ঠিকানা নিয়ে ৩২ বার তদন্তে উষ্মা হাইকোর্টের

আগের সংবাদ

সেন্টমার্টিন দ্বীপ লিজ দিয়ে ক্ষমতায় বসবে না আ.লীগ > সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী : অন্য দেশের সঙ্গেও অর্থ বিনিময়ের সুযোগে ব্রিকসে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত

পরের সংবাদ

অনলাইনে বিক্রি হতো জাল টাকা : ৩ কারবারী গ্রেপ্তার > ২ লাখ জাল টাকা তৈরির অর্ডার

প্রকাশিত: জুন ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে সক্রিয় জাল নোট তৈরির চক্রটি। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করেও জাল নোট কেনাবেচা করে আসছিল। এ চক্রটি সম্প্রতি জাল নোটের বড় মাপের ৪টি চালান বিক্রি করেছে। আসন্ন ঈদে কমলাপুর ও শাহজাহানপুর হাটে জাল নোট ছড়িয়ে দেয়ার জন্য ২ লাখ নকল টাকা তৈরির কাজ পেয়েছিল তারা। এসব হাটে জাল নোট তৈরির যারা কাজ দিয়েছিলেন এমন কয়েকজনের নাম আমরা জানতে পেরেছি। তাদের আইনের আওতায় কাজ শুরু করেছি আমরা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে র‌্যাব-৩ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৩ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন।
এর আগে গত সোমবার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর উত্তরখান থানাধীন মাস্টারপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে জাল নোট তৈরি চক্রের অন্যতম হোতা শাহজাদা আলমসহ (৩৩) ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার বাকি দুজন হলেন- মো. মাহেদী হাসান (১৯) ও আবু হুরায়রা ওরফে তুষার (২২)।
গ্রেপ্তারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন বলেন, গ্রেপ্তারকৃত শাহজাদা, মাহেদী ও তুষার মিলে গত ৬ মাস ধরে জাল টাকা তৈরি শুরু করে। মূলত আসন্ন কুরবানির ঈদকে ঘিরে সক্রিয় হয়ে ওঠে তারা। গ্রেপ্তার মাহেদী আগে থেকেই ফটোশপ ও গ্রাফিক্সের কাজ জানত। সেই সূত্রকে কাজে লাগিয়ে ইউটিউব থেকে জাল টাকা বানানোর প্রক্রিয়া দেখে ও ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচিত হওয়া দুই বন্ধু শাহজাদা ও তুষারের সহযোগিতায় নকল নোট তৈরির কাজ শুরু করে। শাহজাদা ও তুষার দীর্ঘদিন ধরেই জাল টাকা কেনাবেচার কাজ করে আসছে।
তিনি বলেন, প্রথমত অনলাইন থেকে বাংলাদেশি বিভিন্ন নোটের ছবি ডাউনলোড করে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রিন্টার দিয়ে প্রিন্ট করে। পরবর্তীতে সেসব ছবিগুলো অ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটর ব্যবহার করে এপিঠ-ওপিঠ সমন্বয় করে লিপি গোল্ডের মোটা ও পিচ্ছিল অফসেট কাগজের ওপর এক পাতায় চারটি জাল নোট প্রিন্ট করে। এরপর সেই কাগজে তারা গোল্ডেন কালার মার্কার দিয়ে নিরাপত্তা সুতার আদলে মার্কিং করে। সবশেষে তারা স্টিলের স্কেল ও এন্ট্রিকাটারের সাহায্যে নকল নোটগুলো কেটে বান্ডেল করে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করে। এভাবে ১ লাখ টাকা মূল্যের জাল টাকা তৈরিতে আনুমানিক তাদের খরচ হয় ২ হাজার টাকা।
তিনি আরো বলেন, তৈরিকৃত জাল নোটগুলো অনলাইনে বিক্রির জন্য শাহজাদা ও তুষার মিলে ফেসবুকে বিভিন্ন পেজ ও গ্রুপে যেমন- এ গ্রেড জাল নোট, টাকা চাই, জাল নোট, জাল টাকা বিক্রি করি, জাল টাকার ডিলার, জাল টাকা বিক্রয় কেন্দ্র, রিয়েল সেলস্ ও টাকা বিজনেসে বিজ্ঞাপন দেয়। পরে পেজ ও গ্রুপে আগ্রহী কমেন্টকারীদের সঙ্গে তারা ম্যাসেঞ্জারে যোগাযোগ করে। পরের ধাপে ফোনে যোগাযোগ করে সরাসরি সাক্ষাতের মাধ্যমে জাল টাকা সরবরাহের কাজ করে থাকে।
আরিফ মহিউদ্দিন বলেন, চক্রের হোতা শাহজাদা ২০২০ সালে নৈতিক স্খলন ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বিজিবি থেকে চাকরিচ্যুত হয়। এক পর্যায়ে জাল টাকা প্রস্তুতকারী চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। পরে চলতি বছরে ফেসবুকে জাল টাকা বিক্রির পেজ থেকে পরিচিত হওয়া মাহেদী ও তুষারকে নিয়ে সে নিজেই জাল টাকা তৈরি চক্র গড়ে তোলে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়