যাত্রী কল্যাণ সমিতি : ২৭ জুন সরকারি ছুটি ঘোষণার দাবি

আগের সংবাদ

রাজশাহীতে নজীরবিহীন নিরাপত্তা

পরের সংবাদ

চাঁদপুরে ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ ৬ মাস : বড় বড় যন্ত্রপাতি অকেজো

প্রকাশিত: জুন ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, চাঁদপুর : নানা জটিলতায় প্রায় ৬ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে চাঁদপুরের ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। ২০১০ সালের ২৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এক হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করে চায়না চেংদা ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড।
২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরুর পর ৩ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে উৎপাদনে যায় কেন্দ্রটি। প্রথমদিকে ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা থাকলেও গ্যাসনির্ভর এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নিয়মিতভাবে ১৬০ থেকে ১৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে যাচ্ছিল। কিন্তু দিন দিন গ্যাস বুস্টারসহ বড় বড় যন্ত্রপাতি ও মেশিন অকেজো হয়ে যাওয়ার কারণে এখন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে চাঁদপুর ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
প্রথমে ৫০ মেগাওয়াট বন্ধ হলেও পরবর্তীতে ১০০ মেগাওয়াট এর মাধ্যমে উৎপাদন সচল রাখা হয়। চাঁদপুর পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির তথ্য মতে ৩ ডিসেম্বর ২০২২ সালে চাঁদপুরের ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রথম ৫০ মেগাওয়াট বন্ধ হয়। এরপর ৫ ডিসেম্বর বন্ধ হয়ে যায় বাকি ১০০ মেগাওয়াট।
এ বিষয়ে চাঁদপুর ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক (তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী) মোহাম্মদ নূরুল আবছার বলেন, রক্ষাণাবেক্ষণের জন্য ৬ ডিসেম্বর ২০২২ সালে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ করা হয়। মূলত এখানে দুটি ইউনিট।
একটি ৫০, আরেকটি ১০০ মেগাওয়াট। ১০০ মেগাওয়াট ইউনিটটি ৫০ দিন সংস্কার ও রক্ষাণাবেক্ষণের পর ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ চালু করার জন্য উদ্যোগ নেই। কিন্তু অনাকাক্সিক্ষত কারণে একটি গ্যাস বুস্টার চালু না হওয়ায় আমরা আর চালু করতে পারিনি।
তিনি আরো বলেন, সেই গ্যাস বুস্টারটি চালু করতে আমরা দেশি লোকবল এবং প্রযুক্তির মাধ্যমে চেষ্টা করি। আসলে এটি ঠিক করতে হলে বিদেশি বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন। এরকম সু²কাজে বিদেশি অভিজ্ঞদের প্রয়োজন। আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। গ্যাস বুস্টারটি ঠিক করার জন্য তাদের সঙ্গে চুক্তি করেছি। আগামী সেপ্টম্বর-অক্টোবর নাগাদ মালামাল দেশে আসবে, তখন আমরা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পুনরায় চালু করতে পারব।
এদিকে গত কয়েক দিনে বিদ্যুতের ধারাবাহিক লোডশেডিংয়ের কারণে চাঁদপুরের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ভোগান্তির শিকার সবাই। বার বার লোডশেডিং হওয়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কল-কারখানা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়াসহ বিভিন্ন সমস্যায় পড়ে মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে মানুষের কাজকর্ম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি, বাংলাদেশ এর তথ্যমতে, চাঁদপুর জেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ১৮৫ মেগাওয়াট। কিন্তু সরবরাহ হচ্ছে ১৪৫ মেগাওয়াট। মূলত চাঁদপুর শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ। আর গ্রামের বিদ্যুৎ সরবরাহ করে চাঁদপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ ও ২। এসবের মধ্যে চাঁদপুর গ্রিডে চাহিদা ৮০ মেগাওয়াট, পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-(১) ৯০ মেগাওয়াট এবং পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-(২) ৫৪ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। তবে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সংকট থাকায় চাঁদপুরে চাহিদার তুলনায় মাত্র ৫০% বিদ্যুৎ পাচ্ছেন গ্রাহকরা। যার কারণে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন স্থানে লোডশেডিং হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়