমরা জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছি, আমার ভোট, আমার পছন্দ আওয়ামী লীগের স্লোগান। বিএনপি খুনি, সন্ত্রাসী ও যুদ্ধাপরাধীদের দল। এই খুনি ও সন্ত্রাসীদের দল সম্পর্কে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ তারা জনগণের কল্যাণ চায় না।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বিএনপি যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই দেশকে পেছনে ঠেলে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই দেশের সামগ্রিক আর্থসামাজিক উন্নয়ন করেছে যা বিগত সাড়ে ১৪ বছর ও তার আগের সময়ের উন্নয়নের সঙ্গে সহজেই তুলনা করা যায়। বিএনপি ক্ষমতায় থেকে দেশকে দুর্নীতি, জঙ্গি, সন্ত্রাসের দেশে পরিণত করেছে। পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকে। সাড়ে ১৪ বছরে দেশে গণতান্ত্রিক ধারা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অব্যাহত রয়েছে। অনেক মানবসৃষ্ট ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করে আমরা অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছি। এই অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশ হবে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পর থেকে জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে। আওয়ামী লীগই একমাত্র সংগঠন যা জনগণের পক্ষে কথা বলে। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে। জিয়াউর রহমান ও তার স্ত্রী খালেদা জিয়া হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা এবং অমানবিক নির্যাতনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে ধ্বংসে বারবার চেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু তারা এটা করতে ব্যর্থ হয়েছে। কারণ, আওয়ামী লীগ মাটি ও মানুষের সংগঠন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়