পাগলায় মানববন্ধন : মন্দিরের জায়গা উদ্ধারের দাবি

আগের সংবাদ

স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবে না যুক্তরাষ্ট্র : মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর

পরের সংবাদ

হোসেনপুরে রাজা-বাদশা কিনলে ২ ছাগল ফ্রি

প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার সিদলা ইউনিয়নের সাহেবের চর নয়াপাড়া গ্রামের আছর আলী শখের বশে ফ্রিজিয়ান জাতের দুটি ষাঁড় পাঁচ বছর আগে সাড়ে ৩ লাখ টাকায় কিনে লালন-পালন শুরু করেন। নিজের সন্তানের মতো পরম যতেœ আলগে রাখেন। সে থেকে তাদের একজনের নাম রাখেন রাজা; আরেকজনের বাদশা।
কালোর মাঝে সাদা রঙের দুটি ষাঁড়ের রাজার দৈর্ঘ্য ১১ ফুট, উচ্চতা প্রায় সাড়ে ৫ ফুট, ওজন সাড়ে ১ হাজার ১০০ কেজি; আর বাদশার দৈর্ঘ্য ১০ ফুট, উচ্চতা প্রায় সাড়ে ৫ ফুট, ওজন ১ হাজার কেজি। রাজা-বাদশা একসঙ্গেই থাকে ও খাবার খায়। একজন আরেকজনের চোখের আড়াল হলেই চেঁচামেচি শুরু করে। সময়ের ব্যবধান একটু বেশি হলেই চেঁচামেচি গর্জনে রূপ নেয়। আকর্ষণীয় এই জুটিকে দেখতে প্রতিদিন ভিড় করেন লোকজন। এই ষাঁড় দুটি যখন সিনা টান করে মাথা উঁচু করে তখন আকর্ষণ আরো বেড়ে যায়। সরজমিন বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সৌন্দর্য বাড়াতে দর্জির দোকান থেকে লাল কাপড়ের জামা বানানো হয়। আসন্ন কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে রাজার দাম হাঁকা হচ্ছে ১০ লাখ টাকা আর বাদশার দাম ৯ লাখ টাকা। তবে দাম কিছু কমবেশি হলেও এবার বিক্রি করে দেবেন।
আছর আলী বলেন, প্রায় পাঁচ বছর আগে বাজার থেকে কিনে আনার পর থেকে আদর-যতেœই বড় করেছেন ষাঁড় দুটি। নিজের সন্তানের মতো বড় করতে পরিশ্রম করছে পরিবারটি। রাজা-বাদশার জন্য বানানো হয়েছে আলাদা শেড। রাখা হয়েছে ২৪ ঘণ্টা ইলেকট্রিক ফ্যানের সুব্যবস্থা। খাবারের বিষয়ে আলাদা যতœ নিতে হয়। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রয়েছে চিড়া, ভুসি, কলা, ধানের কুঁড়া, ছোলা, ভুট্টা, কাঁচা ঘাস ও লাল চিনি ইত্যাদি।
রাজা-বাদশার আকার, আকৃতি ও দেখতে অনেক সুন্দর। ফ্রিজিয়ান গরু রোগ প্রতিরোধী। বাংলাদেশের আবহাওয়ায় এই জাতের গরু খুবই মানানসই।
এ জাতের গরু সাধারণত ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৮০০ কেজি মাংস উৎপাদনে সক্ষম।
রাজা-বাদশার মালিক আছর আলী বলেন, অনেক যতœ করে আমি আমার রাজা-বাদশাকে চার বছর ধরে লালন-পালন করছি। তাই আমার ইচ্ছা রাজা-বাদশাকে বাড়ি থেকেই বিক্রি করে দেব। কোনো ক্রেতা ক্রয় করলে রাজা-বাদশার সঙ্গে দুটি ছাগল ফ্রি দেব; এবং কুরবানির দিনের আগ পর্যন্ত ওদের লালন-পালন করে দেব। সেই সঙ্গে বাড়ি পৌঁছে দেবেন। তাই অপেক্ষায় আছেন আছর আলী। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. উজ্জল হোসাইন জানান, ষাঁড় দুটি লালন-পালনের বিষয়ে নিয়মিত পরামর্শ দেয়া হতো। আছর আলী কোনো ক্ষতিকর ওষুধ প্রয়োগ ছাড়াই দেশীয় খাবার খাইয়ে ষাঁড় দুটি লালন-পালন করেছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়