যাত্রী কল্যাণ সমিতি : ২৭ জুন সরকারি ছুটি ঘোষণার দাবি

আগের সংবাদ

রাজশাহীতে নজীরবিহীন নিরাপত্তা

পরের সংবাদ

বিশ্ব শরণার্থী দিবস : স্বদেশে ফিরতে চান রোহিঙ্গারা

প্রকাশিত: জুন ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জসিম আজাদ, উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি : আজ ২০ জুন। বিশ্ব শরণার্থী দিবস আজ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ শরণার্থী ক্যাম্প এখন কক্সবাজারের উখিয়া- টেকনাফে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতন ও গণহত্যা থেকে প্রাণ বাঁচাতে ২০১৭ সালে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এর আগে থেকে আরো ৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছিল। এ বিপুলসংখ্যক শরণার্থী নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার জন্য উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে। এখন যে কোনো মূল্যে নিজ দেশে ফিরতে চায় তারা। বেশ কয়েক বছর ধরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নাজুক পরিস্থিতি ও প্রতিনিয়ত ঘটা হত্যাকাণ্ডসহ নানা কারণে অতিষ্ঠ রোহিঙ্গারা। এ কারণে স্বদেশে ফিরে যেতে শুরু করেছে ‘গো হোম’ ক্যাম্পেইন কর্মসূচি।
কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে আশ্রিত রোহিঙ্গারা স্বদেশে ফিরে যাওয়ার দাবিতে গত ৫ বছর ধরে নানা রকম কর্মসূচি পালন করে আসছে। সর্বশেষ গত ৮ জুন মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরুর দাবি নিয়ে মানববন্ধন, মিছিল ও সমাবেশ করেছে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গারা। ওইদিন লম্বাশিয়া চৌরাস্তার মাথা ক্যাম্প-১ ইস্ট এবং ওয়েস্ট, ক্যাম্প-৪ এর সাত রাস্তার মাথা ক্যাম্প-৩, ৪, ৪-এক্সটেনশন, ক্যাম্প-৫ এর নিচে ঢালে, ক্যাম্প-৫ এবং ৮ ওয়েস্ট, ক্যাম্প-১৭, ক্যাম্প-৯ এর পোড়াবাজারের মাঠে (ক্যাম্প-৯, ক্যাম্প-১০, ক্যাম্প-৮ ইস্ট), ক্যাম্প-১১ মরাগাছ তলায় (ক্যাম্প-১২ সহ), ক্যাম্প-১৩ এর সিআইসি অফিসের পেছনে ফুটবল খেলার মাঠ, ক্যাম্প-১৯ এর সিআইসি অফিসের সামনে, ক্যাম্প-১৫ এর সিআইসি অফিসের পাশে (ক্যাম্প-১৪, ১৫, ১৬), ক্যাম্প-২০-এর সিআইসি অফিসের সামনে (ক্যাম্প-২০, ২০-এক্সটেনশন), ক্যাম্প-১৮ এর সিআইসি অফিসের সামনের রাস্তায়, ক্যাম্প-২৪ এর সিআইসি অফিসের সামনে, ক্যাম্প-২৬ এর সিআইসি অফিসের সামনে ক্যাম্প-২৭ এর সিআইসি অফিসের সামনে একযোগে মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়। ১৩টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একযোগে সাধারণ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ব্যানারে এ মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতারা দ্রুত সময়ের মধ্যে মিয়ানমারে ফিরে যেতে নাগরিকত্ব, নিজ ভিটাবাড়ি ফেরত, চলাফেরা ও জীবিকার স্বাধীনতা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চার দাবি উপস্থাপন করেন।
রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতারা বলেন, মিয়ানমারে নির্যাতন-নিপীড়ন, হত্যা, ধর্ষণ চলাকালীন প্রাণভয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছি। বাংলাদেশ মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছে, সেজন্য রোহিঙ্গারা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। দীর্ঘ ছয় বছর ধরে আমরা ক্যাম্পে বন্দিজীবন পার করছি। মিয়ানমারে দ্রুত নিজ বসতভিটায় ফিরে যেতে চাই। এর জন্য আলোচনা চলছে। একটি মহল প্রত্যাবাসন বন্ধের ষড়যন্ত্র করছে বলেও তারা অভিযোগ করেন।
তারা বলেন, রোহিঙ্গারা নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরতে মরিয়া। নাগরিকত্ব দিয়ে দ্রুত প্রত্যাবাসন জরুরি। জাতিসংঘের দ্বৈতনীতির নিন্দা জানিয়ে বক্তারা বলেন, রেশন কমিয়ে দেয়া, ফিরতে ইচ্ছুকদের রেশন বন্ধ রহস্যজনক। এ সময় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কাজ করার জন্য জাতিসংঘের আন্তরিক সহযোগিতা চান তারা।
এ বিষয়ে ৮ এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার (ইন্টেলিজেন্স ও মিডিয়া) মো. ফারুক আহমেদ জানান, এখনো পর্যন্ত শরণার্থী দিবস উপলক্ষে কোনো কর্মসূচির খবর তারা জানেন না। অতিরিক্ত শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছুদ্দৌজা নয়ন জানান, কোনো কর্মসূচির খবর তারা জানেন না। রোহিঙ্গা কমিউনিটির লোকজন করতে পারেন বলে জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়