যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসির মেমফিসে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বৈশাখী উৎসব ও বাংলা নববর্ষ উদযাপন করেছে সেখানকার বাংলাদেশি কমিউনিটি। গত রবিবার স্থানীয় গোল্ডেন প্যালেস পার্টি হলে পরিবার-পরিজনসহ শত শত মানুষ এতে যোগ দেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজক ছিল বাংলাদেশ কমিউনিটি অব মেমফিস। অনুষ্ঠানে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে বর্ণিল পোশাকে সেজে উপস্থিত হন। সবার মধ্যে ছিল বাঁধভাঙা আনন্দের জোয়ার। প্রতিষ্ঠানটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
উৎসবে ছিল বাংলা নববর্ষের আলোচনা ও স্মৃতিচারণ, নাচ, গান, র‌্যাফেল ড্রসহ নানা আয়োজন। বাংলাদেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী রিজিয়া পারভীন ও প্রতীক হাসান, নিলয়সহ স্থানীয় শিল্পীরা এতে সংগীত পরিবেশন করেন। পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। তেলাওয়াত করেন মালিহা। নার্গিস সুলতানার উপস্থাপনায় এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রিপাবলিকান পার্টির নেতা নাসের ফয়জুল্লাহ, ব্যবসায়ী শেখ মহিউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ বিজনেস এসোসিয়েশন অব টেনেসির সভাপতি আব্দুর রহিম গাজী, ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের ইকোনমিক মিনিস্টার মেহেদী হাসান।
অনুষ্ঠানে কণ্ঠশিল্পী রিজিয়া পারভীন, প্রতীক হাসান ছাড়াও স্থানীয় শিল্পীদের মধ্য থেকে সংগীত পরিবেশন করেন নিলয়, সানাউল্লাহ সানি, এম আহমেদ নিলয়, আক্তার, শুভ, সোহেল, মাসুম, লিটা। নৃত্য পরিবেশন করেন অনি, তাশফিয়া, তানজিয়া, রাইস, শুভ এবং মৌ। এর আগে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন লিটা, নার্গিস, স্বর্ণা, জেসমিন, আক্তার, সানি, মাসুম ও শুভ।
অনুষ্ঠানে সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন উদযাপন আহ্বায়ক আব্দুর রহিম গাজী, যুগ্ম আহ্বায়ক সানাউল্লাহ সানি, আকতার হোসেন, সদস্য শেখ মহিউদ্দিন মঈন, ওয়াহিদুজ্জামান বাবলু, রফিক হাওলাদার, কালচারাল কমিটি আহ্বায়ক সৈয়দ শাহারিয়া ফারুক, র‌্যাফেল ড্র কমিটির আহ্বায়ক

র‌্যাফেল ড্র কমিটির আহ্বায়ক এম আহমেদ নিলয়, আর্টিস্ট কমিটির আহ্বায়ক মফিজুল ইসলাম, মিডিয়া এন্ড কমিটির আহ্বায়ক সরকার আব্দুল মতিন সরকার, বাজেট এন্ড ফাইন্যান্স কমিটির আহ্বায়ক জাকির হোসেন, ফুড কমিটির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন, সাজসজ্জা কমিটির আহ্বায়ক মাহমুদুল কলিম শুভ, পারচেজ কমিটির আহ্বায়ক তুর্ণ হাসান, অভ্যর্থনা কমিটির আহ্বায়ক আরিফুর রহমান, ¯œ্যাকস এন্ড বেভারেজ কমিটির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম হীরা, সাউন্ড এন্ড লাইটিং কমিটির আহ্বায়ক মো. জিয়াউদ্দিন আহমেদ মাসুম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ দূতাবাসের ইকোনমিক মিনিস্টার মেহেদী হাসান বলেন, বৈশাখী উৎসব আর বাঙালি দুটি শব্দ যেন আপন মহিমায় মিলেমিশে একাকার। আর বাঙালির জাতিগত বৈশিষ্ট হলো তারা যেখানেই যায় একা থাকতে পছন্দ করে না।

সবাইকে নিয়ে মিলেমিশে থাকে। আর বৈশাখের মতো এমন উৎসব তাদের পারস্পারিক সম্পর্কের ভিত্তি শুধু মজবুত করে না, একজন আরেকজনের প্রতি সমমর্মী মানুষ হওয়ার এক অবারিত সুযোগ সৃষ্টি করে। এবারের মেমফিসের বৈশাখী উৎসবও তার ব্যতিক্রম ছিল না। তিনি এই বন্ধন এবং স¤প্রীতি অটুট রাখারও আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এ প্রজন্মের শিশু-কিশোরদের বাংলা সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া এ আয়োজনের অন্যতম উদ্দেশ্য।