পাগলায় মানববন্ধন : মন্দিরের জায়গা উদ্ধারের দাবি

আগের সংবাদ

স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবে না যুক্তরাষ্ট্র : মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর

পরের সংবাদ

পড়াশোনার পাশাপাশি ছবি তুলে আয়

প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বর্তমান সময়ে ফটোগ্রাফির চাহিদা আকাশচুম্বী। পড়াশোনার পাশাপাশি ফটোগ্রাফি করেও সুনাম কুড়ানো এবং মাসে ভালো টাকা আয় করা যায়। এমনই একজন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ফাহিম আল শামস। ফাহিমের ফটোগ্রাফির সম্পর্কে আগ্রহ জাগে কৈশোরেই যখন সে সবেমাত্র নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা আসে, পরীক্ষা দেন চান্স পান বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। যখন সে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তখন তার মা তাকে একটি ক্যামেরা কিনে দেন। ক্যামেরা পেয়ে ফাহিম ছবি তুলতে শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আমবাগানে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীনবরণে প্রথম ছবি তুলে শুরু হয় মানুষের ছবি তোলার হাতেখড়ি। সেই ছবিতেই বাজিমাত। ফটো তোলার পাশাপাশি সে ফটো এডিটিং টাও শিখতে থাকে নিজ উদ্যোগে। এরপরের যাত্রাটা দিনাজপুরে কাজিনের বিয়েতে বর-কনের দারুণ সব ফটো তুলে বানিয়ে ফেলেন একটা ফটো অ্যালবাম, তা দিয়ে খুলে ফেলেন ফেসবুক পেজ। পরে ওয়েডিং ফটোগ্রাফি থেকে পোট্রেট ফটোগ্রাফির দিকে বেশি নজর দেন। তার ফেসবুক পেজে যখন তিন নম্বর অ্যালবাম আপলোড করেন তখন একটা পেইড কাজের অফার পান তিনি।
এরপরে বিপত্তি বাধে ক্যামেরা নিয়ে। তার ক্যামেরাটি অত্যাধুনিক না হওয়ায় তা দিয়ে বড় কোনো প্ল্যাটফর্মে ছবি তোলা এবং প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা সম্ভব হচ্ছিল না। এই জন্য অত্যাধুনিক ক্যামেরা দরকার। কিন্তু টাকা কোথায়? ফাহিম হাল ছাড়েন না। তার মা লোন করে তাকে ভালো ক্যামেরা কিনে দেন। পরে পুরোদমে ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে কাজ শুরু করেন ফাহিম এবং ৭ মাসের মধ্যে লোন পরিশোধ করতে সক্ষম হন। এটাই তার জীবনের সবচেয়ে বড় সফলতা।
বর্তমানে ফাহিম বিপণনের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন পণ্যের ছবি তুলে দেন। এর সঙ্গে প্রোট্রেট ফটোগ্রাফি করেন। পড়াশোনার পাশাপাশি এখান থেকে মাসে ৩০-৪০ হাজার টাকার মতো উপার্জন করেন। ফটোগ্রাফির সঙ্গে সঙ্গে সিনেমাটোগ্রাফি করছেন এবং প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিংও শিখছে। ভবিষ্যতে উচ্চতর শিক্ষার জন্য দেশের বাইরে গিয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি পার্টটাইম জবের বদলে ফটোগ্রাফি করতে চান তিনি। সম্প্রতি রিফাত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চরকির একটা ওয়েবফিল্ম ‘শুক্লপক্ষ’-তে স্ট্যান্ডআপ ফটোগ্রাফার হিসেবে কাজ করেছেন। এ ওয়েবফিল্মে কাজ করেছেন সুনেরাহ কামাল, খায়রুল বাশারের মতো প্রখ্যাত অভিনেতা ও অভিনেত্রীরা এবং পরিচালনা করেছেন ভিকি জাহেদ।

মো. লিখন ইসলাম : শিক্ষার্থী, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়