পাগলায় মানববন্ধন : মন্দিরের জায়গা উদ্ধারের দাবি

আগের সংবাদ

স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবে না যুক্তরাষ্ট্র : মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর

পরের সংবাদ

সংসদে ব্যাংক-কোম্পানি (সংশোধনী) বিল পাস : বিরোধীদের ওয়াক আউট

প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিরোধীদল জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের প্রবল বিরোধিতা ও জাপার এমপিদের ওয়াক আউটের মধ্য দিয়ে পাস হয়েছে ব্যাংক-কোম্পানি (সংশোধনী) বিল-২০২৩। বিলটি উত্থাপনে সংসদে রীতিনীতি মানা হয়নি এবং ব্যাংক পরিচালকদের সুবিধা দিতে তাদের সময়সীমা ১২ বছর করার প্রবল বিরোধিতা করে জাতীয় পার্টি। এর পরেও বিলটি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল সংসদে উত্থাপন ও পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়ে যায়। এর আগেই জাতীয় পার্টি সংসদ থেকে ওয়াক আউট করে। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদে সভাপতিত্ব করছিলেন।
গতকাল বুধবার বিকালে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল ব্যাংক-কোম্পানি (সংশোধন) বিল-২০২৩ জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেন। এই বিলের ওপর জনমত যাচাই প্রস্তাবে আলোচনার সময় বিরোধীদলের সদস্যরা ব্যাংকের পরিচালকের পদে থাকার মেয়াদ ৩ বছর বাড়িয়ে ১২ বছর করার প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। বিলের সময়সীমার ১২ বছরের ধারা নিয়ে ও বিলটি পাসের তীব্র বিরোধী করেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম, কাজী ফিরোজ রশীদ, মুজিবুল হক চুন্নু, রওশন আরা মান্নান, পীর ফজলুর রহমান, হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, আহসানুল ইসলাম টিটু ও স্বতন্ত্র সদস্য রেজাউল করিম বাবলু। এটি বাদ না দেয়ায় জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর নেতৃত্বে তারা ওয়াক আউট করেন। এরপর অর্থমন্ত্রী বিলটি পাসের জন্য প্রস্তাব করলে তা স্থিরিকৃত আকারে পাস হয়। যদিও অর্থমন্ত্রী বিরোধীদের আনা বিলটির ৩ এর ক্রমিক ২, ৩, ৪, ২৬, ২৮ ও ৩০ এবং সংশোধনী তালিকা ৩ এর (ক) অনুচ্ছেদের সংশোধনীগুলো গ্রহণ করেন।
এর আগে অর্থমন্ত্রী বলেন, আগের চেয়ে খেলাপি ঋণ কিছুটা কমেছে। রাষ্ট্রীয় খাতের ব্যাংকগুলোকে এখন বাজার থেকে ক্যাপিটাল রিব্রাউজিং করতে হয় না। এখন তারা নিজের পায়ে দাঁড়াতে শিখেছে। ব্যাংকের শাখার পরিমাণ ১১ হাজার ১৭০টি হয়েছে। ঋণস্থিতি বর্তমানে ১৪ লাখ ২৮ হাজার ৯১ কোটি টাকা। ডিপোজিট বর্তমানে ১৬ লাখ ৬৯ হাজার ৫০৩ কোটি টাকা। কৃষি খাতে ঋণ ২৮ হাজার ৮০০ কোটি টাকা, বছর ওয়ারী মুনাফা ১৪ হাজার ৯৪ কোটি টাকা। পাস হওয়া বিলে বলা হয়েছে, কোনো ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে একটি একক পরিবারের ৩ সদস্যের বাইরে তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বা নিয়ন্ত্রণাধীন সর্বোচ্চ দুটি প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির পক্ষে প্রতিনিধি পরিচালক থাকতে পারবেন। পরিচালকদের মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ ১২ বছর। তবে কোনো ব্যাংকের পর্ষদে কোনো প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির পক্ষে একজনের অধিক ব্যক্তি প্রতিনিধি পরিচালক নিযুক্ত হতে পারবেন না।
বিদ্যমান আইনে কোনো ব্যাংক পরিচালক একইসময়ে অন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক থাকতে পারবেন না। তবে সংশোধিত আইনটি কার্যকর হওয়ার পর সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে বিমা কোম্পানির পরিচালক হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিবেচনায় এমন কোনো কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান যা ওই ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা বিমা কোম্পানির উপর নিয়ন্ত্রণ বা যৌথ নিয়ন্ত্রণ বা প্রভাব বিস্তার করে- এমন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক থাকতে পারবে না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়