পাগলায় মানববন্ধন : মন্দিরের জায়গা উদ্ধারের দাবি

আগের সংবাদ

স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবে না যুক্তরাষ্ট্র : মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর

পরের সংবাদ

এলজিইডি ও পল্লী বিদ্যুতের সমন্বয়হীনতা : ৪ বছরেও সড়ক থেকে অপসারণ হয়নি বৈদ্যুতিক খুঁটি

প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এস কে হাসান, আশাশুনি (সাতক্ষীরা) থেকে : সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কুল্যার মোড় থেকে দরগাহপুর সড়কটির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে প্রায় চার বছর আগে। এই সড়কের খরিয়াটি মোড় থেকে বাঁকা পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কে সাতটি বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ করা হয়েছে।
এতে ওই সড়ক দিয়ে যান চলাচলের সময় ঘটছে ছোট ছোট দুর্ঘটনা। বড় দুর্ঘটনার আগে দ্রুত বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো সরিয়ে ফেলার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে সড়কটি সংস্কারের কাজ শেষ করা হয়। সড়কটি সংস্কারের আগে চওড়া ছিল ১২ ফুট, বর্তমানে সড়কটি ১৮ ফুট প্রশস্ত করা হয়েছে।
সরজমিন গিয়ে দেখা খরিয়াটি মোড় থেকে বাঁকা সড়কে দরগাহপুর গ্রামের হোসেন সরদার, বাড়িকুল মাস্টার, মিঠু সরদার, আওয়াল শেখ ও মোহাম্মাদিয়া মসজিদের সামনেসহ সড়কের ভেতর প্রায় ছয় থেকে সাতটি খুঁটি রেখেই নির্মাণকাজ শেষ করা হয়েছে।
আর এইসব বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো এক থেকে দুই ফুট সড়কের ভেতরে রয়ে গেছে। এছাড়া সেখানে আরো ১৫ থেকে ২০টা খুঁটি রয়েছে সড়কের গা ঘেঁষে। যার ফলে যে কোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
সাবেক ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলাম বলেন, সড়কে পল্লী বিদ্যুৎ খুঁটি রেখেই কাজ সম্পন্ন করেছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এছাড়া রাস্তা ঘেঁষে রয়েছে আরো অনেক খুঁটি। এসব খুঁটি অপসারণ না করা হলে মারাত্মক দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হবে জনসাধারণকে। তিনি দ্রুত খুঁটি সরিয়ে জনদুর্ভোগ কমাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।
স্থানীয় স্কুল শিক্ষক আমিনুর রহমান বলেন, কুল্যার মোড় থেকে দরগাহপুর ১৫ কিলোমিটার সড়কে দরগাহপুর সড়কে পাশে বিদ্যুতের খুঁটি রেখেই সড়ক প্রশস্তকরণ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। ফলে যানবাহন চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া গুলাকরকাটি বাজারে মন্টুর চায়ের দোকানের সম্মুখে ও একটি ও গুনাকরকাটি ব্রিজের মুখে সড়কের উপর একটি শিশু গাছ রয়েছে যার ফলে সড়কে ছোট ছোট দুর্ঘটনা ঘটছে । তিনি দ্রুত এগুলা অপসারণের দাবি জানান।
এ বিষয়ে আশাশুনি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, বৈদ্যুতিক খুঁটি সরানো জন্য এলজিইডি আমাদের চিঠি দিবে, আমরা বাজেট দেব এরপর এলজিইডি টাকা পরিশোধ করবে আমরা বৈদ্যুতিক খুঁটি সরানোর ব্যবস্থা করব। কিন্তু এলজিইডির কোনো চিঠি এখনো আমরা পাইনি। চিঠি পেলে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান এই কর্মকর্তা।
আশাশুনি উপজেলা প্রকৌশলী নাজিমুল হক বলেন, সড়ক প্রশস্ত করার কারণে এ সমস্যা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত বৈদ্যুতিক খুঁটি অপসারণের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়