ঠিকানা নিয়ে ৩২ বার তদন্তে উষ্মা হাইকোর্টের

আগের সংবাদ

সেন্টমার্টিন দ্বীপ লিজ দিয়ে ক্ষমতায় বসবে না আ.লীগ > সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী : অন্য দেশের সঙ্গেও অর্থ বিনিময়ের সুযোগে ব্রিকসে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত

পরের সংবাদ

নানা আনুষ্ঠানিকতায় শুরু রথযাত্রা উৎসব

প্রকাশিত: জুন ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২১, ২০২৩ , ১:২৮ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : “রথ যাত্রা, লোকারণ্য মহা ধুমধাম/ভক্তেরা লুটায়ে পথে করিছে প্রণাম/পথ ভাবে, ‘আমি দেব’, রথ ভাবে ‘আমি’,/মূর্তি ভাবে, ‘আমি দেব’- হাসে অন্তর্যামী।” কাব্যগ্রন্থ কণিকায় এভাবেই রথযাত্রার বর্ণনা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। রথযাত্রায় ভক্ত দর্শনার্থীদের ভিড়, নানা আয়োজন আজও আছে। বলা হয়, দাদা বলরাম বা বলভদ্র এবং বোন সুভদ্রাকে নিয়ে রথে চড়ে মাসি বাড়ি যান জগন্নাথ দেব। আর এই সময় জগতের অধীশ্বর জগন্নাথ দেবের অনুগ্রহ এবং জীবরূপ থেকে মুক্তিলাভের আশায় ভক্তরা টানেন সেই রথের দড়ি।
শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে, ‘রথস্থ বাম নং দৃষ্টা পুনর্জন্ম ন বিদ্যতে’। অর্থাৎ এ রথের উপর অধিষ্ঠিত জগন্নাথকে দর্শন করলে তার পুনর্জন্ম হয় না। তাই রথের দড়ি টানাকে পুণ্যের কাজ হিসেবে গণ্য করেন ধর্মপ্রাণ হিন্দুরা।
গতকাল মঙ্গলবার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান রথযাত্রায় অগণিত ভক্ত অংশ নিয়েছেন। রথ টেনে নিয়ে গেছেন স্বামীবাগ ইসকন মন্দির থেকে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির প্রাঙ্গণে। দুপুরে স্বামীবাগ ইসকন মন্দির থেকে বের হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা।? সুবিশাল রথে ছিল জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার মূর্তি। এ সময় ভক্তরা নেচে গেয়ে কীর্তন করতে থাকেন। শোভাযাত্রাটি জয়কালি মন্দির, মতিঝিল শাপলা চত্বর, দৈনিক বাংলার মোড়, বঙ্গভবন মোড়, গুলিস্তান, জিপিও, সচিবালয়ের সামনে দিয়ে, হাইকোর্ট মোড়, দোয়েল চত্বর, জগন্নাথ হল ও পলাশী হয়ে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গিয়ে শেষ হয়।
এর আগে সকালে ইসকন আশ্রমে বিশ্বশান্তি ও মঙ্গল কামনায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞের মধ্য দিয়ে রথযাত্রা উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। দুপুরে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক চারুচন্দ্র দাস ব্রহ্মচারীর সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ভারতীয় হাইকমিশনের ইন্দারি গান্ধী কালচারাল সেন্টারের পরিচালক মৃন্ময় চক্রবর্তী।
সনাতনী রীতি অনুযায়ী, প্রতি বছর চন্দ্র আষাঢ়ের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে শুরু হয় জগন্নাথদেবের রথযাত্রা। ব্রহ্ম পুরাণ, পদ্ম পুরাণ, স্কন্দ পুরাণ এবং কপিল সংহিতার মতো প্রাচীন শাস্ত্রে রথযাত্রার উল্লেখ রয়েছে। আগামী ২৭ জুন উল্টো রথযাত্রার মধ্য দিয়ে শেষ হবে উৎসবের সব আয়োজন। ওই দিনও অনুষ্ঠিত হবে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। একই পথে বিপরীত দিক থেকে অর্থাৎ ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে স্বামীবাগ আশ্রমে আনা হবে রথ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়