পাগলায় মানববন্ধন : মন্দিরের জায়গা উদ্ধারের দাবি

আগের সংবাদ

স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবে না যুক্তরাষ্ট্র : মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর

পরের সংবাদ

নির্বিঘ্ন ঈদযাত্রার প্রত্যাশায়…

প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঈদ মনকে দেয় আনন্দ। বন্ধুদের মধ্যে ছড়িয়ে দেয় ভালোবাসা-প্রীতি। আত্মীয়দের প্রতি তৈরি করে সহানুভূতি। মুসলমানদের প্রধান দুটি ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহা। তবে বাংলাদেশের ঈদের সঙ্গে আসে ভোগান্তি। ঈদে মানুষের বাড়ি ফেরার ভোগান্তি দেখা খুবই দুঃখজনক। ঈদের আনন্দ করার অধিকার বুঝি সবার নেই! ঈদে বাড়ি ফেরার যে দুর্ভোগ, তা কিন্তু হঠাৎ করে বা এক-দুদিনের নয়। বছরের পর বছর একই দুর্ভোগের পুনরাবৃত্তি হয়। কিন্তু কারো যেন কিছু যায় আসে না। আমাদের দেশের বেশিরভাগ যাত্রী সড়কপথে বাড়িতে আসা-যাওয়া করে। তাই যাত্রীদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য, সড়কপথে ফিটনেসবিহীন বাস, ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া বাস বা অন্য কোনো যানবাহন চালাতে না পারে সেই সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে কেউ যেন যানবাহন না চালায়, এ ব্যাপারে চালকদের সর্বোচ্চ সতর্ক করে দিতে হবে। ঈদ এলে দেখা যায় ট্রেনের টিকেট না পেয়ে যাত্রী ছাদে উঠে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করে। কিন্তু দুর্ঘটনা ঘটলে দায়ভার রেল বিভাগের ওপর পড়ে। তাই কেউ যাতে ট্রেনের ছাদে উঠতে না পারে বা ঝুলে যেতে না পারে সেদিকে কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারি প্রয়োজন। নদীপথে ঈদের সময় ফিটনেসবিহীন লঞ্চ যেন নামতে না পারে কিংবা লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী যেন না উঠানো হয় সেদিকেও কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি রাখতে হবে।
সবাই চায় ঈদের আনন্দটা প্রিয়জনের সঙ্গে ভাগ করে নিতে। কিন্তু এই আনন্দটুকু পেতে আমাদের যে লম্বা দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যেতে হয়, তার দাম অনেক বেশি। অনলাইনে ট্রেনের টিকেট পাওয়া আর লটারির টিকেট পাওয়া সমান কথা। ঈদের আগে ট্রেন, বাস কাউন্টারগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায় কিন্তু অনেকেই তাদের কাক্সিক্ষত টিকেট পান না, যা খুবই হতাশাজনক।
সরকারের কাছে আবেদন, ঈদকে সামনে রেখে গাড়ির টিকেটের মূল্য দ্বিগুণ করা হয়। এ বিষয়ে কঠোর নজরদারির প্রয়োজন। বাংলাদেশ ছোট একটি দেশ। জনসংখ্যার চাপে এই দেশটিকে আরো অসুস্থ মনে হয়। কারণ বাংলাদেশের সবকিছু ঢাকাকেন্দ্রিক। কাজের খোঁজে, ভাগ্য বদলাতে ঢাকায় ছুটে আসা মানুষের শেকড় থাকে গ্রামে, যেখানে তাদের নাড়ি পোঁতা। তাই সুযোগ পেলেই তারা ফিরে যেতে চান গ্রামে। ঈদে সবাই যাতে নির্বিঘেœ বাড়ি যেতে পারে এবং উৎসব শেষে কর্মস্থলে ফিরতে পারে, সেজন্য দীর্ঘমেয়াদি কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। সেইসঙ্গে যাত্রীরা যদি একটু সতর্ক থাকে তাহলে ঈদযাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘœ হতে পারে। এই ঈদে সড়কপথে যাতে যাত্রীদের কোনো বিড়ম্বনার শিকার হতে না হয় সে বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে সজাগ থাকতে হবে। তাই আমাদের ঈদ যেন শুধু আনন্দই নিয়ে আসে, দুর্ভোগ নয়।

সাকিবুল হাছান : শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়