পাগলায় মানববন্ধন : মন্দিরের জায়গা উদ্ধারের দাবি

আগের সংবাদ

স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবে না যুক্তরাষ্ট্র : মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর

পরের সংবাদ

জাল টাকা প্রতিরোধ : উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি সচেতনতাই জরুরি

প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

উৎসবকে কেন্দ্র করে জাল টাকার কারবারিদের বিশেষভাবে তৎপর হতে দেখা যায়। ঈদুল আজহা সামনে রেখেও বাজারে জাল টাকা ছড়ানোর খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে কুরবানির বাজারে এমন ঘটনা উদ্বেগ বাড়াবে। এদিকে ঈদের বাজারে জালনোট প্রতিরোধে প্রতি বছরের মতো পুলিশ কর্তৃপক্ষ থেকেও আগাম ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানানো হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজরদারি এবং ক্রেতা-বিক্রেতার সতর্কতাই রুখতে পারে জাল টাকার বিস্তার। সর্বশেষ রাজধানীর উত্তরখান থানা এলাকা থেকে জালনোট প্রস্তুতকারী চক্রের অন্যতম হোতা শাহজাদা আলমসহ (৩৩) তার অন্যতম ২ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। র‌্যাব জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতরা আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে সক্রিয় হয়ে উঠেছিল। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে জাল টাকা ক্রয়-বিক্রয়ের বিভিন্ন পেজ ও গ্রুপে জাল টাকা ক্রয়ে আগ্রহী কমেন্টকারীদের সঙ্গে ইনবক্সে যোগাযোগ করত। পরবর্তী সময়ে তারা ফোনে যোগাযোগ করে সরাসরি সাক্ষাতের মাধ্যমে জাল টাকা সরবরাহ করে কাজ করে আসছিল। এ চক্রটি বিগত সময়ে জাল টাকার বড় ধরনের ৪টি চালান বিক্রি করেছে। আসন্ন ঈদে কমলাপুর ও শাহজাহানপুর হাটে জাল টাকা ছড়িয়ে দেয়ার জন্য ২ লাখ নকল মুদ্রা তৈরির অর্ডার পেয়েছিল তারা। গত মঙ্গলবার র‌্যাব-৩ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। জানা গেছে, রাজধানীসহ সারাদেশে শতাধিক জাল টাকার কারখানা রয়েছে। র‌্যাব, পুলিশের নিয়মিত অভিযানে এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক কারখানার সন্ধান মিলেছে। এসব কারখানায় দেশি-বিদেশি ৩০টি জালিয়াত চক্র জাল টাকার পাশাপাশি বিদেশি জাল মুদ্রা তৈরি করছে। চক্রটি ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট তৈরিতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে গোপনে কারখানা গড়ে তুলছে। প্রতিনিয়ত জাল টাকার কারবারি পুলিশের হাতে ধরাও পড়ে। কিন্তু তারপরও থেমে নেই জাল টাকার ব্যবসা- এটাই উদ্বেগের বিষয়। প্রথমত কাজ হলো জাল টাকার উৎপাদন ও বণ্টন ঠেকানো। পুলিশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাজধানী ও আশপাশের জাল টাকা তৈরির আস্তানাগুলো অনেকটাই তাদের নজরদারিতে রয়েছে। ঈদ সামনে রেখে তারা আগাম ব্যবস্থা নিয়ে সক্রিয় রয়েছেন। আর গ্রাহক পর্যায়ে শনাক্তকরণে সচেতনতা বাড়ানো। ঈদের বাজারে তুমুল ব্যস্ততার মধ্যে ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাতে বেশি সময় থাকে না প্রতিটি নোট যাচাই করে নেয়ার। আবার বেশির ভাগ সাধারণ মানুষই জালনোট শনাক্তকরণে সক্ষম নন। তাই এ সময়ে দরকার আসল নোট ও জালনোটের পার্থক্যগুলো শনাক্তকরণের বিষয়গুলো জানিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রচারণা। জরুরি হলো, ব্যাংকে জালনোটের ব্যাপারে প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরালো করা। ব্যাংকে যেন নিরাপত্তার ছিদ্র গলিয়ে জালনোট ঢুকতে না পারে, বিশেষ করে এটিএম বুথগুলোতে যেন জালনোট আসতে না পারে, সে ব্যাপারে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের বিশেষভাবে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। জালনোটের বিস্তার খুবই ভয়াবহ। এটা প্রতিরোধ করা না গেলে মানুষজন প্রতারিত হবেন, ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, একই সঙ্গে দেশের অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এজন্য জালনোটের দৌরাত্ম্য রোধে সব ধরনের সতর্কতা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। রুখতে হবে জালনোটের কারবারিদের। তাদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়