শিশুশ্রম নিরসনে সমন্বিত পদক্ষেপের আহ্বান

আগের সংবাদ

ভারত-আমেরিকার বৈচিত্র্যময় অংশীদারত্ব গড়ার প্রত্যয় : হোয়াইট হাউসে মোদি-বাইডেন বৈঠক শেষে যৌথ ঘোষণা

পরের সংবাদ

আবার সবুজ ঢাকায় পরিণত করা হবে : মেয়র আতিক

প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, পরিকল্পিত বৃক্ষরোপণের মধ্য দিয়ে ঢাকাকে আবার সবুজ-শ্যামল নয়নাভিরাম ঢাকায় পরিণত করা হবে। একসময় এই ঢাকা ছিল গাছপালায় ভরপুর। মাটি ছিল উর্বর। নিজেদের স্বার্থের কথা ভাবতে গিয়ে বনভূমি উজাড় করে ফেলেছি। তিনি বলেন, এখন রাস্তায় বেরোলে আর আগের মতো ছায়া পাই না। বিশুদ্ধ অক্সিজেন হাব কোথাও নেই। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করতে থাকি। প্রকৃতি তার প্রতিশোধ নিতে শুরু করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালীর এ কে খন্দকার সড়কে ডিএনসিসি ও বন অধিদপ্তরের যৌথভাবে বৃক্ষরোপণ অভিযানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় প্রচণ্ড গরম অনুভূত হওয়ার জন্য নির্বিচারে বৃক্ষ নিধনকে দায়ী করেন তিনি।
বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসেন চৌধুরী, কেন্দ্রীয় অঞ্চলের বন সংরক্ষক হোসেইন মোহাম্মদ নিশাদ, ঢাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা নুরুল করিম, সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম ও বন সংরক্ষক আর এস এম মনিরুল ইসলাম। মেয়র আতিক বলেন, একসময় সুজলা, সুফলা, শষ্য শ্যামলা, সবুজ বাংলাদেশ নামে এই দেশের খ্যাতি ছিল। এখন আর এটা নেই। আমরা গাছ কেটে বনভূমি উজাড় করে ফেলছি। আমরা প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে মাটি দূষিত করে ফেলছি। গাছপালা কমে যাওয়ায় শ্যামল ছায়া আর দেখতে পাওয়া যায় না। সবুজ-শ্যামল বাংলাদেশ থেকে দূরে সরে গিয়েছি। এগুলো এখন আমাদের কাছে ইতিহাস মনে হয়। তবে ঢাকা শহরে পরিকল্পিতভাবে বৃক্ষরোপণের মধ্য দিয়ে সেই ইতিহাসকে সামনে নিয়ে আসতে চাই। আবার ঢাকা শহরকে সবুজ ছায়ায় ছেয়ে দিতে চাই।
যারা সুষ্ঠুভাবে ছাদবাগান করবে সেসব বাসার মালিককে ১০ শতাংশ হারে হোল্ডিং ট্যাক্স ছাড় দেয়া হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সেই সুবিধা এখন সব সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাকে দিচ্ছে। এটি একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। আমাদের বাঁচার একটাই পথ- বিপুল পরিমাণ গাছ লাগাতে হবে। যেখানেই ফাঁকা জায়গা সেখানেই বৃক্ষরোপণ করে পরিচর্যা করতে হবে। এভাবে আগাতে থাকলে ঢাকা হবে আবার সেই সবুজ ঢাকা এবং একটি পরিপূর্ণ অক্সিজেন হাব। যে কোনো পরিস্থিতিতে ডিএনসিসিসহ যে কোনো সংস্থাকে আর একটি গাছও না কাটার আহ্বান জানান তিনি।
কুরবানির সময় পশুর বর্জ্য যেখানে সেখানে না ফেলার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, সিটি করপোরেশন ১০ লাখ পরিবেশবান্ধব পলিব্যাগ বিতরণ করবে। বর্জ্যগুলো ব্যাগে ভরে নির্দিষ্ট স্থানে রাখুন। সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নকর্মীরাই যথাসময় নিয়ে যাবে। পশুর হাট থেকে সংগৃহীত গোবরকে সারে পরিণত করে বিভিন্ন নার্সারিকে দেয়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়