পাগলায় মানববন্ধন : মন্দিরের জায়গা উদ্ধারের দাবি

আগের সংবাদ

স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবে না যুক্তরাষ্ট্র : মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর

পরের সংবাদ

পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু প্রতিরোধে করণীয়

প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দেশজুড়ে অসংখ্য নদ-নদী, খাল-বিল, পুকুর, ডোবা জালের মতো বিস্তৃত রয়েছে। অসংখ্য জলাশয় থাকার কারণে চাষাবাদ, পশু-পাখি পালন, গৃহস্থালির কাজ ইত্যাদি যেমন সহজ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তেমনি প্রতি বছর ব্যাপক হারে জান ও মালের ক্ষতি হওয়ার কারণে এ জলাশয়গুলো মানুষের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশে প্রতি বছর পানিতে ডুবে প্রাণ হারানোর দিক থেকে শিশুদের সংখ্যাই বেশি। এক সমীক্ষায় দেখা যায়, বাংলাদেশের শিশুরা নিউমোনিয়া রোগের পরই পানিতে ডুবে বেশি প্রাণ হারায়। তাই শিশুদের এই অকাল মৃত্যুর হার শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে আমাদের সর্বস্তরের মানুষকে সচেতন হতে হবে, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু প্রতিরোধ করা সম্ভব।
শিশুদের পানিতে ডোবার অন্যতম কারণ হলো বাবা-মায়ের অসচেতনতা। গ্রামে দেখা যায় বাবারা জীবিকার তাগিদে বেশি সময় বাইরে বাইরে থাকেন এবং মায়েরা খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে গৃহস্থালি কাজের ব্যস্ত হয়ে পড়েন; বাচ্চাকে সঠিকভাবে দেখাশোনা করতে পারেন না। এর ফলে একটা বাচ্চা তার মায়ের দৃষ্টির অগোচরে বাড়ির পাশে পুকুর বা জলাশয়ে কাছে গিয়ে কৌতূহলবসে পানিতে নেমে যায় এবং সাঁতার না জানার কারণে পানিতে ডুবে প্রাণ হারায়। এছাড়াও পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর অন্যতম কারণ হলো সঠিক তত্ত্বাবধান ও শিক্ষার অভাব। একজন শিশুকে সাঁতার শেখানোর সঠিক বয়স ৫ বছর। কিন্তু সাঁতার শেখানোর পর্যাপ্ত বয়সেও একটা শিশুকে সাঁতার শিখানো হচ্ছে না, ফলে একটা শিশুর সাঁতার শেখার পর্যাপ্ত বয়স থাকা সত্ত্বেও পানিতে ডুবে অকালে প্রাণ হারাচ্ছে। তাই আমরা একটা শিশুর অকাল মৃত্যু ঠেকাতে কিছু প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিতে পারি। পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর হার কমিয়ে আনার প্রথম ধাপ হলো বাবা-মায়ের সচেতন হওয়া। একটা শিশু হাঁটা শেখার পরে তাকে চোখে চোখে রাখতে হবে এবং বাড়ির পাশের পুকুর বা জলাশয়ের দিকে যেন না যায়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। বাড়ির পাশের পুকুর বা জলাশয়ের চারদিকে বেড়া দিতে হবে এবং অপ্রয়োজনীয় পুকুর বা গর্ত-ডোবা থাকলে বন্ধ করে দিতে হবে। এছাড়াও একটা শিশুর ৫ বছর বয়স হওয়ার পরে অবশ্যই সাঁতার শেখার গুরুত্ব দিতে হবে। একজন শ্রেণি শিক্ষকও এক্ষেত্রে অনেক ভূমিকা পালন করতে পারেন। তিনি সাঁতার শেখার শারীরিক প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে সাঁতার শিখতে উদ্বুদ্ধ করতে পারেন। এছাড়াও কিছুদিন আগে থেকে পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর হার কমাতে সরকার কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে, যদি এই পদক্ষেপগুলো সঠিকভাবে কার্যকর করা হয়, তাহলে সরকার ও সর্বসাধারণের প্রচেষ্টায় শিশুমৃত্যুর হার অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব।

শেখ আব্দুল্লাহ : শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়