পাগলায় মানববন্ধন : মন্দিরের জায়গা উদ্ধারের দাবি

আগের সংবাদ

স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবে না যুক্তরাষ্ট্র : মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর

পরের সংবাদ

বিশ্ব সংগীত দিবসের অনুষ্ঠানমালা শুরু : ‘বিশ্বের প্রকৃতি বিপন্ন, সংগীত হোক তারই জন্য’

প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সংগীত ছাড়া সভ্যতা যেন অর্থহীন। সংগীত অশুভর বিরুদ্ধে জাগ্রত করে শুভবোধকে। সেই সংগীতকে জীবনের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পর্ক স্থাপনের এক অনন্য দিন ছিল গতকাল বুধবার। এ দিন ছিল বিশ্ব সংগীত দিবস। ‘বিশ্বের প্রকৃতি বিপন্ন/সংগীত হোক তারই জন্য’ স্লোগানে উৎসবমুখর আবহে উদযাপিত হয়েছে দিবসটি। কণ্ঠশিল্পী থেকে যন্ত্রশিল্পীদের মধ্যে বয়ে গেছে প্রাণের প্রচ্ছ¡াস। তাদের অংশগ্রহণে বের হয়েছে বর্ণিল শোভাযাত্রা। পরিবেশিত হয়েছে লোকসংগীত থেকে আধুনিক গান। সুরের আশ্রয়ে উচ্চারিত হয়েছে রবীন্দ্র, নজরুল থেকে ফকির লালন সাঁইয়ের গীতবাণী। বৈচিত্র্যময় আয়োজনে ঢাকাই সিনেমার কালোত্তীর্ণ গানের সুরে ভালো লাগার অনুভবে ¯œাত হয়েছে শ্রোতার মন।
দিবসটি উদযাপনে বুধবার থেকে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ। সেগুনবাগিচার কেন্দ্রীয় কচিকাঁচা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আয়োজনে সংগীত পরিবেশনার ছিল কথন ও নৃত্যানুষ্ঠান। অন্যদিকে সন্ধ্যার অবকাশে শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে জাতীয় নাট্যশালায় অনুষ্ঠিত হয়েছে গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশনায় বৈচিত্র্যময় অনুষ্ঠান।
বিকাল থেকে শুরু হয় সংগীত সংগঠনের আয়োজন। শোভাযাত্রার পর অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। সংগঠনের সহসভাপতি একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী মাহমুদ সেলিমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক সচিব ভূঁইয়া সফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রখ্যাত সুর¯্রষ্টা শেখ সাদী খান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায়।
সুরের ধারার শিল্পীদের পরিবেশিত জাতীয় সুরে এগিয়ে যায় পরিবেশনা পর্ব। এরপর তারা গেয়ে শোনায় ‘ফিরে চল্, ফিরে চল্, ফিরে চল মাটির টানে’ শীর্ষক রবীন্দ্রসংগীত। সংগীতদল বাঁশুরিয়া পরিবেশিত গানের শিরোনাম ছিল ‘নোঙ্গর ছাড়িয়া নায়ের দেরে দে মাঝি ভাই’। গীতিশতদলের শিল্পীরা গেয়েছেন ‘আজ জীবন খুঁজে পাবি ছুটে ছুটে আয়’। উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর গাওয়া শিরোনাম ছিল ‘আলো আমার আলো’। এছাড়া দলীয় সংগীত পরিবেশন করে নিবেদনের শিল্পীরা। ‘আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে’ শীর্ষক সংগীত পরিবেশন করে নির্ঝরিণী একাডেমি। একক কণ্ঠের পরিবেশনায় ‘আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে’ শিরোমের গান শোনান সরদার রহমতুল্লা। এছাড়া একক সংগীত পরিবেশন করেন চম্পা বণিক, মায়েশা সুলতানা উর্বি ও রোকাইয়া হাসিনা। সবশেষে ছিল বুলবুল লতিকলা একাডেমির (বাফা) নৃত্য পরিবেশনা। আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় একই ভেন্যুতে হবে দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠান।
পূর্ব পশ্চিম শীর্ষক সমবেত যন্ত্রসংগীত পরিবেশনার আশ্রয়ে শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনের সূচনা হয়। এরপর ‘আকাশভরা সূর্য তারা’ গানের সুরে উপস্থাপিত হয়

বৃন্দ নৃত্য। এ আয়োজনে সিনেমার গান শুনিয়েছেন প্রখ্যাত প্লে-ব্যাক সিঙ্গার খুরশিদ আলম। নকিব খানের গানের সুরে উৎফুল হয়েছে শ্রোতার হৃদয়। এছাড়া একক সংগীত পরিবেশন করেন এলিজা পুতুল, শরীফ সাধু ও জাপানের শিল্পী মাত্র ওয়াতানাবে। পথিক নবী, শাহনাজ বেলী, অনুপমা মুক্তিসহ একঝাঁক শিল্পী শুনিয়েছেন সমবেত সংগীত। রবীন্দ্রনাথের গানের সুরে ওয়ার্দা রিহাবের পরিচালনায় সমবেত নাচ করে ধৃতি নর্তনালয়। ছিল একাডেমির শিশু শিল্পীদের সমবেত সংগীত পরিবেশনা। এছাড়া কনসার্ট ফরসার্ট ফর বাংলাদেশ শীর্ষক ঐতিহাসিক সংগীত আসর থেকে বব ডিলান ও ওস্তাদ আমজাদ আলী খানের ধারণকৃত পরিবেশনা উপস্থাপিত হয়।
এ আয়োজনের কথন পর্বে অংশ নেন ড. সাইম রানা, তেরা মালেউফ, দেবরাহ্ জান্নাত ও নকিব খান। সভাপতিত্ব করেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়